খাগড়াছড়ি জেলা বাংলাদেশের একটি জেলা। এটি চট্টগ্রাম বিভাগ এর অন্তর্গত। অপরুপ সৌন্দর্যের অধিকারী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা। এখানে রয়েছে অসম্ভব সুন্দর সব পর্যটন কেন্দ্র, যা দেখার জন্য বছরে প্রায় পতিদিনই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মোট আয়তন ২৭০০ বর্গ কিলোমিটার। এই জেলার উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা, পূর্বে রাংঙ্গামাটি জেলা এবং ভারতের মিজোরাম রাজ্য ও ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে চট্টগ্রাম জেলাও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য অবস্থিত।
কীভাবে যাবেন?
[সম্পাদনা]ঢাকা থেকে শুধুমাত্র সড়কপথে খাগড়াছড়ির যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। তবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ট্রেন বা প্লেনে করে গিয়ে সেখান থেকে বাস বা অন্য কোনো পরিবহন যোগে চট্টগ্রাম যেতে পারবেন।
স্থলপথে
[সম্পাদনা]সড়কপথে ঢাকা থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন কোম্পানীর একাধিক বাস দিনে ও রাতে ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে সরাসরি খাগড়াছড়ির সাথে এখনো কোনো রেল যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি। রেলে করে খাগড়াছড়ি যেতে চাইলে আপনাকে প্রথমে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে হবে। চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন পরিবহনের অসংখ্য বাস রয়েছে সরাসরি খাগড়াছড়ি যাওয়ার।
আকাশ পথে
[সম্পাদনা]আকাশপথে সরাসরি যোগাযোগ নাই।
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- পাবলাখালি বন্যপ্রাণী অভয়াশ্রম
- কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদ
- আলুটিলা গুহা
- রিসাং ঝর্ণা
- তৈদুছড়া ঝর্ণা
- জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্ক (ঝুলন্ত ব্রীজ)
- মং রাজবাড়ি
- গুইমারা
- পুরাতন চা বাগান
- দেবতা পুকুর
- সিন্ধুকছড়ি পুকুর
- বৌদ্ধ মন্দির
- রামগড় জঙ্গল
- রামগড় পাহাড় ও টিলা
- লক্ষীছড়ি জলপ্রপাত
- স্বার্থক
- পানছড়ি অরণ্য কুঠির
- হাতিমাথা পাহাড়: পাহাড়িরা একে এ্যাডোশিরা মোন বলে। এ্যাডো শব্দের মানে হাতি আর শিরা মানে মাথা।
- সাপমারা রিসাং ঝর্ণা
- পানছড়ি রাবার ড্রাম
- খাগড়াছড়ি গেইট
- শিবছড়ি ঝর্ণা
খাওয়া দাওয়া
[সম্পাদনা]বিভিন্ন রুচিশীল হোটেল রয়েছে যা থেকে সহজেই খাবার পাওয়া যায়।
রাত্রি যাপন
[সম্পাদনা]রাত্রি যাপনের জন্য আপনাকে অবস্যই প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হবে।তাছারা ভালো মানের অনেক হোটেল রয়েছে যেখানে আপনি সহজেই রাত্রি যাপন করতে পারবেন।