চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম বাংলাদেশের প্রধান আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত এই শহরটি পাহাড়, সমুদ্র এবং উপত্যকায় ঘেরা, যা একে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য "প্রাচ্যের রাণী" উপাধি এনে দিয়েছে। বঙ্গোপসাগরের তীরে এবং কর্ণফুলি নদীর পাড়ে অবস্থিত বৃহত্তর চট্টগ্রামে সরকারি হিসাব অনুযায়ী জনসংখ্যা ৩৯ লাখের কিছু বেশি।
ঢাকার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর চট্টগ্রামে দেশের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর ছাড়াও অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং শিল্পাঞ্চল রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর, বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন বন্দরগুলির একটি, যা টলেমির বিশ্ব মানচিত্রেও উল্লেখিত হয়েছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় ব্যস্ততম এবং বাংলাদেশের প্রধান সামুদ্রিক প্রবেশদ্বার।
ব্রিটিশ পত্রিকা *দ্য টেলিগ্রাফ* চট্টগ্রামকে এশিয়ায় সপ্তম এবং বিশ্বের দশম দ্রুততম ক্রমবর্ধমান শহর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং অর্থনৈতিক গুরুত্বের মিশেলে চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একটি অমূল্য রত্ন।
অনুধাবন
[সম্পাদনা]চট্টগ্রাম এশিয়ার অন্যতম বন্দর শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি মেরিটাইম রেশম পথের এবং গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের পূর্ব টার্মিনাসে অবস্থিত ছিল। মধ্যযুগের বিখ্যাত পরিব্রাজক ভেনেটিস নিকোলো দে কন্টি এবং সিজার ফ্রেডরিকম, বিখ্যাত মুর পরিব্রাজক ইবনে বতুতা এবং চীনা পরিব্রাজক ফেই-শিনের মতো অনেক বিখ্যাত পরিব্রাজক চট্টগ্রাম ভ্রমণ করেন। পর্তুগিজ, মোগল এবং ব্রিটিশরা বিংশ শতাব্দি পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম শাসন করেছিল। ব্রিটিশ ভারত বিভাজনের পর বর্তমানে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ বন্দর এবং অর্থনৈতিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তাই এটিকে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানীও বলা হয়।
বর্তমানে, চট্টগ্রাম বৃহৎ মহানগরী এলাকা, যেখানে প্রায় ৬৫ লক্ষ মানুষের বসবাস। ঢাকার মতোই এই শহরের সড়কগুলি রিক্সায় পূর্ণ থাকে। পাহাড়-পর্বত এবং সবুজের প্রাকৃতিক দৃশ্য চট্টগ্রামের অনন্য বৈশিষ্ট্য। কর্ণফুলি নদী জাহাজপথে মালামাল আনা-নেয়ার অন্যতম কেন্দ্র। চট্টগ্রাম শহরের রাস্তা ও আশপাশের স্থানগুলি পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্যান্য শহর থেকে অনেক এগিয়ে। শহরের অধিবাসীদের চাঁটগাঁইয়া বলা হয়। চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশনের মতো বিভিন্ন মোড়ে বিদেশীদের প্রায়ই ভিক্ষুকদের উপদ্রবের সম্মুক্ষীণ হতে হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভিক্ষুকরা এখানে আসে, কারণ চট্টগ্রামের মানুষরা বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের চেয়ে অধিক আবেগপ্রবণ ও দানশীল।
চট্টগ্রামের পুরাতন অংশে বেশকয়েকটি ঐতিহাসিক মসজিদ ও সমাধিস্থল রয়েছে। ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে মোগলদের কর্তৃক চট্টগ্রাম বিজয় লাভ করার পর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ নির্মিত হয়। এটি একসময় বড় পাহাড়ের চূড়ায় রূপ নিয়েছিল। এছাড়াও বায়েজিদ বোস্তামির সমাধিতে একটি পুকুর আছে যেটি কচ্ছপে ভর্তি, এই কচ্ছপগুলো বলা হয় কাছিম। সাবেক পর্তুগিজ উপনিবেশ পাথরঘাটায় অবস্থিত। এখানে বর্তমানে পর্তুগিজ ব্যবসায়ীদের উত্তরপুরুষরা বসবাস করছেন যারা স্থানীয়ভাবে ফিরিঙ্গি নামেও পরিচিত। এই এলাকায় রোমান ক্যাথলিক ডায়োসিস সহ বেশকয়েকটি গির্জা রয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বাঙালি যাজকদের আবাসও চট্টগ্রামে অবস্থিত।
শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম অংশ হলো স্টেশন সড়ক, নিউ মার্কেট মোড়, স্ট্র্যান্ড সড়ক, আগ্রাবাদ, জিইসি মোড়, ও.আর. নিজাম রোড, অক্সিজেন মোড়। খুলশী এবং নাসিরাবাদ শহরের মধ্যস্থল এবং অভিজাত শ্রেণীর লোকেরা এইখানে বসবাস করে। চট্টগ্রামে অনেক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী পরিবার রয়েছে।
ব্যুৎপত্তি
[সম্পাদনা]চট্টগ্রামের বুৎপত্তি অনিশ্চিত। চট্টগ্রাম শব্দটি, "চাটি" আর "গাম" প্রত্যয়যোগে গঠিত; যেখানে "চাটি" মানে "প্রদীপ" আর "গাম" মানে "ভালো"। চট্টগ্রাম বারো আউলিয়ার দেশ (বারো সুফি সাধকের দেশ) নামেও পরিচিত। বন্দর নগরটি ইতিহাসে বিভিন্ন নামে পরিচিত, যার মধ্যে রয়েছে চাটিগাঁও, চাটগাঁ, চাতগাঁও, শ্যাৎগাঙ্গ, চৈত্যগ্রাম, চাটিগাম, চট্টগ্রাম, ইসলামাবাদ, চট্টল, চট্টলা, শ্রীচট্টল, চিতাগঞ্জ, চিৎ-তৌৎ-গৌং, সপ্তগ্রাম, জাটিগ্রাম, চার্টিগান চতকাঁও, চৈত্যভূমি, রোসাং, জ্বালনধারা এবং পোর্টো গ্র্যান্ডে দে বেঙ্গালা। বঙ্গ থেকে যেভাবে বাঙ্গালী শব্দের উৎপত্তি একইভাবে চাটিগাঁ শব্দথেকেই চাটগাঁয়াদের চাটগাঁইয়া ভাষায় "চাঁডি" বলে ডাকা হয়।
জলবায়ু
[সম্পাদনা]চট্টগ্রাম | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জলবায়ু চার্ট (ব্যাখ্যা) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
আবহাওয়া ক্রান্তীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বহন করে, যা উষ্ণ এবং আর্দ্র। শহরে গ্রীষ্ম-বর্ষা মৌসুম (এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর) অত্যন্ত আর্দ্র এবং কখনো কখনো অস্বস্তিকর। বর্ষাকালে বৃষ্টিপাতের হার অনেক বেশি, যা কখনো কখনো বন্যার কারণ হতে পারে। অন্যদিকে শীতকাল (অক্টোবর থেকে মার্চ) তুলনামূলক শুষ্ক এবং শীতল, যা ভ্রমণের জন্য অনেকেই আরামদায়ক মনে করেন। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো চট্টগ্রামেও ছয় ঋতু দেখা যায়, তবে আবহাওয়ায় সাম্প্রতিককালে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি শীতকাল, মার্চ-মে গ্রীষ্মকাল, এবং জুন-আগস্ট বর্ষাকাল হিসেবে পরিচিত। বর্ষাকালের পরে শরৎ (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) এবং হেমন্ত (নভেম্বর) অল্প সময়ের জন্য থাকে। তবে ইদানিং আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন দেখা যায়। চট্টগ্রামের এই বৈচিত্র্যময় আবহাওয়া শহরটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং কৃষি ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চট্টগ্রাম উত্তর ভারত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত হওয়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে রয়েছে। শহরটি ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে এবং এটি শহরের অবকাঠামো ও জনজীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। ১৯৯১ সালের এক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে চট্টগ্রাম শহর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যেখানে ১৩৮,০০০ মানুষ প্রাণ হারান এবং ১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন।
