উইকিভ্রমণ থেকে

গৌড়-পাণ্ডুয়া পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার একটি ঐতিহাসিক শহর

বিবরণ[সম্পাদনা]

আদিনা মসজিদ,পান্ডুয়া
দাখিল দরওয়াজা, গৌড়
বড় সোনা মসজিদ (বড়দুয়ারী)
লোটন মসজিদ, গৌড়

গৌড়-পাণ্ডুয়া বাংলার মধ্যযুগীয় রাজধানী। কলকাতার থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দূরে পশ্চিমবঙ্গে মালদা শহর থেকে উত্তর এবং গৌড়-পান্ডুয়া শহর থেকে দক্ষিণে অবস্থিত। গৌড়-পান্ডুয়া ভ্রমণের জন্য মালদা মূল ভিত্তি। এলাকাটি মহিমান্বিত তিনটি যুগে দেখেছিল- বৌদ্ধ পাল, হিন্দু সেন এবং মুসলিম সুলতানগণ। বাংলার শেষ হিন্দু সেনারা ১৩ শতকের শুরুতে মুসলিমদের দ্বারা অধিগ্রহন হয়েছিলেন। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ পর্যন্ত তারা শাসন করে। বৌদ্ধ বা হিন্দু যুগের কোনো মন্দির বা কাঠামোটির কোন সন্ধান পাওয়া যায় না। এমনকি মুসলিম যুগেরও এগুলিও ধ্বংসাত্মক।

১৩শ - ১৪শ শতাব্দীতে বাংলার শাসকরা দিল্লিতে সুলতানদের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট স্বাধীনতা বজায় রেখেছিল। এটি বাংলা ভাষা এবং বাংলা পরিচয় প্রতিষ্ঠার সময় ছিল। গল থেকে ইলিয়াস শাহ রাজবংশের শাসনব্যবস্থা এ উন্নয়নে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছিল।

এই স্থানটি বিভিন্নভাবে লক্ষসাবতী, লখনৌতি এবং জাননাবাদা নামে পরিচিত।

কি ভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

ট্রেনে[সম্পাদনা]

এটি কলকাতার প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা। উত্তর বাংলার সব ট্রেনগুলি মালদা টাউন স্টেশনে থামে। সুবিধাজনক সংযোগগুলি - সিলদহের গুর এক্সপ্রেস, হাওড়া থেকে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, কলকাতা ইত্যাদি।

ঘুরুন[সম্পাদনা]

মালদার শহর ও সুজাপুরে (স্থানীয় শহরটি NH_34-এ অবস্থিত) ভাড়া করা গাড়ি পাওয়া যায়।

গৌড় ও পাণ্ডুয়া দেখার জন্য পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন মালদা থেকে একটি বাস পরিচালনা করে। বিস্তারিত জানার জন্য মালদার পর্যটন লজে দেখুন।

এলাকা ল্যান্ডমার্ক[সম্পাদনা]

  1. মালদা টাউন রেলওয়ে স্টেশন
  2. মহোদিপুর সীমান্ত অতিক্রম (ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত)
  3. মহানন্দ সেতু
  4. এনবিএসটিসি মালদা ডিপো

পরবর্তী গন্তব্য[সম্পাদনা]