ধর্মনগর শহর হল উত্তর ত্রিপুরা জেলার সদর বা হেডকোয়ার্টার। ত্রিপুরা উত্তর জেলার ধর্মনগরের বহির্সীমার সিংহভাগ হল একদিকে বাংলাদেশের শ্রীহট্ট ওরফে সিলেট আর অন্যদিকে অসম। ধর্মনগরের অদূরেই আন্তঃরাজ্য চেকপোস্ট চুরাইবাড়ির অবস্থান; তাই যোগাযোগের সুবিধেটা বেশি। ধর্মনগরের মধ্যমণি হল কালীদিঘি। এই দিঘিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে যেন শহরটা। এরই চারদিক দিয়ে রাস্তা, হোটেল, দোকানবাজার, মন্দির চত্বর, কী নেই এখানে? সমতলের সঙ্গে অরণ্যানী এবং ছোটো ছোটো টিলার সমাহার হল এই ভূখণ্ড। অরণ্যাঞ্চলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অসংখ্য চাবাগান। তাই অনাবিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আর এক নাম হল ধর্মনগর।
কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]
- কলকাতা থেকে রেলপথে উত্তরবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি, অসমের লামডিং হয়ে উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগরেই প্রথম পৌঁছানো যায়।
- ঢাকা থেকে কলকাতা-আগরতলা-ঢাকা বাতানুকূল বাসে আগরতলা। আগরতলা থেকে রেল অথবা বাসে ধর্মনগর।
কোথায় থাকবেন?[সম্পাদনা]
- 1 সান হোটেল (দ্যা সান হোটেল), দীঘিরপাড়, কালীবাড়ি রোড, ধর্মনগর, ত্রিপুরা ৭৯৯২৫০, ☎ ০৮৭২৯৯ ৯৩৫৫৩ ।
- 2 লোকনাথ গেস্ট হাউস, বাজার, এসপি মুখার্জী রোড, ধর্মনগর, ত্রিপুরা, পিন ৭৯৯২৫০, ☎ ০৬০৩৩২ ৭৮৭২৭ । আগমন: দুপুর ২টো, প্রস্থান: বেলা ১২টা। ১৮৫০টাকা থেকে ২৫৭৫ টাকা।
- 3 হোটেল পঞ্চবটি, পাওয়ার হাউস কোয়াটার কমপ্লেক্স, ধর্মনগর, ত্রিপুরা পিন ৭৯৯২৫০, ☎ ০৮৭৩০৮ ১৯৭৭২ । আগমন: বেলা ১২টা, প্রস্থান: বেলা ১২টা।
কোথায় বেড়াবেন?[সম্পাদনা]
- 1 রোয়া বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য (রোয়া ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি)। এটি মাত্র ০.৮৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এই জাতীয় উদ্যানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণী, সরীসৃপ ইত্যাদি। এটি সারা বছর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
- 2 পানিসাগর ইকো পার্ক, লক্ষ্মণছড়া, ত্রিপুরা, পিন ৭৯৯২৬০।
- আন্দবাজার, কদমতলা, গঙ্গানগর চা-বাগান
- পেঁচারথলের কাছে শিলাছড়া বুদ্ধ ঝরনা
- চল্লিশদ্রোণ জামা মসজিদ
- পূর্ব ও পশ্চিম আঁধারছড়া
কোথায় খাবেন?[সম্পাদনা]
- সান হোটেলের রেস্তোরাঁয় বাংলা, ভারতীয়, চিনা এবং মহাদেশীয় সব রকম খানা-ই পাওয়া যায়।