অবয়ব
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/b/be/%E0%A6%95%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%80_%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%2C_%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%2C_%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A5%A4_Kangsavati_Reservoir%2C_West_Bengal%2C_India.jpg/300px-%E0%A6%95%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%80_%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%2C_%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%2C_%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A5%A4_Kangsavati_Reservoir%2C_West_Bengal%2C_India.jpg)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/f4/Rasmancha%2C_Ambikanagar_-_DSC_3979.jpg/300px-Rasmancha%2C_Ambikanagar_-_DSC_3979.jpg)
মুকুটমণিপুর, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার খাতড়া মহকুমার অন্তর্গত একটা পর্যটন কেন্দ্র। বাঁকুড়া জেলার বেশ কয়েকটা পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে মুকুটমণিপুর অন্যতম।
জানুন
[সম্পাদনা]মুকুটমণিপুরের অন্যতম আকর্ষণ হল মুকুটমণিপুর কংসাবতী জলাধার ও তার পাশাপাশি নতুন পরিবেশ। সম্প্রতি এখানে বাঁকুড়ার হস্তশিল্প এবং অন্যা্ন্য উপহার সামগ্রীর সারি বাঁধা দোকান তৈরি হয়েছে। জলাধারে সবান্ধব বোটিং করতে করতে স্বচ্ছ শীতল জলে হাত ভিজিয়ে ছবি তুলতে তুলতে দিব্যি কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারেন। জলাধার এবং তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ পর্যটকদের মুগ্ধ করে দেবে।
কলকাতা থেকে মুকুটমণিপুরের দূরত্ব আনুমানিক আড়াইশো কিলোমিটার। সপ্তাহান্তের দুটো দিন এখানে সপরিবারে আনন্দের মধ্যে কাটিয়ে দেওয়া যায়।
যাতায়াত
[সম্পাদনা]- কলকাতা (হাওড়া স্টেশন) থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনে বাঁকুড়া। বাঁকুড়া থেকে বাস কিংবা চার চাকার ভাড়া গাড়িতে মুকুটমণিপুর।
- কলকাতা থেকে দিনে/রাতে, সাধারণ/বাতানুকূল, সরকারি/বেসরকারি বাসে সরাসরি মুকুটমণিপুর।
- নিজের গাড়িতে কলকাতা থেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে দুর্গাপুর, বাঁকুড়া, খাতড়া হয়ে মুকুটমণিপুর।
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- 1 কংসাবতী জলাধার (মুকুটমণিপুর জলাধার)। ১৯৫৬ সালে দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার কালে সেচের সুবিধার জন্য এই বাঁধ ও জলাধার নির্মিত হয়। বাঁধটির দৈর্ঘ্য ১০,০৯৮ মিটার ও উচ্চতা ৩৮ মিটার। জলাধারের আয়তন ৮৬ বর্গ কিলোমিটার। এই জলাধারের দৃশ্য বেশ মনোরম।
- 2 পরেশনাথ শিব মন্দির।
- 3 অম্বিকানগর (মুকুটমণিপুর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অম্বিকানগর।)।
- মুকুটমণিপুর জলাধারের বিস্তীর্ণ বাঁধ ধরে নিজের গাড়ি কিংবা ভাড়া করা ভ্যান রিকশা করে তিন-চার কিলোমিটার দূরে মনোরম ইকো পার্ক এবং পাহাড়ি মন্দির দর্শন করুন। মন্দিরে পৌঁছাতে গেলে আপনাকে পাহাড়ের গা বেয়ে হালকা 'ট্রেকিং' করে উঠতে হবে। ট্রেকিংয়ের ছোঁয়া পাওয়াটা আরেক মজা!
খাওয়াদাওয়া
[সম্পাদনা]- মুকুটমণিপুর জলাধারের মূল ফটক পার হলেই বাঁদিকে পর পর খাওয়ার হোটেল আছে। ওখানে খাওয়াদাওয়া সেরে নিতে পারেন।
- বেড়ানোর ক্লান্তি দূর করতে আপনি পেয়ে যাবেন টাটকা আখের রস।
কেনাকাটা
[সম্পাদনা]- মুকুটমণিপুর জলাধার চৌহদ্দির মধ্যেই প্রত্যেক দিন বাঁকুড়ার বিখ্যাত হস্তশিল্পের মেলা বসে যায়। এখানে খুশিমতো কেনাকাটা করতে পারবেন।
রাত্রিযাপন
[সম্পাদনা]- 1 পিয়ারলেস রিসর্ট, ধাগরা, খাতরা, ☎ +৯১ ৯৯৩২৭৮৭৯৯৩, +৯১ ৯৪৩৪০৫২৪৩০, ইমেইল: peerlessresort@yahoo.com।
- 2 হোটেল গ্রিন পার্ক, ☎ +৯১ ৩২৪৩২৫৩৩৭৯-২৫৩২১২।
- 3 ইয়ুথ হোস্টেল (সরকারি পর্যটক আবাস)। সরকারি পর্যটক আবাসের বুকিংয়ের জন্যে পশ্চিমবঙ্গ ট্যুরিস্ট ব্যুরো, ৩২/১ বিবিডি বাগ, কলকাতা-৭০০০০১-এ যোগাযোগ করতে হবে।
- 4 কংসাবতী ভবন। এখানে থাকতে হলে সেচ ও জল সরবরাহ বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, রাইটারস বিল্ডিং, কলকাতা থেকে বুকিং করতে হবে।