অবয়ব
বীরভূম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি জেলা। এই জেলাটি ভৌগোলিক ভাবে রাঢ় অঞ্চলের অন্তর্গত। জেলাটির পূর্ব দিক দিয়ে ভাগীরথী নদী বহে চলেছে। এই নদীটি বীরভূমকে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ থেকে আলাদা করে রেখেছে।
শহর
[সম্পাদনা]- 1 বক্রেশ্বর; বক্রেশ্বর ৫১টি শক্তিপীঠের অন্যতম এবং হিন্দুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ। এই কারণে অজস্র মন্দির গড়ে উঠেছে বক্রেশ্বরে। কথিত আছে এখানের পড়েছে দেবীর ত্রিনয়ন।
- 2 জয়দেব কেন্দুলি (জয়দেব কেন্দুলি) দ্বাদশ শতাব্দীর সংস্কৃত কবি জয়দেবের জন্মস্থান, পুরানো মন্দির ও মেলার জন্য বিখ্যাত
- 3 লাভপুর; তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের জন্মস্থান ও ৫১ পীঠের একটি শক্তিপীঠ হিসাবে তীর্থস্থানের জন্য বিখ্যাত৷
- 4 নলহাটি; এই শহরের নলহাটেশ্বরী মন্দির হিন্দুদের একটি বিখ্যাত তীর্থ। শহরটি হিন্দুদের ৫১ শক্তিপীঠের অন্যতম।
- 5 নানুর; চণ্ডীদাস রামির জন্মস্থান, সংস্কৃত কবি, সম্ভবত ১৪তম শতাব্দীর
- 6 সাঁইথিয়া; ময়ূরাক্ষী নদীর তীরে অবস্থিত শহরটি ভারতীয় উপমহাদেশের শক্তিপীঠ গুলোর মধ্যে একটি এবং নন্দিকেশ্বরী মন্দির-এর জন্য প্রসিদ্ধ।
- 7 শান্তিনিকেতন; বোলপুর শহরের নিকট অবস্থিত একটি আশ্রম ও শিক্ষাকেন্দ্র। ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর নিভৃতে ঈশ্বরচিন্তা ও ধর্মালোচনার উদ্দেশ্যে বোলপুর শহরের উত্তর-পশ্চিমাংশে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।
- 8 তারাপীঠ; রামপুরহাট শহরের কাছে অবস্থিত একটি ক্ষুদ্র মন্দির নগরী। এই শহর তান্ত্রিক দেবী তারার মন্দির ও মন্দির-সংলগ্ন শ্মশানক্ষেত্রের জন্য বিখ্যাত। হিন্দুদের বিশ্বাসে, এই মন্দির ও শ্মশান একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। এই মন্দির শাক্তধর্মের পবিত্র একান্ন সতীপীঠের অন্যতম।
অন্যান্য গন্তব্য
[সম্পাদনা]- 1 মামা ভাগ্নে পাহাড়; বীরভূম জেলার একমাত্র পাহাড়। এটি ছোট নাগপুর মালভূমির অন্তিম পূর্ব ভাগে অবস্থিত দুবরাজপুর শহরের নিকট অবস্থিত। এই পাহাড়টি মূলত 'গ্রানাইট' শিলা দ্বারা গঠিত। মামা ভাগ্নে পাহাড় বর্তমানে একটি পর্যটনের জায়গা হিসেবে সুবিদিত।