উইকিভ্রমণ থেকে
শুশুনিয়া পাহাড়ে সূর্যাস্ত
দূর থেকে শুশুনিয়া পাহাড়
রাজা চন্দ্রবর্মণের শিলালিপি

শুশুনিয়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার একটা ছোটো পাহাড়ি অঞ্চল। এটি বাঁকুড়া জেলার এক অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে পর্যটকদের কাছে বাড়তি আকর্ষণ হল শুশুনিয়া পাহাড়ের আর্টেজীয় কূপের অবিরত জলধারা। শুশুনিয়া পাহাড় পর্যটন করতে আসা মানুষের জন্যে প্রকৃতি মায়ের অকৃপণ দান হল এই জলধারা! এই 'শুশুনিয়া' নামেই একটা খনিজ জল প্রস্তুত হচ্ছে বর্তমানে।

অবস্থান[সম্পাদনা]

বাঁকুড়া জেলা শহর থেকে কাছেই, আনুমানিক পঁচিশ কিলোমিটার পথ। বাঁকুড়ার মালভূমি অঞ্চলকে রুক্ষ, শুষ্ক ভাবেন অনেকে। কিন্তু সেই ধারণাটা একেবারে বদলে যাবে শুশুনিয়া পাহাড়ে ভ্রমণ করলে। নতুন জায়গা, নতুন পাহাড়, মানুষকে সব সময় আকৃষ্ট করে এবং শুশুনিয়া পাহাড়ও সেই দিক থেকে অভিনবত্বের দাবি করতে পারে।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

  • কলকাতা থেকে দিন/রাত, সাধারণ/বাতানুকূল বাসে বাঁকুড়া। বাঁকুড়া শহর থেকে বাস অথবা ছোটো চারচাকার ভাড়াগাড়িতে শুশুনিয়া পাহাড়।
  • কলকাতা (হাওড়া স্টেশন) থেকে ট্রেনে বাঁকুড়া হয়ে ছোটো চারচাকার ভাড়াগাড়িতে শুশুনিয়া পাহাড়।
  • কলকাতা থেকে নিজের গাড়িতে জিটি রোড ধরে আরামবাগ, কোতুলপুর, জয়পুর, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া হয়ে শুশুনিয়া পাহাড় আনুমানিক ২২৫ কিলোমিটার পথ। অবশ্য দ্রুতগামী রাস্তা দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে দুর্গাপুর, বাঁকুড়া হয়ে শুশুনিয়া গেলে পঁচিশ কিলোমিটারের মতো বেশি গাড়ি চালাতে হবে।

দেখুন[সম্পাদনা]

মানচিত্র
শুশুনিয়া পাহাড়, বাঁকুড়ার মানচিত্র
  • 1 শুশুনিয়া পাহাড়শুশুনিয়া পাহাড় তার নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য বিখ্যাত। পাহাড় একটি পরিচিত পুরাতাত্ত্বিক ও জীবাশ্ম ক্ষেত্র। পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম শিলালিপিটি এই পাহাড়েই অবস্থিত। উইকিপিডিয়ায় শুশুনিয়া (Q7649810)
  • 2 চন্দ্রবর্মণের শিলালিপিপাহাড়ের প্রায় চূড়ায় রয়েছে বাংলার প্রাচীনতম শিলালিপি যা চতুর্থ শতকে খোদিত করা হয়েছিল বলে মনে করা হয়। উৎকীর্ণ করেছিলেন রাজা চন্দ্রবর্মণ। নিকটেই তাঁর রাজধানী ছিল পুষ্করণা। প্রাচীন পুষ্করণা জনপদ বর্তমানে পখন্না নামে পরিচিত।
  • 3 গন্ধেশ্বরী নদী (গন্ধেশ্বরী)। শুশুনিয়া পাহাড়ের দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে এই নদী প্রবাহিত। উইকিপিডিয়ায় গন্ধেশ্বরী নদী (Q5520673)

কোথায় থাকবেন?[সম্পাদনা]

  • 1 আরণ্যক, +৯১ ৩২৪২ ২৩৪২০১, +৯১ ৯৪৩৪৬৫১১৮৮এটি শুশুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এতে চারটি কক্ষ রয়েছে। একটি এসি, একটি নন এসি, একটি সাধারণ স্নানাগারসহ এবং তিনটি শয্যা বিশিষ্ট একটি ডরমিটরি
  • 2 ফরেস্ট গেস্ট হাউস
  • সুভম হোটেল, মুরুথবাহা ইকো পার্ক, শুশুনিয়া, ৯১ ৭০৩১৩৯৩৪০৯, +৯১ ৯৮৩২৩৪৪৫৪৪, +৯১ ৩৪৩ ২৫৪৭৫৪০, ইমেইল:
  • বাঁকুড়া জেলাশহরে ট্যুরিস্ট লজ, কামাক্ষ্যা লজ কিংবা সুধা লজে থাকতে পারেন।

কোথায় খাবেন?[সম্পাদনা]

  • বাঁকুড়ার মাচানতলা, সুভাষ রোডে পর পর খাওয়ার হোটেল আছে।

কী কিনবেন?[সম্পাদনা]

  • বাঁকুড়ায় এলেন আর ঘর সাজানোর জন্যে মাটির কিংবা কাঠের ঘোড়া কিনবেননা, তা কী হয়? এখানকার মাটির ঘোড়া বিশ্বখ্যাত!
  • রাজগ্রামের তাঁতের চাদর, পর্দা, সোফার কভার খুব মজবুত ও টেকসই হয়।

বিষয়শ্রেণী তৈরি করুন