বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে

চিম্বুক পাহাড় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৫০০ ফুট উচ্চতায় এর অবস্থান। বান্দরবান পার্বত্য জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার। চিম্বুক পাহাড় থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত খুব নয়নাভিরাম।

কীভাবে যাবেন

[সম্পাদনা]

বান্দরবান জেলার রুমা সদর এবং বান্দরবান সদরে চিম্বুক পাহাড় অবস্থিত। বান্দরবানে পৌছানোর বেশকিছু উপায় আছে। বান্দরবানের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বাস চলাচল করে যেমন: এস আলম, শ্যামলী, সেন্টমার্টিন পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, রবি এক্সপ্রেস ইত্যাদি। বাসেভেদে ভাড়া প্রায় ৬০০ থেকে ১৪০০ টাকা হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে বান্দরবানে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টায় পৌছানো যায়। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে যেতে চাইলে বহদ্দারহাট টার্মিনাল থেকে পূরবী এবং পূর্বাণী নামক দুটি বাস ৩০ মিনিট পর পর বান্দরবানের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়। জন প্রতি ভাড়া ২০০ টাকা। কক্সবাজার থেকে যেতে চাইলে সেখান থেকেও পূরবী এবং পূর্বাণী বাসে করে সরাসরি বান্দরবানে যাওয়া যায়।

বান্দরবান শহর থেকে জীপ, চাঁদের গাড়ি বা বাসে করে চিম্বুকে যাওয়া যায়। চাইলে ব্যক্তিগত গাড়ীতেও যাওয়া সম্ভব। বান্দরবান শহর থেকে যেতে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের মত সময় লাগে। চিম্বুক-থানছি পথে বিকেল ৪ টার পরে কোনো গাড়ি চলাচল করে না। তাই ভ্রমণ ৪ টার আগেই শেষ করা উচিত।

চিম্বুক পর্যটন কেন্দ্র

কোথায় থাকবেন

[সম্পাদনা]

চিম্বুকে রয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে একটি রেস্টহাউজ, তবে তা পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত নয়। চিম্বুকের আশেপাশে রাত্রি যাপনের জন্য আবাসিক হোটেল মোটেল নেই। তবে বান্দরবান শহরে বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়া বান্দরবান থেকে যাওয়ার পথে সাইরু রিসোর্ট বা চিম্বুকের পরে নীলগিরিতে রাত্রি যাপন করা যেতে পারে।

চিম্বুক পাহাড়ের পাশে সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত একটি ক্যান্টিন রয়েছে। যেখানে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার পাওয়া যায়। এছাড়া আদিবাসীদের কিছু খাবার দোকান এবং হোটেল রয়েছে।