বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে
ভ্রমণ সতর্কীকরণ সতর্কীকরণ: অনেক দেশের সরকারই বাগদাদে কোনরকম ভ্রমণ না করতে পরামর্শ দিয়ে থাকে। আরও জানতে ইরাক নিবন্ধের সতর্কবার্তা দেখুন।
(সর্বশেষ হালনাগাদ: আগস্ট ২০২০)

বাগদাদ (আরবি: بـغداد) হলো ইরাকের রাজধানী এবং সবচেয়ে বড় শহর। বাগদাদে প্রায় ৬০ - ৭০ লক্ষ লোক বাস করে।

জানুন

[সম্পাদনা]

একসময়ের বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র হিসেবে বাগদাদের একটি দীর্ঘ এবং বর্ণাঢ্য ইতিহাস রয়েছে।

কীভাবে যাবেন

[সম্পাদনা]

নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে সাধারণত বাগদাদ ভ্রমণ নিষেধ করা হয় না। বিশেষত জঙ্গি এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীর লোকেরা প্রায়ই বিদেশিদের অপহরণ ও হত্যা করে থাকে। তবে বাগদাদ বিমানবন্দর বেশ নিরাপদ, তাই প্রয়োজনে সেখানে যাওয়াও নিরাপদ।

বিমানে করে

[সম্পাদনা]

ইরাকের জাতীয় বিমান সংস্থা হলো ইরাকি এয়ারওয়েজ যেটি ৩০টিরও অধিক আধুনিক জেট বিমান পরিচালনা করে। ইরাকি এয়ারওয়েজ প্রধানত দেশের অভ্যন্তরীণ যাতায়াত অধিক পরিচালনা করে। তবে তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বেশকিছু পথে যাতায়াত করে। এছাড়াও ইউরোপ এবং এশিয়া থেকে অনেক বিমান নিয়মিত বাগদাদে যায়। এছাড়াও ফ্লাইবাগদাদের মতো কিছু বিমান সংস্থা কম খরচেই বাগদাদে যাওয়ার সুবিধা প্রদান করে থাকে। ইউরোপ থেকে বাগদাদে যাওয়ার সেরা উপায় হলো অস্ট্রীয় অথবা তুর্কি এয়ারলাইন্স ব্যবহার করা। যারা ইরাকে বেসরকারী সংস্থার (এনজিও) জন্য কাজ করে, তাদের জন্য বাগদাদে যাওয়ার জন্য চার্টার এয়ারলাইন্স রয়েছে।

প্রায়ই মরুভূমির বালুর ঝড় হওয়ার কারণে পরিষ্কারভাবে চারদিক দেখা সম্ভব হয় না বলে অনেক বিমান অবতরণ করতে না পেরে ফিরে যায়। বাগদাদ বিমানবন্দর পর্যন্ত যাওয়ার পরে রানওয়েতে সীমিত দৃশ্যমানতার কারণে আবার ফেরত চলে যাওয়া বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলোর ক্ষেত্রে স্বাভাবিক বিষয়।

  • 1 বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (مطار بغداد الدولي) (বাগদাদের কেন্দ্র হতে ১৬ কিলোমিটার পশ্চিমে)। এখানে বিমানবন্দরের সকল সেবাই (যেমন: ব্যাংক, এটিএম, মোবাইল ফোন কোম্পানি, রেস্তোরাঁ, হোটেল ইত্যাদি) উপলব্ধ। BGW  আইএটিএ উইকিপিডিয়ায় বাগদাগ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Q304438)

ট্রেনে করে

[সম্পাদনা]

বাসরা থেকে রাতের ট্রেন পাওয়া যায় যেগুলো সকাল বেলায় পৌঁছে যায়। ট্রেনের মানের উপর ভিত্তি করে ভাড়া ১০,০০০ থেকে ২৫,০০০ দিনার হয়ে থাকে। কারবালা থেকে কিছু অনিয়মিত ট্রেনও যাতায়াত করে। এছাড়াও ফালুজা থেকে ট্রেন দিনে দুইবার যাতায়াত করে। তবে বর্তমানে চলমান সংঘর্ষের কারণে যাত্রা বাতিল হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা।

  • 1 বাগদাদ সেন্ট্রাল স্টেশন (محطة بغداد المركزية), দামেস্ক স্কয়ার ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বাগদাদ সেন্ট্রাল স্টেশন স্থাপত্যগত দিক দিয়ে একটি চিত্তাকর্ষক রেলওয়ে স্টেশন। প্রায় সকল ট্রেনই এখানে যাতায়াত করে। এটি সিটি সেন্টারের এক কিলোমিটার উত্তরে দামেস্ক স্কয়ারের কাহিরো স্ট্রিটে অবস্থিত। উইকিপিডিয়ায় বাগদাদ সেন্ট্রাল স্টেশন (Q3544831)

গাড়িতে করে

[সম্পাদনা]

সকল প্রতিবেশী দেশ থেকেই বাগদাদে স্থলপথে যাত্রা করা সম্ভব। বাগদাদে যাওয়ার প্রধান প্রধান সড়কগুলোও বেশ ভালো। তবুও সহিংসতার কারণে সাধারণত সড়ক পথে বাগদাদে যাত্রা নিরুৎসাহিত করা হয়।

বাসে করে

[সম্পাদনা]

ইরাকের প্রধান শহরগুলো থেকে প্রতিদিন একাধিক বাস বাগদাদে যাওয়া-আসা করে। ইস্তানবুল এবং আনকারা থেকে দূরপাল্লার বাস যাওয়া-আসা ২০১৮ সাল থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে। বাসগুলো সপ্তাহে দুই বার যাওয়া আসা করে। তবে যেতে ৩০ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় লাগে। অধিকাংশ দূরপাল্লার বাস লুয়া ত্রুটি মডিউল:মানচিত্র এর 334 নং লাইনে: attempt to concatenate field 'group' (a nil value)। (گراج العلاوي) এ থামে।

ঘুরে দেখুন

[সম্পাদনা]
মানচিত্র
বাগদাদের মানচিত্র

যদিও প্রায় প্রতিদিনের বোমা বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলি এই মুহূর্তের জন্য কমে গেছে, শহরের চারপাশে ভ্রমণ করার সময় সর্বদা সহিংসতার ঝুঁকি থাকেই। তাই সতর্ক থাকা অপরিহার্য।

নিরাপদ থাকুন

[সম্পাদনা]

সাধারণত বিশেষ কারণ ব্যতীত ইরাকে যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়। অধিকাংশ প্রবাসী এবং ভ্রমণকারী ইরাকে নিরাপত্তা কর্মী ভাড়া করে রাখে যারা সর্বদা পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে থাকে। আন্তর্জাতিক সীমারেখার বাইরে ভ্রমণ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বাগদাদে প্রায় প্রতিদিনই বোমা বিষ্ফোরণ হয়ে থাকে। অনেক ইরাকী নিজেদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখে। বাজার এবং জনসমাগম সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের প্রধান লক্ষ্য। ইরাকে প্রায়ই বিদেশিদের অপহরণ করা হয়। সাধারণত টাকার জন্য এসব অপহরণ করা হয়।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী বাগদাদে ড্রোন হামলা চালায়। মার্কিন সামরিক ড্রোনগুলো সামরিক ব্যক্তিত্বদের হত্যার লক্ষ্যে অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সজ্জিত হয়ে থাকে।

বিষয়শ্রেণী তৈরি করুন