অন্ধ্রপ্রদেশ ভারতের একটি প্রদেশ ও প্রশাসনিক অঞ্চল। ২০০৪ সালে অঞ্চলটি দুইটি অংশে বিভক্ত ছিল, উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের অর্ধেকাংশ নতুন রাজ্য তেলঙ্গানার হয়ে যায়।
অঞ্চল
[সম্পাদনা]- উত্তরাঞ্চলীয় উপকূল
- দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূল
- রায়ালসীমা - চিত্তর, আনাতাপুর, কুদ্দাহ এবং কুলনুল জেলা এর অন্তর্ভুক্ত
শহর
[সম্পাদনা]অন্যান্য গন্তব্যস্থল
[সম্পাদনা]বৈশিষ্ট্য
[সম্পাদনা]জলবায়ু
[সম্পাদনা]অন্ধ্রপ্রদেশের আবহাওয়া প্রধানত উষ্ণ ও শুষ্ক প্রকৃতির। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এখানে বৃষ্টি হয়ে থাকে এবং যেসব অঞ্চলে কৃষি মূলত বৃষ্টিনির্ভর সেখানে এই সময় পর্যাপ্ত পরিমানে বৃষ্টি হয়। এই অঞ্চলে ভ্রমণ করার সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কারণ তখন এখানে শীতের মৌসুম। বছরের সবচেয়ে উষ্ণ মাস হলো এপ্রিল, মে এবং জুন।
ভূগোল
[সম্পাদনা]এই রাজ্যটি ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল অঞ্চলে অবস্থিত। অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তরে তেলঙ্গানা ও ছত্তীসগঢ়, দক্ষিণে তামিলনাড়ু, উত্তর-পূর্বে ওড়িশা, পশ্চিমে কর্ণাটক ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। এই রাজ্যের উত্তরপূর্ব দিকে গোদাবরী বদ্বীপ এলাকায় পুদুচেরি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ইয়ানাম জেলা (আয়তন ৩০ কিমি২ (১২ মা২)) অবস্থিত। অন্ধ্র প্রদেশের একটি সমৃদ্ধময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে এবং এটি তার সমৃদ্ধময় ইতিহাস, স্থাপত্য এবং সংস্কৃতির জন্য অধিক পরিচিত। অন্ধ্রপ্রদেশে বিভিন্ন ধরনের পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে যেখানে সৈকত, পাহাড়, বন্যপ্রাণী, বন ও মন্দির ইত্যাদি রয়েছে।
ভাষা
[সম্পাদনা]তেলেগু অন্ধ্রপ্রদেশের সরকারি ভাষা এবং এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষই এই ভাষায় কথা বলে থাকে। তবে, সেখানকার শিক্ষিত মানুষ হিন্দি এবং ইংরেজী উভয় ভাষায় কথা বলতে পারে। দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ মানুষের মতোই তেলেগু ভাষাভাষীরা তাদের ভাষা এবং সংস্কৃতি নিয়ে বেশ রক্ষণশীল এবং তারা হিন্দির চেয়ে ইংরেজীতে আলাপ করতে অধিক প্রস্তুত থাকে।
যোগাযোগব্যবস্থা
[সম্পাদনা]আকাশপথ
[সম্পাদনা]অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম শহরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। বিজয়ওয়াড়া, তিরুপতিতে কয়েকটি ব্যস্ত বিমানবন্দর রয়েছে যেখানে স্থানীয় বিমান উঠানামা করে।
স্থলপথ
[সম্পাদনা]ভারতের বাকি অংশ থেকে অন্ধ্রপ্রদেশে আসা যাওয়ার অনেকগুলি ট্রেন রয়েছে।