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের জাতীয় জিডিপি-তে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের আবদান প্রায় ১২ শতাংশ। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের শিল্প উৎপাদনের ৪০%, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৮০% এবং সরকারি রাজস্বের ৫০% অবদান রাখে। ২০১৫ সালের জুন মাসের হিসেবে, ৭০০ টিরও বেশি তালিকাভুক্ত কোম্পানিসহ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেের বাজার মূলধন ছিল $৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চট্টগ্রামে প্রধান বাংলাদেশি কোম্পানি যেমন এম. এম. ইস্পাহানি লিমিটেড, বিএসআরএম, এ কে খান এন্ড কোম্পানি, পিএইচপি গ্রুপ, জেমস ফিনলে, হাবিব গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, সিমার্ক গ্রুপ, কেডিএস গ্রুপ এবং টি কে গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ প্রভৃতির দফতরের রয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ, যমুনা অয়েল কোম্পানি, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন এবং পদ্মা অয়েল কোম্পানি। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে কর্ণফুলী ইপিজেড এবং কোরিয়ান ইপিজেড। প্রধান শিল্প খাতের মধ্যে রয়েছে পেট্রোলিয়াম, ইস্পাত, জাহাজ নির্মাণ, রাসায়নিক, ফার্মাসিউটিক্যালস, বস্ত্র, পাট, চামড়াজাত পণ্য, উদ্ভিজ্জ তেল শোধনাগার, গ্লাস উত্পাদন, ইলেকট্রনিক্স এবং মোটর যানবাহন। ২০১১-১২ সালে, আন্তর্জাতিক বাজারে চট্টগ্রাম প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। এইচএসবিসি, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, সিটিব্যাংক এনএ এবং হাবিব ব্যাংক লিমিটেডের মতো আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোর চট্টগ্রামে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত করে।
ভাষা
[সম্পাদনা]- আরও দেখুন: চাটগাঁইয়া বাক্যাংশ বই
চট্টগ্রামের স্থানীয় অধিবাসীরা সাধারণত চাটগাঁইয়া ভাষায়, যা স্থানীয়ভাবে "চাঁডি ভাষা" নামেও পরিচিত, কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এই ভাষা চট্টগ্রামের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চাটগাঁইয়া ভাষার উচ্চারণ ও শব্দচয়ন অন্যান্য বাংলা উপভাষার চেয়ে আলাদা এবং এটি স্থানীয় মানুষের দৈনন্দিন জীবনে গভীরভাবে জড়িত।
তবে শহরের সাইনবোর্ড, রাস্তাঘাটের নামফলক এবং বাস ও ট্রেন স্টেশনে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই নির্দেশনা চিহ্ন রয়েছে, যা ভ্রমণকারীদের জন্য সুবিধাজনক। চট্টগ্রামের মতো বাণিজ্যিক ও পর্যটন কেন্দ্রে বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের আনাগোনা হওয়ায় যোগাযোগের জন্য এই দ্বিভাষিক ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকর।
প্রবেশ
[সম্পাদনা]আকাশ পথে
[সম্পাদনা]1 শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর(CGP আইএটিএ) বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর। এখানে কলকাতা, কুয়ালালামপুর, দুবাই, ব্যাংকক, মাস্কাট, আবু ধাবি, শারজাহ এবং কুয়েত থেকে আসার ব্যবস্থা রয়েছে। অন্তঃদেশীয় সেবার মধ্যে ঢাকার সঙ্গে বিভিন্ন দৈনিক ফ্লাইট অন্তর্ভুক্ত।
ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটসমূহ :
- নিরাপত্তা স্ক্রীনিং এর জন্য একটু বেশি সময় নেয়া হয় বিশেষ করে যখন কোনো জাতীয় বা আর্ন্তজাতিক সম্মেলন শেষ হয়। বা যদি সম্ভব হয় তাহলে আপনার ফ্লাইটের সময়সূচি অন্য কোন দিন/সময় এ নির্ধারণ করুন।
বিমানবন্দর হতে নিকটস্থ হোটেলে যেতে
- টেক্সিতে বিমানবন্দর হতে নিকটস্থ হোটেলে যাওয়ার জন্য ২০০-৫০০ টাকা খরচ হতে পারে।
- অটোতে বিমানবন্দর হতে নিকটস্থ হোটেলে যাওয়ার জন্য ১০০-২৫০ টাকা খরচ হতে পারে।
- বাসে বিমানবন্দর হতে নিকটস্থ হোটেলে যাওয়ার জন্য জনপ্রতি ১০ টাকা খরচ হতে পারে এবং বাসগুলো প্রায় প্রত্যেক ১০-২০ মিনিট পরপর স্টেশন ছেড়ে যায়।
রেল পথে
[সম্পাদনা]2 চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং অন্যান্য শহরগুলিতে ট্রেন চলাচল করে। চট্টগ্রামের প্রধান রুটটি উত্তরে কুমিল্লা এবং আখাউড়ায় যায়, যেখান থেকে ঢাকা এবং সিলেটের রুটগুলি বিভক্ত হয়। ট্রেন স্টেশনটি জুবিলি রোডের ঠিক পশ্চিমে স্টেশন রোডে। চট্টগ্রাম হ'ল বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্ব বিভাগের মিটারগেজের টার্মিনাল স্টেশন। এই রেলওয়ের সদর দফতর এখানে অবস্থিত। ট্রেনের যাত্রা, সাধারণভাবে, বাসের ভ্রমণের চেয়ে সস্তা। কোনও পর্যটকদের পক্ষে সেরা বাজি হল স্টেশন বা কোনও ট্র্যাভেল এজেন্সিতে রিজার্ভেশন করা। ট্রেনগুলি জনপ্রিয় তাই অগ্রিম বুক করা।
বাসে
[সম্পাদনা]শহরে দুটি স্পট রয়েছে যেখানে বড় বড় 'বেসরকারী সংস্থাগুলি' অফিস থেকে কাজ করে এবং অফিস রয়েছে - সিডিএ অ্যাভিনিউতে জিইসি সার্কেলের ঠিক দক্ষিণে এবং হোটেল গোল্ডেন ইন এর কাছে স্টেশন রোডে। গ্রিনলাইন, সিল্কলাইন এবং সোহাগ সবচেয়ে ভাল এবং এগুলি ঢাকা (৳১২০০, ৬-৮ ঘণ্টা) এবং কক্সবাজার (৩-৪ ঘণ্টা) এর ঘন ঘন পরিষেবা রয়েছে গ্রিনলাইন সিলেট (৳ ৫৫০, ৭-৮ ঘণ্টা) এর জন্য একমাত্র সরাসরি বাস সরবরাহ করে।
- 1 বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি), স্টেশন রোড, ☎ +৮৮০-২-৮৩৫৭৭৫৭। বিআরটিসি কলকাতার সাথে প্রতিদিন দুবার আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবা এবং আগরতলার সাথে তফসিলযুক্ত পরিষেবা পরিচালনা করে
