উইকিভ্রমণ থেকে
দার্জিলিং হিমালয়ান রেল (টয় ট্রেন)
ঘূম স্টেশনে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের টয় ট্রেন
ঘুম সেনা স্মারক
টয়ট্রেনসহ বাতাসিয়া লুপের সৌন্দর্য

ঘুম পাহাড়, ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলায় অবস্থিত একটা পাহাড়। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম পাহাড়ি পর্যটন কেন্দ্র দার্জিলিঙের লাগোয়া ঘুম পাহাড় হল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জমজমাট একটা স্টেশন। যার উত্তরে দার্জিলিং, দক্ষিণে কার্সিয়াং, পূর্বে তিস্তা তথা কালিম্পং এবং পশ্চিমে সুখিয়াপোখরি। ভারতের উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলপথের একটা শাখা শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং রুটের মধ্যে পড়ে ঘুম রেলস্টেশন। এই ঘুম রেলস্টেশন হল পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু রেলস্টেশন। শুধু তাই-ই নয়, এই রেল পরিবহন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত। কাছাকাছি আছে মনোরম পাহাড়ি সৌন্দর্য উপভোগ করার জায়গা 'বাতাসিয়া লুপ'। সারা পৃথিবীর পর্যটকদের কাছে ঘুম রেল স্টেশন অন্যতম আকর্ষণ। ঘুম রেল স্টেশন থেকে আরও ওপরে উঠলে পেয়ে যাবেন ঘুম বয়েজ হাই স্কুল। এই স্কুলের খেলার মাঠে পৌঁছালে মনে হবে পৃথিবীর ছাদে দাঁড়িয়ে আছেন! দার্জিলিং থেকে কালিম্পং, টাইগার হিল, সুখিয়াপোখরি, মিরিক, সান্দাকফু, বিজনবাড়ি যেখানেই যান-না-কেন, ঘুম পাহাড় ছুঁয়েই যেতে হবে, এই ঘুম হল জংশন স্টেশন।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

  • কলকাতা থেকে ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি। সেখান থেকে চার চাকার ভাড়া গাড়িতে ঘুম পাহাড়।
  • কলকাতা থেকে সাধারণ এবং শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বাসে শিলিগুড়ি। সেখান থেকে মিনিবাস কিংবা ছোটো গাড়িতে ঘুম পাহাড়।
  • কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরা হয়েও ঘুম পাহাড়ে যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন?[সম্পাদনা]

  • ঘুম রেল স্টেশনের পাশে জোড়বাংলায় ছোটোখাটো থাকার হোটেল আছে। দার্জিলিং শহর থেকে কাছেই ঘুম পাহাড়, তাই দার্জিলিঙে হোটেল তিস্তা অথবা অন্য যেকোনো হোটেলে থাকা যায়।

কী খাবেন?[সম্পাদনা]

  • ঘুম পাহাড়ের মোড়ে মোড়ে রেস্তোরাঁ আছে। সেখানে ভাত, মাছ, মাংস, রুটি, থুকপা, মোমো ইত্যাদি সবই পাওয়া যায়।