উইকিভ্রমণ থেকে
এশিয়া > দক্ষিণ এশিয়া > ভারত > পূর্ব ভারত > পশ্চিমবঙ্গ > দার্জিলিং পাহাড় > নাইটিঙ্গেল পার্ক, দার্জিলিং

নাইটিঙ্গেল পার্ক, দার্জিলিং

নাইটিঙ্গেল পার্ক দার্জিলিং পাহাড়ের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। ভারতের ভ্রমণ মানচিত্রের মন কেড়ে নেওয়া 'পাহাড়ের রানি' বলা হয় দার্জিলিংকে। দার্জিলিংয়ের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তা থেকে ম্যাল পার্কের ওপর দিয়ে রাজভবনকে ডানদিকে রেখে নর্থ পয়েন্টের দিকে খানিক হেঁটে গেলেই পেয়ে যাবেন নাইটিঙ্গেল পার্ক। এটা ঠিক যে, দার্জিলিঙের একেকটা ভ্রমণ গন্তব্য একেক রকম। নিত্য নতুন সৌন্দর্য পিয়াসীর মন জয় করে নেয় এই অঞ্চলগুলো। তবেই তো সুদূর ইতালি থেকে আসা তরুণ পর্যটক ডেভিড ওলদ্রাত্তি দার্জিলিংকে ভারতে তাঁর প্রথম ভ্রমণ গন্তব্য করেছিলেন। নাইটিঙ্গেল পার্কের পর্যটক আসনে বসে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে গোধূলির কাঞ্চনজঙ্ঘার রং মিলান্তি খেলায় মুগ্ধ হয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ডেভিড বলেছিলেন, "পৃথিবীর অনেক জায়গায় পাহাড় এবং সূর্যাস্ত দেখেছি, কিন্তু দার্জিলিঙের এই দৃশ্য সেগুলো থেকে আলাদা, যা আজীবন মনে রাখার মতো!" ডেভিডের এই মন্তব্যেই বিশ্বের ভ্রমণবিলাসীদের দার্জিলিং পাহাড়ের প্রতি বিশেষ আকর্ষণের কারণ অনুভব করা যায়।

নাইটিঙ্গেল পার্কের একটা বিশেষ প্রদর্শ হচ্ছে বুলেট-নিরোধক মঞ্চ। এখানে একটা উঁচু মঞ্চ আছে যার মধ্যে কোনো ব্যক্তি থাকলে, বাইরে থেকে বন্দুকের গুলি চালালে ভিতরে ঢুকবেনা! এছাড়া আছে এক শিব মন্দির এবং সুন্দর ঝরনা। মনোরম পরিবেশ সপরিবার ভ্রমণ করার মতো।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

  • কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরা। বাগডোগরা থেকে হিলকার্ট রোড ধরে কার্সিয়াং, সোনাদা, ঘুম পাহাড় হয়ে চারচাকার ভাড়াগাড়িতে দার্জিলিং।
  • কলকাতা (শিয়ালদহ স্টেশন) থেকে দার্জিলিং মেল, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে নিউ জলপাইগুড়ি। চাইলে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংগামী হিমালয়ান 'ট্রয় ট্রেন' ধরে দার্জিলিং। অন্যথায় নিউ জলপাইগুড়ি থেকে চারচাকার ভাড়াগাড়িতে দার্জিলিং।
  • কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে সাধারণ/বাতানুকূল, দিন/রাতের বাসে শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ি থেকে 'ট্রয় ট্রেন'/মিনিবাস, চারচাকার ভাড়াগাড়িতে দার্জিলিং।
  • নিজের গাড়িতে কলকাতা থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে শিলিগুড়ি, সুকনা, কার্সিয়াং, সোনাদা, ঘুম পাহাড় হয়ে দার্জিলিং আনুমানিক ৭৩০ কিলোমিটার পথ।

কোথায় থাকবেন[সম্পাদনা]

  • নিচে দার্জিলিং মোটর স্ট্যান্ডে 'হোটেল তিস্তা'। ওপরে দার্জিলিং ম্যালে 'হোটেল সান'। এছাড়া চৌরাস্তার আশেপাশে পর পর হোটেল পাবেন।
  • সরকারি ট্যুরিস্ট লজে থাকার জন্যে আগাম বুকিং হয় কলকাতার বিবাদী বাগ পূর্বের ট্যুরিস্ট লজের কার্যালয়ে।

খাওয়া[সম্পাদনা]

দার্জিলিং ম্যালে 'স্টার রেস্তোরাঁ'য় দার্জিলিঙের বিখ্যাত মোমো, থুকপা অথবা সবুজ/কালো চায়ের সঙ্গে চিকেন পকোড়া খেতে খেতে আর সঙ্গীকে নিয়ে দূরে নিচে পাহাড়ি গাঁয়ের গোধূলিটা সন্ধ্যায় উত্তীর্ণ হওয়ার মনোরম দৃশ্য দেখতে দেখতে হারিয়ে যেতে পারেন!