- 2 সোহাগ পরিবহন, জাকির হোসেন রোড, ☎ +৮৮০ ১৭১১ ৭৯৮৩৪৪। ঢাকা,সিলেট, খুলনা, কক্সবাজার, যশোর এবং কলকাতার সাথে প্রতিদিনের পরিষেবা।
- 3 গ্রিনলাইন পরিবহন, জাকির হোসেন রোড, ☎ +৮৮০ ২ ৮৩৩১৩০২-৪। ঢাকা,সিলেট, খুলনা, কক্সবাজার, যশোর এবং কলকাতার সাথে প্রতিদিনের পরিষেবা।
গাড়িতে
[সম্পাদনা]চট্টগ্রাম বাংলাদেশের জাতীয় মহাসড়ক ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু। গাড়িগুলি ভারতীয় সীমান্ত থেকে যাতায়াত করতে ব্যবহৃত হতে পারে, তবে মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত বন্ধ রয়েছে।
জলপথে
[সম্পাদনা]বিআইডব্লিউটিসিএর একটি অফিস রয়েছে এবং সদরঘাট আরডি থেকে ট্রেন স্টেশন থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দক্ষিণে সদরঘাট থেকে ফেরি চালু করে। বরিশাল হ'ল মূল গন্তব্য, সেখান থেকে আপনি ঢাকা যেতে পারবেন।
ঘুরে দেখুন
[সম্পাদনা]চট্টগ্রামে ঘোরাঘুরি সবসময়ই একটি দুঃসাহসিক কাজ। যানজট আর ভিড় থাকার কারণে প্রায়শই অনেক চালক পর্যটকদের কাছে ধার্য ভাড়ার চাইতে কিছু অতিরিক্ত ভাড়া চাইতেও পারে। তাই যাত্রার পূর্বেই ভাড়া দরদাম করে নেয়া ভাল। রাজধানী ঢাকার মতোই চট্টগ্রামের পরিবহন ব্যবস্থা অনুরূপ। বিভিন্ন রুটে বাস ব্যবস্থা সহ, ট্যাক্সি, এবং 'সিএনজি' ট্যাক্সি চালু রয়েছে যা মূলত তিনচাকার মোটর যান। এছাড়াও, ঐতিহ্যবাহী রিকশা খুবই সহজলভ্য।
হেটে
[সম্পাদনা]হাঁটাও একটি সম্ভাবনাময়, কারণ শহরটি খুব বিভ্রান্তিকর নয়, তবে নজর রাখা উচিৎ কারণ রাস্তাগুলি খুব ব্যস্ত হতে পারে, বিশেষ করে স্টেশন রোড, জুবলি রোড, নিউ মার্কেট মোড়, জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ মোড়ের আশেপাশে৷ স্ট্রিপ বরাবর ভ্রমণ করলে, হোটেল-ক্যাসিনো একে অপরের কাছাকাছি হওয়ায় হাঁটা একটি যুক্তিসঙ্গত বিকল্প হতে পারে। যাইহোক, শুধুমাত্র কয়েকটি হোটেল-ক্যাসিনো থেকে অল্প হাঁটা দূরত্বে যা মনে হতে পারে তা আপনার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হতে পারে কারণ রিসোর্টগুলি তাদের বড় আকারের কারণে প্রায়শই কাছাকাছি দেখায়।
সাইকেলে
[সম্পাদনা]অনেক স্থানীয় মানুষ এবং তরুণরা প্রায়ই প্রাথমিক পরিবহন হিসেবে সাইকেল ব্যবহার করে। যেহেতু যানজটের মধ্যে বড় গাড়ি চলতে বাধাপ্রাপ্ত হলেও সাইকেলগুলি সহজেই চলতে পারে। রাজধানীর কিছু নতুন সড়কে ডুয়েল বাইক/রিকশা লেন থাকলেও এখানে সে ব্যবস্থা নেই। যদিও, পাঠাও, উবারের মতোন রাইড শেয়ারিং প্রচলিত। তবে পাশাপাশি রাস্তা এবং যানবাহনের অবস্থা এমন খারাপ যে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেশি।
রিকশায়
[সম্পাদনা]রিকশাগুলি স্বল্প দূরত্বের জন্য ব্যবহৃত হয়, এমন স্থানগুলির জন্য যা হাঁটার জন্য খুব বেশি দূরত্ব কিন্তু বাস/ট্যাক্সি/অটোরিকশার জন্য খুব কাছে। দুর্বল অবকাঠামো এবং ট্র্যাফিক পরিস্থিতির কারণে, শহরের চারপাশে যাওয়ার দ্রুততম উপায়গুলির মধ্যে রিকশা একটি ভাল উপায়। এর মানে এই নয় যে রিকশা চালানো সহজ এবং শহরে থাকাকালীন আপনার সম্পূর্ণভাবে রিকশার উপর নির্ভর করা উচিত। রিকশাগুলি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শহরের ভয়াবহ যানজটের জন্য দায়ী৷ তবুও, গাড়িতে ঘুরে বেড়ানোর চেয়ে রিকশায় ঘুরে বেড়ানো ভালো বিকল্প। চত্তগ্রামে প্যডেল চালিত রিকশার পাশাপাশি ব্যাটারি চালিত রিকশাও প্রচলিত রয়েছে। তবে কোন রিকশাই মিটার ব্যবহার করে না, তাই ওঠার আগে ভাড়া নিয়ে দরকষাকষি করা অপরিহার্য। কয়েক কিলোমিটারের বেশিরভাগ যাত্রার জন্য ২০-১০০ টাকা হতে পারে। তবে এটা সবসময় উর্ধমুখী।
বাসে
[সম্পাদনা]রুট ১: 3 নিউ মার্কেট বাস স্ট্যান্ড থেকে 4 বহদ্দারহাট বাস স্ট্যান্ড।
- মোট দূরত্ব ১০ কিলোমিটার; নিউ মার্কেট – লালদীঘি – আন্দরকিল্লা – সিরাজ উদ দৌলা রোড – চকবাজার – কাপাসগোলা – বাদুড়তলা – বহদ্দারহাট।
রুট ২: নিউ মার্কেট বাস স্ট্যান্ড থেকে 5 কাপ্তাই রাস্তার মাথা বাস স্টপ।
- মোট দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার; নিউ মার্কেট – লালদীঘি – আন্দরকিল্লা – জামালখাঁন – চকবাজার – মেডিকেল/প্রবর্তক – ২ নং গেট – মুরাদপুর – বহদ্দারহাট পুলিশ বক্স – বাস টার্মিনাল – শরাফত পেট্রোল পাম্প – সিএমপি রাস্তার মাথা – কাপ্তাই রাস্তার মাথা ।
রুট ৩: নিউ মার্কেট বাস স্ট্যান্ড থেকে 6 ফতেহাবাদ বাস স্ট্যান্ড।
- মোট দূরত্ব ১৪.৫ কিলোমিটার; নিউ মার্কেট – ডি.সি. হিল – কাজীর দেউরী – আলমাস – ওয়াসা মোড় – জিইসি – ২ নং গেট – মুরাদপুর – বিবিরহাট – অক্সিজেন – ফতেয়াবাদ – চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
রুট ৪: নিউ মার্কেট বাস স্ট্যান্ড থেকে 7 ভাটিয়ারী বাস স্টপ।
- মোট দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার; নিউ মার্কেট – টাইগারপাস – লালখাঁন বাজার – ওয়াসা মোড় – গরীবুল্লাহ শাহ মাজার/জিইসি – ঝাউতলা – একে খান – কর্ণেল হাট – ভাটিয়ারী।
রুট ৬: 8 লালদীঘির পার বাস স্টপ থেকে 9 পতেঙ্গা বাস স্ট্যান্ড।
- মোট দূরত্ব ১৬.৬০ কিলোমিটার; লালদীঘি – নিউ মার্কেট – টাইগার পাস – দেওয়ানহাট – বাদামতলী মোড় (আগ্রাবাদ) – বারেক বিল্ডিং – সল্টগোলা – ইপিজেড – বন্দরটিলা – সিমেন্ট ক্রসিং – কাঠগড় – সি বিচ ।
রুট ৭: নিউ মার্কেট বাস স্ট্যান্ড থেকে ভাটিয়ারী বাস স্টপ।
- মোট দূরত্ব ১৬.১ কিলোমিটার; নিউ মার্কেট – টাইগার পাস – দেওয়ানহাট – বাদামতলী মোড় (আগ্রাবাদ) – বড়পুল – অলংকার – ভাটিয়ারী।
রুট ৮: নিউ মার্কেট বাস স্ট্যান্ড থেকে 10 অক্সিজেন বাস স্ট্যান্ড।
- মোট দূরত্ব ৮ কিলোমিটার; নিউ মার্কেট – টাইগার পাস – লালখান বাজার – জিইসি – ২ নং গেট – বায়েজিদ বোস্তামী – অক্সিজেন।
রুট ১০: 11 কালুরঘাট বাস স্ট্যান্ড থেকে 12 কাঠগড় বাস স্টপ।
- মোট দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার; কালুরঘাট – কাপ্তাই রাস্তার মাথা – বহদ্দারহাট – মুরাদপুর – ২ নং গেট – জিইসি – লালখান বাজার – টাইগার পাস – দেওয়ানহাট – বাদামতলী মোড় (আগ্রাবাদ) – বারেক বিল্ডিং – সল্টগোলা – ইপিজেড – বন্দরটিলা – সিমেন্ট ক্রসিং – কাঠগড়।
রুট ১১: ভাটিয়ারী বাস স্ট্যান্ড থেকে পতেঙ্গা বাস স্ট্যান্ড।
- মোট দূরত্ব ২৩ কিলোমিটার; ভাটিয়ারী – কর্ণেল হাট – একে খান – নয়া বাজার – বড়পোল – সল্টগোলা ক্রসিং – ইপিজেড – বন্দরটিলা – কাঠগড় – সী বিচ
