আগরতলা হল ভারতের অঙ্গরাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী শহর। আগর গাছ থেকেই এই ভূখণ্ডের নাম আগরতলা হয়েছে। প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পাওয়া ত্রিপুরার রাজধানীর নগরায়নের ফলে দিনে দিনে এখানে আগর গাছের সংখ্যা কমতে থাকে। তবে আজো শহরের পুরোনো কোনো বাড়ির এক চিলতে উঠোনে গিয়ে পড়লে বিশাল আগর গাছ দেখতে পাবেন। উত্তর ত্রিপুরাসহ সারা রাজ্যেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রচুর আগর গাছ আছে। হয়তো গৃহকর্তা বেশি দাম পাবার আশায় আগর গাছটাকে লালন করে যাচ্ছেন। কেননা, একটা বড়ো আগর গাছ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। এই গাছ থেকে সুগন্ধি, ধূপ তৈরি হয়। ধূপের আরেক নাম 'আগরবাতি' এই গাছ থেকেই এসেছে।
আগরতলা ছোট্ট শহর। শহরের এক প্রান্তে বিমানবন্দর, অন্যদিকে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে চালু হওয়া রেল স্টেশন। চড়াই-উতরাইয়ের মাঝে রাজবাড়ির আদলে তৈরি রেল স্টেশন দেখার মতো। শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত অটো রিকশা চড়েই চলে যাওয়া যায়। পুরো শহরটা কয়েকটা টিলার সমাহার।
বেড়াবার আকর্ষণ
[সম্পাদনা]আগরতলায় অবস্থিত প্রায় আড়াইশো বছরের মাণিক্য রাজবাড়ি, আলোঝলমল রাজ্য সংগ্রহশালা, জগন্নাথ মন্দির, বুদ্ধমন্দির, শহরের উপকণ্ঠে চাবাগান, রাবার বাগান ইত্যাদি দেখার মতো।
যাতায়াত
[সম্পাদনা]আগরতলার সঙ্গে এই মুহূর্তে দেশের অন্যান্য অংশের সড়ক, রেল এবং বিমানপথে যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে।
- কলকাতা থেকে ঢাকা হয়ে সড়কপথে আগরতলায় যাওয়া যায়।
- কলকাতা, গুয়াহাটি, ইম্ফল থেকে বিমানপথে আগরতলা যাতায়াত আছে।
- কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ, অসম হয়ে আগরতলা রেলপথে যাত্রী চলাচল হয়।
থাকা
[সম্পাদনা]রাজবাড়ির কাছে, শকুন্তলা রোডে, এছাড়া ত্রিপুরা ট্যুরিজমের কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে ভালো হোটেল পাওয়া যাবে।
কেনাকাটা
[সম্পাদনা]আগরতলায় ত্রিপুরা রাজ্যের হস্তশিল্প, বিশেষ করে বাঁশের কাজ জগদ্বিখ্যাত। এসব লোভনীয় জিনিসের অসংখ্য দোকান এই শহরে আছে।