উইকিভ্রমণ থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির, মাতাবাড়ি, উদয়পুর, ত্রিপুরা

মাতাবাড়ি ভারত রাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অঙ্গরাজ্য ত্রিপুরার নবগঠিত গোমতী জেলার অন্তর্গত উদয়পুরের এ কটা প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। মাতাবাড়ির মূল আকর্ষণ হল ১৫০১ খ্রিস্টাব্দে মহারাজা ধন্যমানিক্য প্রতিষ্ঠিত ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির। ইতিহাসে ত্রিপুরাসুন্দরী শাক্তদেবী মন্দিরের উল্লেখ আছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'রাজারানি' উপন্যাসে মহারাজ গোবিন্দ মানিক্যের সময়ে পুরোহিত রঘুপতি, সেবাইত জয়সিংহসহ এই মন্দিরে পশুবলি নিষিদ্ধ করার অনেক কাহিনি বর্ণিত আছে। মহারাজার পালিত শিশুর মুখে 'এত রক্ত কেন?' কথাটা বাঙালি পাঠকমাত্রকেই আজো নাড়া দেয়!

এখানে মন্দির চত্বরে ওঠার মুখে ওষধি গাছ তুলসির বীথি পার হয়ে মন্দিরের পরিবেশ বেশ মনোরম লাগবে। দেবী মন্দিরের পিছনে বিশাল পুকুরে অজস্র মাছ এবং বড়ো বড়ো কচ্ছপকে খাবার ছড়িয়ে দেখার লোভ সামলানো যাবেনা। জনশ্রুতি আছে: 'নিশুতি রাতে বৃহদাকার কচ্ছপগুলো মন্দিরের চাতালে উঠে এসে মাতার মন্দির ঘেরে রাখে!'

আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে পর্যটকরা সত্যিই মুগ্ধ হয়ে যাবেন।

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

  • কলকাতা অথবা ঢাকা থেকে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাসে আগরতলা। আগরতলা থেকে সাধারণ/বাতানুকূল বাসে উদয়পুর ৪৫ কিলোমিটার পথ।
  • কলকাতা থেকে বিমানে আগরতলা। আগরতলা থেকে বাস অথবা চার চাকার ভাড়া গাড়িতে উদয়পুর।

কোথায় থাকবেন?[সম্পাদনা]

  • উদয়পুরের 'গুণবতী যাত্রী নিবাস' ত্রিপুরা ট্যুরিজমের একটা ইউনিট। আগরতলা থেকে বুকিং করা যায়।
  • আগরতলায় হোটেলে থেকে মাতাবাড়ি যাওয়া যায়, গাড়িতে এক ঘণ্টার পথ।

কী খাবেন?[সম্পাদনা]

  • বর্তমানে মন্দিরের আশেপাশেই অনেক খাওয়ার হোটেল পেয়ে যাবেন।
  • উদয়পুরে বাঙালির মাছ-ভাত, কিংবা অন্যান্যদের জন্যে চিনা, দক্ষিণ অথবা উত্তর ভারতের সব ধরনের খাবারই পাওয়া যায়।

কী কিনবেন?[সম্পাদনা]

  • মন্দির চত্বর অথবা কাছাকাছি গোমতী জেলার হেড কোয়ার্টার উদয়পুর থেকে মাতাবাড়ির স্মৃতিস্বরূপ ত্রিপুরার নানা হস্তশিল্পের কাজ কিনতে ভুলবেননা যেন!