কাউন্টার-বাসে
[সম্পাদনা]মেট্রো প্রভাতী পরিবহনের কাউন্টার-ভিত্তিক মেট্রোপলিটন বাস সার্ভিস, পতেঙ্গা থেকে বহদ্দারহাট বাস স্টপেজ পর্যন্ত মেট্রোপলিটন এলাকার ২২ কিলোমিটার সড়কে বেশকয়েকটি স্টপেজ রয়েছে। বাসে ওঠা-নামার জন্য দিতে হবে সর্বনিম্ন ১০ টাকা (৪ কিলোমিটার)। এরপর প্রতি কিলোমিটার ভাড়া ১ টাকা ৬০ পয়সা। কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতগামী বাসের জন্য ১০টি এবং পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথাগামী বাসের জন্য ১২টি কাউন্টার রয়েছে। বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট, জিইসি মোড়, ওয়াসা মোড়, দেওয়ানহাট, আগ্রাবাদ, ইপিজেডসহ বিভিন্ন এলাকায় কাউন্টার রয়েছে।
ট্যাক্সিতে
[সম্পাদনা]চট্টগ্রামের মধ্যে এবং আশেপাশের দূর-দূরান্তের স্থান ভ্রমণ করতে ট্যাক্সি (সাধারণত ড্রাইভার সহ) প্রয়োজন। ট্যাক্সিগুলি কিছু হলুদ এবং কিছু কালো, এবং মিটার সহ বা ছাড়া চলাচল করে। কালো ট্যাক্সিগুলি ১৫ টাকায় মিটার শুরু করে,অন্যদিকে আরামের দিক থেকে কিছুটা উচ্চ মানের হবার কারণে হলুদ ট্যাক্সিগুলির ভাড়া ২০ টাকা থেকে শুরু হয়৷ কালো ট্যাক্সিগুলি সাধারণত খারাপ অবস্থায় থাকে এবং বেশিভাগ সময় শীতাতপনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকে না৷ হলুদ ট্যাক্সিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকে; বহরের মধ্যে বেশিরভাগই টয়োটা করোলা, কিছু মিৎসুবিশি এবং হোন্ডাস দেখা যায়। কালো ট্যাক্সি এবং অটোরিকশার তুলনায় হলুদ ট্যাক্সিগুলিকে বেশি নিরাপদ বলে মনে করা হয়। এখানে উবার, পাঠাও সহ আন্যান্য রাইডশেয়ারিং সহজলভ্য।
অটোরিকশায়
[সম্পাদনা]অটো রিকশা (যাকে সিএনজি ট্যাক্সি বা সাধারণভাবে সিএনজি বলা হয়) অনতিদীর্ঘ ভ্রমণের জন্য উপযোগী। সর্বদা একটি স্বতন্ত্র সবুজ রঙের এই অটোরিকশা হল তিন চাকার আবদ্ধ যান, যার পিছনে তিন-চারজন লোক বসতে পারে। কম্প্রেসড প্রাকৃতিক গ্যাসে চালিত বলে এদেরকে সিএনজি বলা হয়। সাধারণভাবে, এগুলি ট্যাক্সির তুলনায় অনেক সস্তা এবং সহজলভ্য।
লোকাল ট্রেনে
[সম্পাদনা]চট্টগ্রামের রেলওয়েতে সীমিত ডেমো পরিষেবা রয়েছে, তবে সুবিধাগুলি ব্যবহারকারী-বান্ধব রেলওয়ে স্টেশনগুলি থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। বেশিরভাগ অংশে, ট্রেন স্টেশনগুলি অসুবিধাজনক স্থানে অবস্থিত। ভিড়ের বাইরে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে কোনো যাত্রীসেবা নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট বিদেশী ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করে না।
দেখুন
[সম্পাদনা]শহরের কেন্দ্রস্থল
[সম্পাদনা]- 1 চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার (বৌদ্ধ বিহার), নন্দন কানন। বাংলাদেশের বৌদ্ধদের অন্যতম পূণ্যস্থান হিসাবে বিবেচিত হয়। এখানে রয়েছে গৌতম বুদ্ধের কেশধাতু, অষ্টধাতুর মূর্তি, বোধিমন্ডপ, চিন্তামনি গ্রন্থাগার, বুড্ডিষ্ট হোস্টেল, ধম্মবংশ ইন্সটিটিউট, চিকিৎসা কেন্দ্র ইত্যাদি। এছারাও চিন্তামনি গ্রন্থাগার নামে এখানে বিভিন্ন দূর্লভ পাণ্ডুলিপিসমৃদ্ধ একটি গ্রন্থাগার রয়েছে।
- 2 চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ফয়েজ লেক, খুলশী, চট্টগ্রাম (ফয়ে’স লেকের বিপরীত পাশে অবস্থিত।)। প্রতিদিন ১০:০০ থেকে ১৮:৩০। শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার উত্তর-পূর্বদিকে পাহাড়তলী ইউএসটিসি মেডিকেল কলেজের বিপরীত পাহাড়ের পাদদেশে ১০.২ একর ভূমির উপর অবস্থিত। বর্তমানে এই চিড়িয়াখানায় ৭২ প্রজাতির সাড়ে তিন শতাধিক প্রাণী রয়েছে; যার মধ্যে ৩০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৮ প্রজাতির পাখি ও ৪ প্রজাতির সরীসৃপ। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় স্তন্যপায়ী প্রাণির মধ্যে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, ভারতীয় সিংহ, এশীয় কালো ভালুক, আফ্রিকান জেব্রা, মায়া হরিণ, চিত্রা হরিণ, সাম্বার হরিণ, প্যারা হরিণ, মুখপোড়া হনুমান, উল্লুক, রেসাস বানর, উল্টো লেজি বানর, মেছো বিড়াল, বন বিড়াল, চিতা বিড়াল, গন্ধগোকুল (হিমালিয়ান), বাঘডাস, গয়াল, খরগোশ, সজারু, শিয়াল ইত্যাদি। চিড়িয়াখানা প্রতিদিন সকাল ১০:০০ ঘটিকা থেকে সন্ধ্যা ৬:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
- 3 জেএম সেন হল (যাত্রামোহন সেন হল)। ১৯১৬ সালে শরৎচন্দ্র রায়বাহাদুর জেএম সেন হল নামে প্রথম টাউন হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বাঙালি আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী যাত্রামোহন সেনের স্মৃতিতে এই মিলনায়তনের নামকরণ করা হয়েছে। এখানে রয়েছে একটি ক্লাব রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বিপ্লবী নেতা মাস্টারদা সূর্য সেন, উপমহাদেশ খ্যাত রাজনীতিবিদ যতীন্দ্রমোহন, সাংবাদিক, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ মহিমচন্দ্র দাস, চট্টগ্রামের নারী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা নেলী সেনগুপ্তার আবক্ষ মূর্তি।
উদ্যান
[সম্পাদনা]- 4 জাতিসংঘ উদ্যান (জাতিসংঘ সবুজ উদ্যান), পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা। নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় মোট ৬৯ দশমিক ৩৫৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে এক বিঘা আকারের ১৩৬টি আবসিক প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২ দশমিক ৩০ একর জমি রাখা হয় সবুজ উদ্যানের জন্য— যা পরবর্তীতে জাতিসংঘ পার্ক হিসেবে পরিচিতি পায়। বিনামূল্য।
- 5 জাম্বুরী উদ্যান, এস এম মোর্শেদ সড়ক, আগ্রাবাদ (আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশুপার্কের পাশাপাশি)। ১৭:০০ থেকে ২১:০০। ৮ দশমিক ৫৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত উদ্যানটিতে রয়েছে দীর্ঘ চক্রাকার হাটার পথ, প্রায় ৫০ হাজার বর্গফুটের জলাধার, যার কিনারায় রয়েছে বসবার জন্য তিনটি বড় গ্যালারি। এছাড়াও রয়েছে সাড়ে পাঁচশ আলোক বাতির পাশাপাশি বর্ণিল ফোয়ারা। উদ্যানের চারপাশে চারটি স্থাপনার মধ্যে রয়েছে, দুইটি টয়লেট ব্লক, একটি গণপূর্ত রক্ষণাবেক্ষণ অফিস ও একটি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র। বিনামূল্য।
