আইসল্যান্ড ইউরোপ মহাদেশের একটি প্রজাতান্ত্রিক দ্বীপ রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম রেইকিয়াভিক। দেশটি উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে গ্রীনল্যান্ড, নরওয়ে, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, এবং ফারো দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে, উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের সদাসক্রিয় ভূ-গাঠনিক প্লেটগুলির সীমারেখার ঠিক উপরে অবস্থিত একটি আগ্নেয় দ্বীপ। আইসল্যান্ডের উত্তর প্রান্ত সুমেরুবৃত্তকে স্পর্শ করেছে। ডিম্বাকার এই দ্বীপটি পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ৪৮৫ কিলোমিটার এবং উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ৩৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ। পার্শ্ববর্তী গ্রিনল্যান্ডকে উত্তর আমেরিকার অংশ ধরা হলেও আইসল্যান্ডকে ইউরোপের অন্তর্গত রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করা হয়। দেশটির জলবায়ু, ভূগোল ও সংস্কৃতি বৈপরীত্য ও বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ।
বৈশিষ্ট্য
[সম্পাদনা]ভূগোল
[সম্পাদনা]আইসল্যান্ড ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। এটি গ্রিনল্যান্ডের পূর্বে ও উত্তর মেরুরেখার ঠিক দক্ষিণে মধ্য আটলান্টিক পর্বতমালার উপর অবস্থিত। আইসল্যান্ডে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও অন্যান্য ভূ-উত্তাপীয় কর্মকাণ্ড নৈমিত্তিক ঘটনা। আইসল্যান্ডের প্রায় অর্ধেক অংশ আগ্নেয়গিরির লাভা মরুভূমি ও অন্যান্য অনাবাসযোগ্য ভূমি নিয়ে গঠিত। দ্বীপটির প্রায় ১১% হিমবাহ দ্বারা আবৃত। দ্বীপের প্রায় ২০% এলাকা পশুচারণের জন্য ব্যবহার করা হয়, এবং মাত্র ১% এলাকায় কৃষিকাজ হয়। ৯০০ খ্রিস্টাব্দে মনুষ্য বসতি স্থাপনের আগে দ্বীপটির প্রায় ৩০-৪০% বৃক্ষ-আচ্ছাদিত ছিল। বর্তমানে কেবল কিছু বার্চ গাছের জঙ্গল ছাড়া আর তেমন কিছু বনভূমি অবশিষ্ট নেই।