রায়গঞ্জ কুলিক নদীর তীরে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের একটি শহর। এটি উত্তর দিনাজপুর জেলার সদর দপ্তর। এটি একটি ২০০ বছরের প্রাচীন শহর। শহরটি প্রায় ৩৬.৫১ বর্গকিমি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। কিন্তু বর্তমান শহরে ক্রমবর্ধমান প্রবণতা ও নগর এলাকার আশপাশের এলাকায় নগরের সম্প্রসারণ ঘটে চলেছে দ্রুত গতিতে। এই শহরে রয়েছে রায়গঞ্জ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য (কুলিক পক্ষীনিবাস নামে পরিচিত), যা বৃহৎ জনসংখ্যার এশীয় শামুকখোল (এশিয়ান ওপেনবিল) এবং অন্যান্য জলজ পাখির আবাসস্থল এবং এটি এশিয়ার বৃহত্তম পাখি অভয়ারণ্য।
কীভাবে যাবেন
[সম্পাদনা]ট্রেন
[সম্পাদনা]আনন্দবিহার-রাধিকাপুর সুপারফ্রাস্ট এক্সপ্রেস একটি দৈনিক ট্রেন, যা রায়গঞ্জকে দিল্লির সাথে সংযুক্ত করে। কলকাতা-রাধিকাপুর এক্সপ্রেস একটি প্রতিদিনের ট্রেন যা রায়গঞ্জকে কলকাতার সাথে যুক্ত করে। নতুন জলপাইগুড়ি-রাধিকাপুর প্রতিদিনের ডেমু যাত্রীবাহী ট্রেন শিলিগুড়ির সঙ্গে রায়গঞ্জকে যুক্ত করে।
দেখুন
[সম্পাদনা]- 1 রায়গঞ্জ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, (কুলিক পাখি অভয়ারণ্য) (এটি রায়গঞ্জ শহরের কেন্দ্র থেকে ৪ কিমি উত্তরে অবস্থিত)। এশিয়ার বৃহত্তম পাখি অভয়ারণ্য। নানা প্রজাতির পাখি দেখতে ভারত তথা বিদেশ থেকে পর্যটকেরা আসেন। এখানে পর্যটকদের থাকার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন বিভাগের অতিথিশালা রয়েছে। এছাড়া রায়গঞ্জ শহরে অনেক হোটেল আছে। রায়গঞ্জ কলকাতার সাথে সড়ক ও রেলপথের সঙ্গে যুক্ত। এই বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যে স্থানীয় কিছু প্রাণী যেমন, শিয়াল, খেঁকশিয়াল, খরগোশ, বনবিড়াল প্রভৃতি আশ্রয় পেয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকার কাঁকড়া ও মাছ পাওয়া যায়। প্রতি বছর জুন মাস থেকে অভয়ারণ্যটি পরিযায়ী পাখিতে ভরে যায়। এশীয় শামুকখোল, বক, পানকৌড়ি ইত্যাদি পাখিও দেখা যায়।
করুন
[সম্পাদনা]কিনুন
[সম্পাদনা]- । কেনা
এখানে কেনাকাটা করার জন্য কয়েকটি শপিংমল রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটির বিবরণ নিচে দেওয়া হল-
- ওয়াহ বাজার।
- স্টাইল বাজার।
এছাড়াও স্টাইল বাজার, এমবাজার, শ্রীনীবাস, স্মার্ট বাজার, কলায়ণের রয়্যালইনফিল্ড, হোন্ডা, হিরো, সুজুকি শোরুম ইত্যাদি রয়েছে এই শহরে। সিটি সেন্টার রায়গঞ্জের নাগরিকের চাহিদাযুক্ত শপিংমল।