- 6 ডিসি হিল (ডিসির পাহাড়, নজরুল চত্বর), বৌদ্ধ মন্দির সড়ক (নন্দনকানন বৌদ্ধ মন্দিরের পাশে)। ডিসির পাহাড় অন্যতম নান্দনিক স্থান যার বর্তমান আনুষ্ঠানিক নাম নজরুল চত্বর। এটি শহরের কেন্দ্রবিন্দু জিরো পয়েন্ট হতে ১ কিমি দূরে অবস্থিত। চারিদিকে রয়েছে অনেক সুউচ্চ গাছ। প্রতি বছর বাংলা নববর্ষে উদ্যাপন করার মধ্য দিয়ে ডিসি হিল ঐতিহাসিক গুরত্ব ধারণ করেছে। এছাড়াও এখানে জাতীয় এবং সাংস্কৃতিক দিবসসমূহ পালন, মঞ্চনাটক, উন্মুক্ত চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে থাকে। বিনামূল্য।
- 7 প্রজাপতি পার্ক বাংলাদেশ, ১৫ নং নেভাল একাডেমি সড়ক (বিমানবন্দরের পাশে), ☎ +৮৮০১৮১১৪৪৪২৭০, ইমেইল: info@bangladeshbutterflypark.com.bd। ০৯:৩০ থেকে সূর্যাস্ত। প্রায় ৬ একর (২.৪ হেক্টর) জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত পার্কটিতে আনুমানিক ৬০০ প্রজাতির প্রজাপতি রয়েছে। ধারণা করা হয় পার্কটি ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম প্রজাপতি পার্ক। এখানে রয়েছে ট্রপিক্যালগার্ডেন, বাটারফ্লাই জোন, বাটারফ্লাই মিউজিয়াম, বাটারফ্লাই রিয়ারিংরুম, কৃত্রিম হ্রদ-ঝর্ণা, ফিশফিডিং জোন ও বাটারফ্লাই ফিডিং জোন। অপ্রাপ্তবয়স্ক: ৫০ টাকা; প্রাপ্তবয়স্ক: ১০০ টাকা; সার্ক দেশের নাগরিক: ১৫০ টাকা; বিদেশী পর্যটক: ২০০ টাকা।
- 8 বিপ্লব উদ্যান, ২ নম্বর গেট (মসজিদ গলির পাশে)। ১৬:০০ থেকে ২১:০০। উদ্যানটি চট্টগ্রামের বিপ্লবী নারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দারের নামকরণে তৈরী। এখানে রয়েছে গাছ দিয়ে বানানো তোরণ, কংক্রিটের ছাতা। উদ্যানের ফটকে চমৎকারভাবে গাছ দিয়ে লেখা রয়েছে বিপ্লব উদ্যান। সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিস হলো স্বাধীনতা স্তম্ভ। কাছেই রয়েছে শেখ ফরিদের চশমা। বিনামূল্য।
- 9 লাল দীঘি উদ্যান, লাল দীঘি, কোতয়ালী (নগরীর জেল সড়কের শেষ সীমানায় এর অবস্থান)। প্রতিদিন ৬:০০ থেকে ৮:০০, এবং ১৫:০০ থেকে ১৯:০০ পর্যন্ত। শহরের ঐতিহ্যবাহী স্থান সমূহের অন্যতম। ২.৭০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত লালদীঘি। এর একপাশে আছে আন্দরকিল্লা, অন্যান্য পাশে আছে জেলা পরিষদ ভবন এবং স্থানীয় ব্যাংকের শাখাসমূহ। বিনামূল্য।
- 10 স্বাধীনতা কমপ্লেক্স (মিনি বাংলাদেশ), বহদ্দারহাট (বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালের পাশে), ☎ +৮৮০১৭১১৩৭৯২৯৩। মূলত একটি থিম পার্ক যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন ও ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোকে অবিকল প্রতিরূপ রয়েছে। কমপ্লেক্সে রয়েছে জাতীয় সংসদ ভবন, আহসান মঞ্জিল, সুপ্রিম কোর্ট, কার্জন হল, কান্তজীর মন্দির, দরবার হল, বড়কুঠি, ছোটকুঠি, ছোট সোনা মসজিদ, লালবাগ কেল্লা, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, সেন্ট নিকোলাস চার্চ, চিরন্তন পল্লি, ট্রেনের নিচে ব্রিজ, কৃত্রিম জলরাশি, ছয়টি কিউচ (বসার স্টল), পাঁচটি পানির ফোয়ারা ও তিনটি কিডস জোন। এছাড়াও রয়েছে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সাথে মিল রেখে ৭১ মিটার বা ২৩০ ফুট উচ্চতার স্বাধীনতা টাওয়ার।
- 11 সিআরবি (সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং), সিআরবি সড়ক (টাইগার পাস সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় অবস্থিত।)। সিআরবি পাহাড়ে রয়েছে হাতির বাংলো। এছাড়াও কেন্দ্রের দিকে রয়েছে শিরীষতলা নামে একটি প্রশস্ত মাঠ, যেখানে প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন ইত্যাদি ঐতিহ্যগত উৎসব আয়োজিত হয়ে থাকে।
সৈকত এবং নদীতীর
[সম্পাদনা]- 12 অভয় মিত্র ঘাট, সদর ঘাট। রায়বাহাদুর অভয়া চরণ মিত্রের নামে ফিরিঙ্গী বাজারের নিকটবর্তী কর্ণফুলী নদীর এই ঘাটের নামকরণ হয়েছে। কেউ-কেউ এই স্থানকে বলে নেভাল ২, আবার অনেকেই চট্টগ্রামের হাতিরঝিল নামে ডাকে।
- 13 আনন্দবাজার সমুদ্র সৈকত (চৌচালা সৈকত), চিটাগাং কোস্টাল সড়ক, হালিশহর। বঙ্গোপসাগরের কাছে হালিশহরে অবস্থিত একটি উপকূলীয় এলাকা।
- 14 কর্ণফুলী নদী। কর্ণফুলী নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি বিখ্যাত নদী, যা চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রাণস্বরূপ। এর উৎপত্তি ভারতের মিজোরাম রাজ্যে এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। নদীর তীরে শহরের ব্যস্ত বন্দরের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। নদীতে নৌকায় ভ্রমণ একটি মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা, যা স্থানীয় জীবনের ঘনিষ্ঠ পরিচয় এনে দেয়। কর্ণফুলী নদী দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্য, মৎস্যচাষ, এবং কৃষিকাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর তীরে বসবাসকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনধারা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নদীর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কর্ণফুলী নদীর উপর বর্তমানে দুইটি সেতু নির্মিত হয়েছে। এই নদীর মোহনাতে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর অবস্থিত। অন্যদিকে কর্ণফুলীর শাখা নদী দিয়ে সংযুক্ত একটি কৃত্রিম হ্রদ রয়েছে যা কাপ্তাই হ্রদ নামে পরিচিত। চট্টগ্রাম শহর থেকে কর্ণফুলী নদীতে সহজেই যাওয়া যায়। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে নদীর তীরে পৌঁছানোর জন্য গাড়ি বা রিকশা ব্যবহার করা যেতে পারে। শীতকাল (নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি) কর্ণফুলী নদী ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়, যখন আবহাওয়া আরামদায়ক এবং নদীর সৌন্দর্য স্পষ্ট। পরামর্শ: নৌকা ভ্রমণের সময় নিরাপত্তার জন্য লাইফ জ্যাকেট পরা উচিত, স্থানীয় খাবার ও মিষ্টান্ন উপভোগ করতে ভুলবেন না, নদীর পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে সচেতন থাকুন।
- 15 খেজুরতলা সৈকত, মুসলিমাবাদ সড়ক। শহরে যে কয়টি সুন্দর সমুদ্র সৈকত আছে তার মধ্যে সৌন্দর্যয়ের দিক দিয়ে খেজুরতলা অন্যতম। সহজেই যাতায়াতযোগ্য এই সৈকতে একই সাথে পতেঙ্গা এবং নেভালের পরিবেশ উপভোগ করা যায়।
- 16 কাট্টলী সৈকত, দক্ষিণ কাট্টলী। কক্সবাজার কিংবা কূয়াকাটার পরই বাংলাদেশের অন্যতম সমুদ্র সৈকত।
