উইকিভ্রমণ থেকে
বীরসিংহে ঈশ্বরচন্দ্রের জন্মস্থান

বীরসিংহ হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গরাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এক প্রখ্যাত বর্ধিষ্ণু গ্রাম। প্রখ্যাত এই জন্যে যে, এখন থেকে ঠিক দুশো বছর আগে বাংলার নবজাগরণের দিশারী পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম হয়েছিল এই গ্রামে।

ভারতের পর্যটন মানচিত্রে বীরসিংহ[সম্পাদনা]

পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে তাঁর জন্মস্থানে বিদ্যাসাগর স্মৃতি জাদুঘর

ভারতের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিচ্ছে এই বীরসিংহ গ্রাম; কেননা, গত ২০২০ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকীতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারিভাবে ঘোষণা করেছিলেন যে, বীরসিংহ গ্রামকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

বিদ্যাসাগর মেলা[সম্পাদনা]

বঙ্গীয় সাক্ষরতা প্রসার সমিতি প্রতি বছর বীরসিংহ গ্রামে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিদ্যাসাগর মেলা বসায়। এই মেলায় বিদ্যাসাগরের জীবন ও কর্ম সম্পর্কিত নানা প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। ওই সময় বীরসিংহে আসলে ভ্রমণপিয়াসীরা একটা গ্রামীণ মেলার মজাও পেতে পারেন।

মাটির তিনতলা বাড়ি![সম্পাদনা]

জেলার নামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই অঞ্চলে অনেক মাটির বাড়ি আছে। এমনকি বীরসিংহ এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে আসলে আপনি তিনতলা মাটির বাড়িও দেখতে পাবেন।

গ্রামীণ শিল্প[সম্পাদনা]

বীরসিংহের লাগোয়া খড়ার গ্রামে গেলে দেখতে পাবেন ঘরে ঘরে পিতল-কাঁসার বাসন তৈরি হচ্ছে। হাতেনাতে গ্রামীণ শিল্প দেখার আনন্দ পেয়ে যাবেন।

যাতায়াত[সম্পাদনা]

  • কলকাতা থেকে সরাসরি সাধারণ/বাতানুকূল বাসে বীরসিংহ।
  • ট্রেনে হাওড়া স্টেশন থেকে পাঁশকুড়া, পাঁশকুড়া থেকে সিংহ ডাঙা, ওখান থেকে ই-রিকশায় বীরসিংহ।
  • নিজের গাড়িতে কলকাতা থেকে বিদ্যাসাগর সেতু পার হয়ে কোনা এক্সপ্রেস ওয়ে, ছ-নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পাঁশকুড়া, ঘাটাল, রথীপুর, সিংহ ডাঙা হয়ে বীরসিংহ।

থাকা[সম্পাদনা]

বীরসিংহ থেকে তেরো কিলোমিটার দূরে ঘাটাল মহকুমা শহরে থাকার হোটেল পাওয়া যায়।

খাওয়া[সম্পাদনা]

সিংহ ডাঙা এবং প্রধানত ঘাটালে সব রকম আমিষ, নিরামিষ খাবারের হোটেল ও রেস্তোরাঁ পাওয়া যায়।

কেনাকাটা[সম্পাদনা]

বিদ্যাসাগর মেলা থেকে বেড়ানোর স্মৃতি হিসেবে নানা হস্তশিল্পের সম্ভার কিনতে পারবেন। আর খড়ার গ্রামে গেলে কারখানার দোকান থেকে পিতল-কাঁসার বাসন কিনতে পারেন।