বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে
ঝাড়গ্রাম ডিয়ার পার্ক

ঝাড়গ্রাম ডিয়ার পার্ক ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গরাজ্যের 'জঙ্গলমহল' অঞ্চলের নবগঠিত জেলা ঝাড়গ্রামের মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। ঝাড়গ্রাম জেলাশহর তথা রেল স্টেশনের কাছাকাছি প্রকৃতির এক শালবাগান ঘেরে তৈরি করা এই ডিয়ার পার্ক আক্ষরিক অর্থেই হরিণের স্বাভাবিক বিচরণ ক্ষেত্র। নামে ডিয়ার পার্ক হলেও এখানে হরিণ ছাড়াও অন্যান্য প্রাণী এবং পাখি আছে। এখানকার একেকটা হরিণের চেহারা প্রায় গোরুর মতো বড়ো! তার কারণ এই প্রাণীগুলো স্বাভাবিক বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে অনেক বিস্তৃত অঞ্চল পেয়ে যায়। এমনকি বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে সপরিবার ভ্রমণকারীরা পাশেই বিক্রি হওয়া ভিজে ছোলা মুঠো মুঠো জালের ভিতর হাতে ধরলে হরিণগুলো এসে খেয়ে যাবে! বিশেষ করে বাচ্চাদের কাছে এটা বেশ মজাদার হয়ে ওঠে।

শহরের মানুষদের কাছে ঝাড়গ্রাম ডিয়ার পার্ক দুদিক দিয়ে লোভনীয় - এক, শহরের কৃত্রিমতা ছাড়িয়ে মাটির কাছাকাছি আসা। আর দুই, এত কাছ থেকে হরিণ সমেত নানা প্রাণী এবং পাখিদের সঙ্গে খানিকটা সময় কাটানো।

কীভাবে যাবেন

[সম্পাদনা]
  • কলকাতা (হাওড়া স্টেশন) থেকে ট্রেনের চেয়ার কারে সাঁতরাগাছি, উলুবেড়িয়া, মেচেদা, পাঁশকুড়া, খড়্গপুর হয়ে ঝাড়গ্রাম; এক্সপ্রেস ট্রেনে আড়াই ঘণ্টার পথ।
  • কলকাতা থেকে সাধারণ/বাতানুকূল বাসে ঝাড়গ্রাম সাড়ে চার ঘণ্টার পথ।
  • নিজের গাড়িতে কলকাতা থেকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে উলুবেড়িয়া, বাগনান, কোলাঘাট, মেচেদা, পাঁশকুড়া, ডেবরা, খড়্গপুর, লোধাশুলি হয়ে ঝাড়গ্রাম আনুমানিক ২০০ কিলোমিটার পথ।

কোথায় থাকবেন

[সম্পাদনা]
  • ঝাড়গ্রামে অশোকা হোটেল।

কোথায় খাবেন

[সম্পাদনা]
  • শান্তিনিকেতন হোটেলে ঘরোয়া খাবার পাওয়া যায়।