নাড়াজোল হল অতীত বঙ্গদেশের রাজন্যবর্গের রাজমহলের একটা নাম এবং বর্তমান ভারতের পশিমবঙ্গ অঙ্গরাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একটা গ্রাম। ঐতিহাসিক বঙ্গরাজাদের রাজ্যপাটের সুবাদে নাড়াজোল নামের সঙ্গে অতীত গৌরব জড়িয়ে আছে। দুর্গা দালান, হাওয়া মহল ইত্যাদি ঘুরে ঘুরে দেখতে দেখতে আপনি হয়তো সেই অতীতেই উঁকি দিয়ে আসতে পারেন! রাজবাড়ির একাংশে চলছে নাড়াজোল রাজ কলেজ। আপনজনদের নিয়ে ইতিহাসকে ছুঁয়ে দেখতে কার না ভালো লাগে? আবার নাড়াজোলের রাস্তার দুধারের দৃশ্য দেখতে দেখতে আচমকা আপনার চোখ আটকে যেতেও পারে! কেননা, ওই রাস্তাতেই পড়বে লংকাগড় গ্রাম। হয়তো দেখবেন রাস্তার লাগোয়া কোনো খামার বা উঁচু জায়গায় কাঁচা-পাকা লংকা তাগাড় করা আছে; কিংবা লরিবোঝাই হচ্ছে বাজারজাতকরণের উদ্দ্যেশ্যে। আর গাড়িসুদ্ধ মানুষের হাঁচি-কাশিতে নাজেহাল হতে হচ্ছে! হ্যাঁ, ওই গ্রামের নাম আক্ষরিক অর্থেই লংকাগড়, ওখানে ঘর ঘর লঙ্কা চাষের ঐতিহ্য আছে। তাহলে আর সময় নষ্ট না-করে আগামী ছুটি কিংবা সপ্তাহান্তে নাড়াজোল সফরের জন্যে ব্যাগ গুছিয়ে ফেলুন!
জানুন
[সম্পাদনা]কলকাতা থেকে একদিনের ভ্রমণের জন্য নাড়াজোল একটি সুন্দর জায়গা।
প্রবেশ
[সম্পাদনা]রেলপথে
[সম্পাদনা]কলকাতা থেকে রেলপথে সরাসরি নাড়াজোল আসা যায় না। প্রথমে কলকাতা (হাওড়া স্টেশন) থেকে ট্রেনে করে পাঁশকুড়া স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে বাসে গৌরা, দাসপুর হয়ে নাড়াজোল।
- 1 পাঁশকুড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশন (পাঁশকুড়া স্টেশন)।
সড়কপথে
[সম্পাদনা]কলকাতা থেকে নিজ/ভাড়া চার চাকার গাড়িতে বিদ্যাসাগর সেতু, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, ছ-নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে পাঁশকুড়া (মেছোগ্রাম) থেকে ডানদিকে গৌরা, দাসপুর হয়ে নাড়াজোল আনুমানিক ১৪০ কিলোমিটার পথ।
কলকাতার এসপ্লানেড থেকে ঘাটাল, চন্দ্রকোনাগামী যে-কোনো বাসে দাসপুর, সেখান থেকে বাস অথবা ট্রেকারে নাড়াজোল।
দেখুন
[সম্পাদনা]- 2 নাড়াজোল রাজবাড়ি (নাড়াজোল রয়েল প্যালেস), নাড়াজোল, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ, পিন ৭২১২৩২। নাড়াজোলের রাজবাড়ি বা গড় নাড়াজোল ৫০০ বিঘা এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং ভিতরের ও বাইরের অংশে বিভক্ত।
খাওয়াদাওয়া
[সম্পাদনা]- নাড়াজোল বাজারে খাওয়ার হোটেলের অভাব নেই। সবরকমের খাবার পাওয়া যায়।