সেবায়তন হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নবগঠিত জেলা ঝাড়গ্রামের একটা চমৎকার গ্রাম। ঝাড়গ্রাম জেলাশহরের অদূরে সেবায়তনে সমাজের নানামুখী জীবনচর্যার অবস্থান। এখানে আছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বহুমুখী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেবায়তন শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়, সেবায়তন সৎসঙ্গ মিশন, সেবায়তন উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, সেবায়তন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সেবায়তন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইত্যাদি। একটা গ্রামে একসঙ্গে এতকিছু পরিসেবা সচরাচর দেখা যায়না।
সেবায়তনে প্রকৃতি মায়ের কাছাকাছি আছে কাজুবাদাম এবং অন্যান্য ফলের বাগান, যা দেখে ভ্রমণপিয়াসী যেকোনো পর্যটকই মুগ্ধ হয়ে যাবেন। মেদিনীপুর শহর থেকে আসতে চাইলে বাসে ধেড়ুয়া কংসাবতী সেতু হয়ে ঝাড়গ্রামের ছ-কিলোমিটার আগেই পড়বে সেবায়তন।
কীভাবে যাবেন
[সম্পাদনা]- কলকাতা থেকে দিনে/রাতে সাধারণ/বাতানুকূল বাসে ঝাড়গ্রাম। ঝাড়গ্রাম থেকে বাস, ট্রেকার, অটোরিকশায় সেবায়তন পনেরো-কুড়ি মিনিটের পথ।
- কলকাতা (হাওড়া স্টেশন) থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনে ঝাড়গ্রাম আড়াই ঘণ্টার পথ। ঝাড়গ্রাম স্টেশন থেকে বাস, ট্রেকার, অটোরিকশায় সেবায়তন।
- কলকাতা থেকে বিদ্যাসাগর সেতু, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, ছ-নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে উলুবেড়িয়া, বাগনান, কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, খড়্গপুর, লোধাশুলি হয়ে ঝাড়গ্রাম ২০০ কিলোমিটার। ঝাড়গ্রাম মূল রাস্তা থেকে লেভেল ক্রসিং পার হয়ে সেবায়তন ছ-কিলোমিটার।
- কলকাতা (হাওড়া স্টেশন) থেকে লোকাল ট্রেনে মেদিনীপুর, সাড়ে তিন ঘণ্টার পথ। মেদিনীপুর থেকে বাসে ধেড়ুয়া হয়ে সরাসরি সেবায়তন এক ঘণ্টার পথ।
আহার ও পানীয়
[সম্পাদনা]ঝাড়গ্রাম শান্তিনিকেতন হোটেলে নানারকম মাছ, ভাত, দেশি মুরগি ও মাটন, পোস্তর নানা পদ, নিরামিষ সবই পাওয়া যায়।
রাত্রিযাপন
[সম্পাদনা]ঝাড়গ্রাম জেলাশহরে অনেক হোটেলে রাত্রিযাপন করা যায়। যেমন অশোকা হোটেল।