চাঁদপুর জেলা বাংলাদেশের একটি জেলা। এটি চট্টগ্রাম বিভাগ এর অন্তর্গত।
জানুন
[সম্পাদনা]পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্হলে এ জেলা অবস্থিত। চাঁদপুরের মানুষ তাদের আতিথেয়তার জন্য বিখ্যাত। ইলিশ মাছের অন্যতম প্রজনন অঞ্চল হিসেবে চাঁদপুরকে "ইলিশের বাড়ি" নামে ডাকা হয়। ১৯৮৪ সালের আগ পর্যন্ত এটি বৃহত্তর কুমিল্লার একটি অংশ ছিল। চাঁদপুর জেলার উত্তরে মুন্সিগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলা, দক্ষিণে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও বরিশাল জেলা পূর্বে কুমিল্লা জেলা এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী, শরিয়তপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলা অবস্থিত।
কীভাবে যাবেন?
[সম্পাদনা]চাঁদপুর জেলার আওতাধীন ২০৩ কিঃ মিঃ নৌপথ রয়েছে, যা দিয়ে বিপুল সংখ্যক যাত্রী ও বিপুল পরিমাণ পণ্য পরিবহন করা হয়।
স্থলপথে
[সম্পাদনা]ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে যেসব গাড়ি ছেড়ে যায় সেগুলোর মধ্যে পদ্মা এক্সপ্রেস ও মতলব এক্সপ্রেস অন্যতম।
আকাশ পথে
[সম্পাদনা]চাঁদপুর জেলায় কোনো বিমানবন্দর নেই।
জল পথে
[সম্পাদনা]ঢাকা সদরঘাট নদী বন্দর লঞ্চ টার্মিনাল থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্য যে কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে যায় তার মধ্যে আব-এ-জমজম, রফ রফ, ময়ূর-১, ময়ূর-২, আল বোরাক, মেঘনা রাণী, ইমাম হাসান ইত্যাদি লঞ্চসেবার নাম উল্লেখযোগ্য।
ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শন
[সম্পাদনা]- বড়স্টেশন মোলহেড নদীর মোহনা (চাঁদপুর সদর) চাঁদপুর জেলার শপথ চত্বর মোড় থেকে রিক্সা, অটোরিক্সা, বা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়। শপথ চত্বর থেকে এর দূরত্ব ১/১.৫ কিলোমিটার।
- জেলা প্রশাসকের বাংলোয় অবস্থিত দুর্লভ জাতের নাগলিঙ্গম গাছ
- চাঁদপুর জেলার ঐতিহ্যের প্রতীক ইলিশ চত্বর যা চাঁদপুর জেলার বাস স্ট্যান্ডের পাশে এবং স্টেডিয়াম সামনে অবস্থিত। শপথ চত্বর মোড় থেকে রিক্সা, অটোরিক্সা, বা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়। শপথ চত্বর থেকে এর দূরত্ব ১ কিলোমিটার।
- ভাষ্কর্য (৯টি)
- প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ এলাকা
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মারক
- মত্স্য জাদুঘর, চাঁদপুর।
- হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ (৬ষ্ঠ বৃহত্তম)
- প্রাচীন স্থানসমূহে উল্লেখিত স্থান
- মেঘনা-পদ্মার চর
- ফাইভ স্টার পার্ক
- গুরুর চর
- রূপসা জমিদার বাড়ী
- শপথ চত্বর চাঁদপুর জেলার পাঁচ রাস্তার মোড় কালী বাড়িতে অবস্থিত। বাসস্ট্যান্ড থেকে রিক্সা, অটোরিক্সা, বা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়। ইলিশ চত্বর থেকে এর দূরত্ব ১ কিলোমিটার।
খাওয়া দাওয়া
[সম্পাদনা]ইলিশ চাঁদপুরের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সুপরিচিত খাবার। লঞ্চ থেকে নেমে ঘাটের পাশে, শহরের ভেতর কালীবাড়ি মোড়ে, হকার্স মার্কেটের সামনে এবং বাস স্ট্যান্ডে ঢোকার মুখে বেশ কিছু খাবার হোটেল আছে। এগুলোতে ইলিশ সহ তিন বেলার ভারী খাবার বা নাস্তা পাওয়া যায়। হোটেলগুলোর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হচ্ছে (স্টেডিয়ামের পাশে) ইলিশ চত্বরের 'ক্যাফে ঝীল'।
চাঁদপুরের মিষ্টিও অত্যন্ত সুস্বাদু। উল্লেখযোগ্য নামের মধ্যে আছে কালীবাড়ি মোড়ে 'ওয়ান মিনিট', পাল বাজারের পাশে 'সুইট হোম', জোড় পুকুর পাড় এবং ইলিশ চত্ত্বরে 'মৌসুমী সুইটস্'। শহরের বাইরে ফরিদগঞ্জ বাজারে আছে 'আউয়ালের মিষ্টি', আর মতলব বাজারে আছে 'গান্ধী ঘোষ'। শাপলা চত্ত্বর থেকে সিএনজি কিংবা বাস-স্ট্যান্ড থেকে বাসে করে ফরিদগঞ্জ যাওয়া যায়, ভাড়া ৩০-৫০ টাকা। মতলব যাওয়ার জন্যও শাপলা চত্ত্বর থেকে সিএনজি পাওয়া যাবে, ভাড়া ৩০-৪০ টাকা। যেতে সময় সর্বোচ্চ একঘন্টা লাগতে পারে।
চটপটি-ফুঁচকা, ঝালমুড়ি ইত্যাদী পাওয়া যাবে মাতৃপীঠ স্কুলের সামনে হ্রদের পাড়ে, পাল বাজার ব্রীজের উপরে, ঠোডায় (ডাকাতিয়া ও পদ্মা-মেঘনার সংযোগস্থল)। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য পাল বাজার ব্রীজের উপরের 'বিসমিল্লাহ ঝালমুড়ি'।
সব খাওয়া-দাওয়ার মাঝখানে সন্ধ্যায় নদীর পাড়ে বসে এক কাপ পুদিনা পাতা দেয়া লাল চা খেতে চাইলে যেতে পারেন প্রেস ক্লাবের পাশে 'গুরুর দোকানে'।
রাত্রি যাপন
[সম্পাদনা]- জেলা পরিষদ, ডাক বাংলো, হাইমচর, চাঁদপুর
- জেলা পরিষদ ডাক বাংলো, শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের সম্মুখে, শাহরাস্তি, চাঁদপুর ০১৭৩৫২২৮০৪৪
- ভাই ভাই আবাসিক হোটেল; ঠিকানাঃ তালতলা বাসস্টেশন, উপজেলা : চাঁদপুর সদর, জেলা: চাঁদপুর
- হোটেল সকিনা ঠিকানাঃ নতুনবাজার, উপজেলা: চাঁদপুর সদর, জেলা: চাঁদপুর
- হোটেল অতিথি ঠিকানাঃ ম্যাটারনিটি রোড, চাঁদপুর সদর
- উপজেলা ডাক বাংলো, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ, চাঁদপুর। ০১৮৪৯৮০৫৩৯৫
- হোটেল ষ্টার, হাজীগঞ্জ বাজার বড়পুল এর পূর্ব দক্ষিণ পার্শ্বে হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর। ০১৭১৩২১১২৯৯
- হোটেল রেডিসন, গাজী টাওয়ার হাজীগঞ্জ মধ্য বাজার বড় মসজিদের পশ্চিম পার্শ্বে হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর
- উপজেলা ডাকবাংলো, মতলব উত্তর
- ডাকবাংলো, ফরিদগঞ্জ