মেঘালয় ভারতের উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি রাজ্য। এই রাজ্যের উত্তর ও পূর্ব দিকে অসম রাজ্য এবং দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র অবস্থিত। মেঘালয়ের রাজধানী শিলং।
ভূগোল[সম্পাদনা]
মেঘালয় উত্তর-পূর্ব ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলির অন্যতম। মেঘালয় এ অনেক নদী রয়েছে। এদের অধিকাংশই বৃষ্টিনির্ভর ও মৌসুমি হয়।
মালভূমির টিলাগুলোর উচ্চতা ১৫০ মিটার (৪৯০ ফুট) থেকে ১.৯৬১ মিটার (৬৪৩৪ ফুট) রেঞ্জের।
বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]
জনসংখ্যা[সম্পাদনা]
- খাশি : ৪৫%
- গারো : ২৭.৫%
- বাঙালি : ১৮%
- নেপালি: ৮.২৬%
- কচ : ২.৮%
- জৈন্তিয়া : ২.৫%
- হাজং : ১.৮%
- শেখ : ০.৩%
- অন্যান্য: ৪.৪%
ধর্ম[সম্পাদনা]
মেঘালয় ভারতের তিনটি খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যের মধ্যে একটি।
১৮৩০ সালে বাপিস্ট মিশনারি এখানে খুব সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেই সময় উপজাতিদের মধ্যে খ্রিস্ট ধর্ম ছড়িয়ে পরে। রাজ্যের ৭৫% মানুষ এই ধর্মের অনুগামী।
ভাষা[সম্পাদনা]
খাসি ভাষা ও গারো ভাষা এই রাজ্যের প্রধান দুই প্রচলিত ভাষা।
জেলাসমূহ[সম্পাদনা]
মেঘালয়ে সাম্প্রতিককালে ১১টি জেলা রয়েছে।
জৈন্তিয়া পাহাড়:
খাসি পাহাড় বিভাগ:
- পূর্ব খাসি পাহাড় জেলা (শিলং)
- পশ্চিম খাসি পাহাড় জেলা (নংস্তৈন)
- দক্ষিণ পশ্চিম খাসি পাহাড় জেলা (Mawkyrwat)
- রী ভোঈ জেলা (নংপো)
গারো পাহাড় বিভাগ:
- উত্তর গারো পাহাড় জেলা (রেসুবেলপাড়া)
- পূর্ব গারো পাহাড় জেলা (উইলিয়ামনগর)
- দক্ষিণ গারো পাহাড় জেলা (বাঘমারা)
- পশ্চিম গারো পাহাড় জেলা (তুরা)
- দক্ষিণ পশ্চিম গারো পাহাড় জেলা (আমপাতি)
পরিবহন[সম্পাদনা]
পর্বত সংকুল হওয়ায় এই রাজ্যে ভালো পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি।
আকাশপথে[সম্পাদনা]
শিলং বিমানবন্দর রাজ্যের প্রধান ও বৃহত্তম বিমানবন্দর। এর রানওয়ে মাত্র ১.৮ কিমি লম্বা।
রেলপথে[সম্পাদনা]
বর্তমানে আসাম সীমান্তবর্তী রাজ্যের উত্তর পশ্চিমে উত্তর গারো পাহাড় জেলা-র মেন্দিপাথর পর্যন্ত রেলপথ বিস্তৃত হয়েছে।