উইকিভ্রমণ থেকে
সীতাকুণ্ড উপজেলা > বাড়ৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যান

বাড়ৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের একটি দর্শনীয় স্থান, যা চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত। এটি দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে স্থাপিত যা রাজধানী ঢাকা হতে প্রায় ২৫০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত এবং জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষিত হয় ২০১০ সালে। এই সংরক্ষিত জাতীয় উদ্যানের আয়তন ২৯৩৩.৬১ হেক্টর।

বিশেষত্ব[সম্পাদনা]

বাড়ৈয়াঢালা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের উপজেলা সীতাকুণ্ডের অন্তর্গত একটি পার্বত্য এলাকা ও পর্যটনকেন্দ্র। চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই এলাকাটি এর নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য সুবিদিত।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

ঢাকা থেকে সকাল সন্ধ্যা যেকোন সময় বেশ কয়েকটি বাস সরাসরি চট্টগ্রাম যায়; সবগুলো বাসই সীতাকুণ্ডে প্রয়োজন অনুযায়ী থামে। ঢাকার সায়দাবাদ, শ্যামলী, কল্যাপুর, কলাবাগান, কমলাপুর থেকে এস.আলম, সৌদিয়া, গ্রীনলাইন, সিল্ক লাইন, সোহাগ, বাগদাদ এক্সপ্রেস, ইউনিক ইত্যাদি পরিবহণের বিভিন্ন এসি, ননএসি বাস সরাসরি চট্টগ্রাম যায়। চট্টগ্রামের মাদারবাড়ী ও কদমতলী বাস স্টেশন থেকে সীতাকুণ্ড যাবার বাসগুলো ছাড়ে। চট্টগ্রাম শহরের অলংকার মোড় এলাকা থেকে ঢাকা ট্রাঙ্ক রোড হয়ে বাস বা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগেও সীতাকুণ্ড যাওয়া যায়। আবার, অলঙ্কার থেকে মেক্সীতে করে সীতাকুণ্ডের ফকিরহাট যাওয়া যায়।

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা মেইল ট্রেনই শুধু সীতাকুণ্ড রেলস্টেশনে থামে। ঢাকা থেকে রাত ১১টায় যাত্রা শুরু করে পরদিন সকাল ৬ টা থেকে ৭ টার মধ্যে ট্রেনটি সীতাকুণ্ডে পৌঁছায়। অন্যান্য আন্তঃ নগর ট্রেনে আসতে চাইলে ফেনী স্টেশনে নেমে সেখান থেকে ১০/১৫ টাকা অটো/রিক্সা ভাড়ায় মহিপাল বাস স্ট্যান্ড গিয়ে লোকাল বাসে ৫০-৮০ টাকা ভাড়ায় সীতাকুণ্ড যেতে পারা যাবে। চট্টগ্রাম শহরের বটতলী রেলস্টেশন থেকে রেলযোগেও সীতাকুণ্ড যাওয়া যায়।

সীতাকুণ্ড থেকে সারাদিনের জন্য সিএনজি ভাড়া নেয়া যায়। সেক্ষেত্রে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা লাগতে পারে। তবে ইচ্ছা করলে পায়ে হেঁটে উদ্যানে ঘুরতে পারা যাবে তবে তাতে সময় বেশি লাগবে। সময় বাঁচাতে পারলে সহজেই সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই এলাকার ঝর্ণা ও ঝিরি ট্রেইল গুলো দেখে নেওয়া যাবে।

ঘুরে দেখুন[সম্পাদনা]

নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে বেড়াতে পারেন; এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হলো -

কোথায় থাকবেন[সম্পাদনা]

সীতাকুণ্ডে থাকার জন্য তেমন কোন ভালো মানের আবাসিক হোটেল নেই; থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জন্যে রয়েছে উন্নতমানের -

  • জেলা পরিষদ ডাকবাংলো - সীতাকুণ্ড।

সীতাকুণ্ড বাজারে কয়েকটি মাঝারি মানের আবাসিক হোটেল আছে। এছাড়া এখানে টেলি-কমিউনিকেশনের অধীনস্থ একটি ডাকবাংলো আছে। অনুমতি নিয়ে সেখানে থাকার চেষ্টা করা যায়। অতি সম্প্রতি সীতাকুণ্ড পৌরসভার ডি টি রোডে হোটেল সৌদিয়া নামে একটি আবাসিক হোটেল চালু হয়েছে। হোটেলটিতে ৮০০ থেকে ১৬০০ টাকায় কয়েক ধরণের রুম পাওয়া যায়।

চট্টগ্রামে থাকতে চাইলে সেখানে বিভিন্ন মানের হোটেল রয়েছে। এদের মধ্যে হোটেল প্যারামাউন্ট, হোটেল এশিয়ান এসআর, হোটেল সাফিনা, হোটেল নাবা ইন, হোটেল ল্যান্ডমার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

কী খাবেন[সম্পাদনা]

এখানকার প্রায় প্রতিটি আবাসিক হোটেল বা হোটেলের সন্নিকটে রেস্তোরাঁ বা খাবার হোটেল রয়েছে। সীতাকুণ্ড ভ্রমণে গিয়ে পর্যটকদের বেশি আকর্ষণ থাকে স্থানীয় আদিবাসীদের বিভিন্ন মেন্যুর প্রতি। বিশেষ করে চিংড়ি, রূপচাঁদা, লাইট্যা, ছুরি মাছসহ মজাদার শুটকি মাছের ভর্তার প্রতিই পর্যটকদের আকর্ষণ বেশি থাকে। খাবারের মেন্যু অনুযায়ী একে রেস্তোরাঁয় একেক ধরনের মূল্য তালিকা দেখা যায়। এছাড়াও সীতাকুণ্ড পৌরসভা, কুমিরা, ফৌজদাররহাট ইত্যাদি এলাকায় যে কোন রেস্তোরাঁয় সুলভ মূল্যে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

সতর্কতা[সম্পাদনা]

যেকোনো সমস্যায় যোগাযোগ করতে পারেন -

জননিরাপত্তা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য
  • ওসি, সীতাকুণ্ডঃ মোবাইল: ০১৭১৩-৩৭৩ ৬৪৫।