- 17 পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, পতেঙ্গা। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতগুলোর মধ্যে একটি। কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। পতেঙ্গা চট্টগ্রাম শহরের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। চট্টগ্রাম বন্দরের অনেক জেটি পতেঙ্গার সন্নিকটে অবস্থিত। এখান থেকে সমুদ্রে জাহাজের চলাচল কিংবা মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া বিমানও দেখা যাবে। এখানে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিও অবস্থিত। এখানকার খাবারের দোকানের জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে একটি হল মসলা দিয়ে ভাজা কাঁকড়া যা শসা ও পেঁয়াজ দিয়ে সাজানো এক প্লেট ছোলার সাথে পরিবেশিত হয়। সৈকতে একটি বার্মিজ মার্কেটও রয়েছে।
- 18 ফয়েজ লেক, দক্ষিণ খুলশী। চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় অবস্থিত একটি কৃত্রিম হ্রদ ও অন্যতম পর্যটনস্থান। ১৯২৪ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে খনন করা হয় এবং সে সময় পাহাড়তলী হ্রদ হিসেবে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে ইংরেজ রেল প্রকৌশলী ফয়-এর নামে ফয়েজ লেক নামকরণ করা হয়।
- 19 ফৌজদারহাট সৈকত, ফৌজদারহাট। চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ১৬ কি.মি. দূরে অবস্থিত সমুদ্র সৈকত।
- 20 নেভাল সড়ক, পতেঙ্গা সড়ক (শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে।)। কর্ণফুলী নদীর ও বঙ্গোপসাগরের মিলন স্থান।
- 21 লাল দীঘি, লাল দীঘি, কোতয়ালী (নগরীর জেল সড়কের শেষ সীমানায় এর অবস্থান)। শহরের ঐতিহ্যবাহী স্থান সমূহের অন্যতম। ২.৭০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত লালদীঘি। এর একপাশে আছে আন্দরকিল্লা, অন্যান্য পাশে আছে জেলা পরিষদ ভবন এবং স্থানীয় ব্যাংকের শাখাসমূহ। বিনামূল্য।
স্থাপত্য
[সম্পাদনা]- 22 আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, আন্দরকিল্লা। ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে মোগলদের কর্তৃক চট্টগ্রাম বিজয় লাভ করার পর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ নির্মিত হয়। সমতল ভুমি থেকে প্রায় ত্রিশ ফুট উপরে ছোট্ট পাহাড়ের উপর এর অবস্থান। মসজিদের স্থাপত্য ও গঠন মোঘল রীতি অনুযায়ী তৈরি। মূল মসজিদের নকশা অনুযায়ী এটি ১৮ গজ (১৬ মিটার) দীর্ঘ, ৭.৫ গজ (৬.৯ মিটার) প্রস্থ এবং প্রতিটি দেয়াল প্রায় ২.৫ গজ (২.২ মিটার) পুরু। পশ্চিমের দেয়াল পোড়া মাটির তৈরি এবং বাকি তিনটি দেয়াল পাথরের তৈরি। মধ্যস্থলে একটি বড় গম্বুজ এবং দুটি ছোট গম্বুজ দ্বারা ছাদ আবৃত। ১৬৬৬ সালে নির্মিত এর চারটি অষ্টভূজাকৃতির বুরুজগুলির মধ্যে এর পেছনদিকের দুটি এখন বিদ্যমান। মসজিদটি নির্মাণ কৌশলগত দিক থেকে দিল্লির ঐতিহাসিক জামে মসজিদের প্রায় প্রতিচ্ছবি হওয়ায় এটি চট্টগ্রাম অঞ্চলের মুসলিম স্থাপত্য বিকাশের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রার জন্ম দেয়। এই মসজিদটি দিল্লি জামে মসজিদের আদলে বড় বড় পাথর ব্যবহার করে নির্মিত বলে এই মসজিদকে পাথরের মসজিদ-"জামে সঙ্গীন"ও বলা হয়ে থাকে।
- 23 ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দির, প্রবর্তক সংঘ (আফমি প্লাজার সামনে), ☎ +৮৮০১৮১৯৩৯৫৯৪৮, +৮৮০১৭১২১৬৪৫৯৫, ইমেইল: iskconctg@gmail.com। রাজস্থানের মাকরানা মার্বেল দিয়ে নির্মিত তিনতলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন মন্দিরটির দরজা-জানালার কাঠ সংগ্রহ করা হয়েছে আফ্রিকা ও মায়ানমার থেকে। ১৮ গণ্ডা জায়গায় ৯টি গম্বুজবিশিষ্ট এই মন্দিরের দৈর্ঘ্য ১শ ফুট, প্রস্থ ৫০ ফুট এবং উচ্চতা ৬৫ ফুট।
- 24 কালুরঘাট সেতু (কালুরঘাটের পোল), কালুরঘাট। শহরের দক্ষিণে বহদ্দারহাট থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯৩০ সালে রেল সেতুটি কর্ণফুলী নদীর উপর নির্মিত হয়। সেতুটির রয়েছে ২টি এব্যাটমেট, ৬টি ব্রিক পিলার, ১২টি স্টীলপিলার ও ১৯টি স্প্যান। এটি বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলাকে উত্তর ও দক্ষিণাংশে সংযুক্ত করে। একে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বারও বলা হয়। ২০০১ সালে সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়।
- 25 চট্টেশ্বরী মন্দির, ২০ চট্টেশ্বরী সড়ক, মেহেদীবাগ, চট্টগ্রাম। বাংলাদেশের বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম। জনশ্রুতি মতে, প্রায় ৩০০-৩৫০ বছর পূর্বে আর্য ঋষি যোগী ও সাধু সন্ন্যাসীদের মাধ্যমে চট্টেশ্বরী দেবীর প্রকাশ ঘটে।
- 26 চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিং (চট্টগ্রাম আদালত ভবন), পরীর পাহাড়। চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিং পরীর পাহাড়ের উপরে নির্মিত একটি ঔপনিবেশিক স্থাপত্যকীর্তি। ভবনটি বাংলায় নির্মিত ইন্দো-ব্রিটিশ স্থাপত্য শৈলীর একটি উদাহরণ। এখান থেকে চট্টগ্রাম শহরের আন্তরিক্ষ দৃশ্য দেখার সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে রাতে। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৭৩ সালে চট্টগ্রামকে পৃথক প্রশাসনিক অঞ্চল ঘোষণা করার পর প্রশাসনিক কাজের জন্য এই দ্বিতল ভবনটি নির্মাণ করা হয়। আয়তন ১,৫৩,০০০ বর্গফুট ও কক্ষ সংখ্যা শতাধিক। এখানে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অবস্থিত।
- 27 চন্দনপুরা নাচঘর, চন্দনপুরা। চন্দনপুরায় জমিদার বাড়ির পরিত্যক্ত শতবর্ষীয় নাচঘর। প্রায় ২৫০ বছরের পুরোনো দোতলা বিশিষ্ট ভবনটি বর্তমানে প্রায় জরাজীর্ণ। নানা কারুকাজে শোভিত। দেয়ালে দেব-দেবী আর ফুলের ছবির কিছ্য অবশিষ্ঠ রয়েছে। দোতলা ভবনে অতিথি কক্ষসহ ১৪টি কক্ষ রয়েছে। নাচ ঘরের চারদিকে রয়েছে ১০টি প্রবেশ দরজা। ওপরে ওঠার জন্য ভবনের এক কোণে একটিমাত্র সিঁড়ির ব্যবস্থা রয়েছে।
- 28 চেরাগি পাহাড়, চেরাগী পাহাড় মোড়, জামাল খান। চট্টগ্রামের একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার বিচরণক্ষেত্র হিসেবে চেরাগি পাহাড় প্রসিদ্ধ স্থান। চট্টগ্রামের কবি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মী, পাঠক-লেখক, সংগঠকদের মিলনস্থল হিসেবে চেরাগি পাহাড় পরিচিত। বর্তমানে এই স্থানে চেরাগী পাহাড় নামে কোন পাহাড়ের অস্তিত্ত্ব না থাকলেও এখানে তিন রাস্তার সংযোগ স্থলে রয়েছে চেরাগ আকৃতির স্থাপনা।
