উইকিভ্রমণ থেকে
বকখালির সমুদ্র

বকখালি হল ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের ভ্রমণ মানচিত্রের অন্যতম সমুদ্র সৈকত। পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম জেলা দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার দক্ষিণ প্রান্তের সমুদ্র উপকূলে ঝাউগাছের বনানীবেষ্টিত বকখালির সাগরতট ভ্রমণপিপাসুদের বরাবরই আকর্ষণীয়। যে সমস্ত যে পর্যটক খুব ঘিঞ্জি জনবহুল সমুদ্র সৈকত পছন্দ করেননা, অথচ সাগরের ঢেউয়ের ডাকে সাড়া দিতে নির্জনতার মধ্যে অগভীর জলরাশিতে গা ভাসাতে চান, তাদের কাছে স্বর্গরাজ্য হল বকখালির মনোরম শোভামণ্ডিত বিস্তৃত তটভূমি! একসময় হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীর খেয়া কিংবা ভেসেল পার হয়ে বকখালি যেতে হোত। বর্তমানে নদীর ওপর সেতু হয়ে যাওয়ায় যাতায়াত অনেক সহজ হয়ে গেছে। বকখালির ট্যুরিস্ট লজ ছাড়িয়ে খানিকটা দক্ষিণমুখে ঝাউবনের ভিতর দিয়ে এগিয়ে গেলেই বঙ্গোপসাগরের উত্থিত ঢেউরাশির অস্ফুট গর্জন শুনতে শুনতে চটান সাগরবেলায় হাজির হয়ে যাবেন। যেখানে নিরন্তর আছড়ে পড়ছে ছোটো-বড়ো ঢেউ, যারা আপনার সঙ্গে খেলা করার জন্যে এগিয়ে এসেই বালিয়াড়িতে মিলিয়ে যাচ্ছে। ঢেউ মিলিয়ে যাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ছোটো ছোটো লাল কাঁকড়াগুলো গর্তের মুখে এসে জুল জুল করে দেখছে কে এল নতুন অতিথি!

যাতায়াত[সম্পাদনা]

বকখালি সাগরবেলা
বকখালির পথে হাতানিয়া-দোয়ানিয়া সেতু
  • কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন থেকে 'নামখানা লোকাল' ট্রেনে প্রান্তিক স্টেশন নামখানা। নামখানা থেকে বাস কিংবা অটো এবং টোটোতে বকখালি। কলকাতা থেকে বকখালি ঘণ্টা চারেকের সফর।
  • কলকাতা থেকে সরকারি এবং বেসরকারি বাসে সরসরি বকখালি।
  • নিজের বা ভাড়া চার চাকার গাড়িতে কলকাতা থেকে ডায়মন্ডহারবার রোড ধরে আমতলা, ডায়মন্ডহারবার, কাকদ্বীপ, নামখানা হয়ে সোজা বকখালি ১৩৮ কিলোমিটার পথ।

রাত্রিযাপন[সম্পাদনা]

  • বকখালি ট্যুরিস্ট লজের বুকিং কলকাতার ট্যুরিস্ট ব্যুরো, বিবাদী বাগ (পূর্ব) কলকাতা-৭০০০০১ থেকে করা যায়।
  • বর্তমানে বকখালিতে থাকার একাধিক হোটেল রয়েছে; আর এখানে এসি/নন-এসি সবরকম ঘরই সহজলভ্য।

খাওয়াদাওয়া[সম্পাদনা]

  • বকখালিতে খাওয়ার অনেক হোটেল আছে। অন্যান্য খাবারের মধ্যে সমুদ্রের নানা রকম মাছের পদ তো লোভনীয় ব্যাপার!