- 29 মসজিদ-ই-সিরাজ উদ-দৌলা (চন্দনপুরা মসজিদ), নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সড়ক, চন্দনপুরা। ১৬৬৬ সালে শায়েস্তা খার সেনাদল আরাকানের মগরাজাদের কাছ থেকে চট্টগ্রামকে স্বাধীন করার পর এখানে তার নির্দেশে অসংখ্য মসজিদ নির্মান করা হয়। এর মধ্যে মসজিদ-ই-সিরাজ উদ-দৌলা অন্যতম। মসজিদটিতে রয়েছে মোট ১৫টি গম্বুজ। সবচেয়ে বড় গম্বুজটি তৈরিতে তৎকালীন সময়ের প্রায় চার লাখ টাকার ১৫ মণ রুপা ও পিতলের প্রয়োজন হয়।
- 30 শাহ আমানত সেতু (তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু), কর্ণফুলী। ২৪ ঘণ্টা। চারলেন, ফুটপাত ও ডিভাইডারসহ মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৯৫০ মিটার (৩,১১৭ ফুট) এবং প্রস্থ ২৪.৪৭ মিটার (৮০ ফুট)। স্প্যানের সংখ্যা ৩টি। এটি পটিয়া ও বাকলিয়া থানাকে সংযুক্ত করেছে। বিনামূল্য।
- 31 সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং, সিআরবি সড়ক (কোতোয়ালী থানার অধীনে টাইগার পাস সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় অবস্থিত।)। বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চলীয়) মহাব্যবস্থাপকের নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়। ১৮৭২ সালে সম্পূর্ণ হওয়া ভবনটি বন্দর নগরীর প্রাচীনতম ভবন। এটি চট্টগ্রামে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের দু'শো বছরের ইতিহাস বহনকারী ভবনগুলোর মধ্যে একটি।
জাদুঘর
[সম্পাদনা]- 32 আদালত ভবন জাদুঘর, চট্টগ্রাম আদালত ভবন, পরীর পাহাড়।
- 33 জাতি-তাত্ত্বিক জাদুঘর, সাবদার আলী সড়ক, আগ্রাবাদ। এশিয়া মহাদেশের দুইটি জাতি-তাত্ত্বিক জাদুঘরের মধ্য চট্টগ্রামের জাতি-তাত্ত্বিক জাদুঘর অন্যতম, অন্যটি রয়েছে জাপানে। মূলত বাংলাদেশের বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর দৈনন্দিন জীবনপ্রণালী, এবং পারষ্পরিক বোঝাপড়া ও সহকর্মী-অনুভূতি লালনের জন্য প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশের উপজাতি গোষ্ঠীর ইতিহাস সমন্বিত উপকরণের প্রদর্শন করা হয়েছে। একতলা বিশিষ্ট জাদুঘরটি পাঁচটি ভাগে বিভক্ত, যেখানে রয়েছে কেন্দ্রীয় হলঘরসহ সর্বমোট চারটি গ্যালারি। বর্তমানে জাদুঘরে সর্বমোট প্রদর্শনী কক্ষের সংখ্যা ১১টি।
- 34 জিয়া স্মৃতি জাদুঘর, সার্কিট হাউস, শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ সড়ক। এটি বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি ও প্রাক্তন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত জাদুঘর। এখানে জিয়ার ব্যক্তিগত সামগ্রী সংরক্ষিত রয়েছে। এছাড়াও তার হত্যাকান্ডের কিছু নমুনা আছে। ১৯১৩ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ভবনটি নির্মাণ করে। পূর্বে এটি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস হিসেবে ব্যবহৃত হত। এখানে একটি গ্রন্থাগার রয়েছে।
- 35 বাংলাদেশ মেরিটাইম মিউজিয়াম, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির একটি কক্ষে বিভিন্ন নিদর্শন সংরক্ষণের মাধ্যমে জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই নিদর্শনগুলোর অধিকাংশই জেএমএএএ যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত।
- 36 বাংলাদেশ রেলওয়ে জাদুঘর, আমবাগান, পাহাড়তলী। এটি দেশের একমাত্র জাদুঘর, যেখানে শত বর্ষের পুরনো বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিবর্তন ও আধুনিকায়নের ইতিহাস সংরক্ষিত রয়েছে। জাদুঘরের কাঠের তৈরি দোতলা বাংলোটি যা প্রায় ৪২০০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। জাদুঘরে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্ববর্তী সংস্থা আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে (১৯৪২), ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে (১৯৪৭) এবং পাকিস্তান রেলওয়ে (১৯৬১) কর্তৃক ব্যবহৃত বিভিন্ন নিদর্শন এবং বস্তুর সমৃদ্ধ সংগ্রহ রয়েছে।
সংগ্রহশালা এবং গ্রন্থাগার
[সম্পাদনা]- 37 চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন গণগ্রন্থাগার ("মাহবুব উল আলম চৌধুরী" চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পাবলিক লাইব্রেরি), লালদীঘি, ☎ +৮৮০৩১৬৩৮৯৮৯। এটি চট্টগ্রামের প্রথম গণগ্রন্থাগার। কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরীর নামে গ্রন্থাগারটির নামকরণ করা হয়। পাশেই চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার এবং লালদীঘির ময়দান অবস্থিত।
- 38 চিন্তামনি গ্রন্থাগার (বৌদ্ধ বিহার গ্রন্থাগার), চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার, নন্দন কানন। বিভিন্ন দূর্লভ পাণ্ডুলিপিসমৃদ্ধ একটি গ্রন্থাগার। এখানে তালপাতার পাণ্ডুলিপি সংরক্ষিত রয়েছে। এই সংগ্রহশালায় আছে পালি ভাষা, বর্মী ভাষা, সংস্কৃত ভাষায় রচিত প্রাচীন ধর্মীয় শাস্ত্র। শাস্ত্রীয় সাহিত্য এবং তালপাতায় রচিত শিল্পকর্ম এই গ্রন্থাগারকে সমৃদ্ধ করেছে।
- 39 জিয়া স্মৃতি জাদুঘর গ্রন্থাগার, সার্কিট হাউস, শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ সড়ক। এখানে একটি গ্রন্থাগার রয়েছে।এটি বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি ও প্রাক্তন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত জাদুঘর। এখানে জিয়ার ব্যক্তিগত সামগ্রী সংরক্ষিত রয়েছে। এছাড়াও এখানে একটি গ্রন্থাগার রয়েছে।
- 40 বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার, কেসি দে সড়ক, নন্দন কানন, ☎ +৮৮০৩১৬১১৫৭৮, ইমেইল: dgplchittagong@gmail.com। এই গণগ্রন্থাগারে ৯৫,২৪৪টি বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট হল ও সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় গ্রন্থাগারটিও পুনরায় তৈরি করা হচ্ছে। এর আগ পর্যন্ত পুরনো ভবনের গ্রন্থাগারে চারটি পাঠকক্ষ ছিলো এবং নিচ তলায় ছিলো এর প্রশাসনিক এলাকা।
সমাধি, স্মৃতিসৌধ এবং ভাস্কর্য
[সম্পাদনা]- 41 কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রি চট্টগ্রাম (চট্টগ্রাম ওয়ার সিমেট্রি), ১৯ বাদশাহ মিয়া চৌধুরী সড়ক, মেহেদীবাগ। ৮:০০-১২:০০ এবং ১৪:০০-১৭:০০। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে, চট্টেশ্বরী সড়কের চারুকলা ইনস্টিটিউটের কাছাকাছি এবং ফিনলে গেস্ট হাউসের নিকটবর্তী পাহাড়ি ঢালু আর সমতল ভূমিতে গড়ে উঠেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী সমাধিসেৌধটি প্রতিষ্ঠা করে। সূচনালগ্নে এখানে প্রায় ৪০০টি সমাধি ছিলো, তবে বর্তমানে এখানে ৭৩১টি সমাধি বিদ্যমান যার ১৭টি অজানা ব্যক্তির। এখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত জাতীয় বিদেশী সৈন্যদের প্রায় ২০টি (১জন ওলন্দাজ এবং ১৯জন জাপানি) সমাধি বিদ্যমান। এছাড়াও এখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) চট্টগ্রাম-বোম্বের একটি স্মারক বিদ্যমান। বিনামূল্য।
- 42 কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, কে সি দে সড়ক। বিভাগীয় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ। ১৯৬২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারটি নির্মিত হয়। চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে এটি পুনঃনির্মাণাধীন রয়েছে।
- 43 চট্টগ্রাম তোরণ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। সিটি গেট নামে পরিচিত। কখনও কখনও রাতে এটি আলোকসজ্জিত থাকে। এই দ্বারের উত্তর দিকে রয়েছে সীতাকুন্ড উপজেলা এবং দক্ষিণ দিকে রয়েছে কর্ণেলহাট এলাকা।
- 44 টাইগারপাস রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মূর্তি, টাইগারপাস মোড়। বেঙ্গল টাইগারের ভাস্কর্য
- 45 বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার, নাসিরাবাদ। সর্বপ্রথম ১৮৩১ সালে নাসিরাবাদের পাহাড়ের উপরিভাগে একটি দেয়ালঘেরা আঙ্গিনার মাঝে আবিষ্কার করা হয়। সমাধি পাহাড়ের পাদদেশে একটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মুঘল রীতির আয়তাকার মসজিদ এবং একটি বিশালাকার দীঘি আছে। স্থাপত্যশৈলী থেকে ধারণা করা হয় মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব এর আমলে মসজিদটি নির্মিত। আনেকের ধারণা এখানেই বায়েজিদ বোস্তামীর সমাধি অবস্থিত। মাজারের পাদদেশে সুবিশাল দীঘি অবস্থিত যার বাসিন্দা হিসাবে বোস্তামীর কাছিম ও গজার মাছ সুবিখ্যাত। আঞ্চলিকভাবে এদের মাজারী ও গজারী বলে আখ্যায়িত করা হয়। বোস্তামীর কাছিম আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি অত্যন্ত বিরল এবং চরমভাবে বিপন্নপ্রায় প্রজাতি। বর্তমানে বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার প্রাঙ্গণ ব্যতীত বিশ্বের আর কোথাও এদের দেখা মিলে না।
- 46 রূপালী গিটার, আইয়ুব বাচ্চু চত্বর, প্রবর্তক মোড় (গোলপাহাড় মোড় হতে প্রবর্তক মোড়ের দিকে যাওয়ার সময় এই ভাস্কর্যের সম্মুখাংশ দৃশ্যমান হয়।)। বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী লাভ রানস ব্লাইন্ড(এলআরবি) ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা আইয়ুব বাচ্চু স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য।
করুন
[সম্পাদনা]- 1 বাটালি পাহাড় (জিলাপি পাহাড়), টাইগার পাস (শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ১ কিমি দূরে)। চট্টগ্রামের শহরের সর্বাধিক উঁচু পাহাড় যার উচ্চতা প্রায় ২৮০ ফুট। এর চুড়া থেকে বঙ্গোপসাগর এবং চট্টগ্রাম শহরের বড় অংশ পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে পাহাড়ের চুড়ায় বিমান বিধ্বংসী কামান স্থাপন করা হয়েছিল। অনেক বছর পূর্বে দূর সমুদ্রে চলাচলকারী জাহাজের দিক নির্দেশনার জন্য পাহাড়ের উপর একটি বাতিঘর ছিল। শহরকে উপর থেকে দেখার জন্য এটি একটি উত্তম স্থান।
মৎস্য শিকার
[সম্পাদনা]কই, মাগুর, রুই, তেলাপিয়া ইত্যাদি মাছ শিকারের জন্য অন্যতম স্থান।
- 2 আগ্রাবাদ ডেবা (ডেবার পাড়), শেখ মুজিব সড়ক, আগ্রাবাদ। ২৪ ঘণ্টা। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে অবস্থিত কৃত্রিম ডেবা। পাড়সহ জলাশয়টির মোট আয়তন ২৭.৪ একর। ডেবার মালিকানা মূলত বাংলাদেশ রেলওয়ের।
আরোহণ
[সম্পাদনা]- 47 কর্ণফুলী শিশুপার্ক, এস এম মোর্শেদ সড়ক, জাম্বুরী মাঠ, আগ্রাবাদ (আগ্রাবাদ জাম্বুরী পার্কের পাশাপাশি)। ১৫:০০-২০:০০। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বিনোদন স্থান। এ উদ্যানের পূর্বনাম ছিল জাম্বুরি মাঠ। এখানে চুকচুক গাড়ি, ভয়েজার বোট, মেডি গোডাউন, রেসি গোডাউন, রেসিং কার, দোলনাসহ অন্যান্য বিনোদন সুবিধাদি বিদ্যমান। এছাড়াও, মিনি চাইনিজ হোটেল, কুলিং কর্নার ছাড়াও রকমারি সামগ্রীর দোকান রয়েছে। ডিজনি ল্যান্ডের আদলে গড়া এ পার্কের প্রধান ফটক সকলকে আকর্ষণ করে। ৪০ টাকা।
- 48 ফয়েজ লেক কনকর্ড (ফয়েজ লেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট ওয়ার্ল্ড), ফয়'স লেক, খুলশী, ☎ +৮৮০৩১২৫৬৬০৮০। ১০:০০-১৯:৩০। কমপ্লেক্সটিতে দুটি থিম পার্ক এবং একটি রিসোর্ট রয়েছে। কার্নিভাল রাইডের মধ্যে রয়েছে বেবি ক্যারোসেল, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, বাম্পার কার, কফি কাপ এবং ফেরিস হুইল। এছাড়াও রয়েছে নৌকায় ভ্রমণের সুবিধা এবং ভাসমান রেস্তোরাঁ। ৩০০ টাকা।
অনুষ্ঠান
[সম্পাদনা]এখানে এমন স্থান রয়েছে যেখানে আপনি শো টিকিট কিনতে পারেন, কিন্তু সাধারণত জনপ্রিয় শোগুলির জন্য পরিবেশনার দিনে টিকেট পাওয়া দূর্লভ হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র নগদ গ্রহণ করা হয়।
পরিবেশন শিল্পকলা
[সম্পাদনা]- 49 বিস্তার: চিটাগং আর্টস কমপ্লেক্স (বিস্তার), ৬৮৮/সি, মেহেদিবাগ সড়ক, ☎ +৮৮০১৭১৩১০৯৯৪০, ইমেইল: bistaar@yahoo.com। বহু-বিষয়ক এবং বহুমুখী শিল্প সুবিধা কেন্দ্র। শহরের শিল্প ও সংস্কৃতি প্রদর্শনের জন্য একটি সমসাময়িক স্থান। এখানে রয়েছে গ্যালারি ও ইভেন্ট স্থান, সঙ্গীত ও চলচ্চিত্র সংরক্ষণাগার, স্যুভেনির শপ এবং খাদ্য ও পানীয় ক্যাফে।
- 50 থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি), কে.সি. দে. সড়ক। মঞ্চ নাটক ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য পরিচিত। ৫০-২০০ টাকা।
- 51 জেলা শিল্পকলা একাডেমি (শিল্পকলা একাডেমি), মোহাম্মদ আলী সড়ক, দামপাড়া। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি অধিভুক্ত-নিয়ন্ত্রিত জেলাভিত্তিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। বর্তমানে একাডেমিতে একটি মিলনায়তন, একটি কার্যালয় ও প্রশিক্ষণ ভবন, একটি মহড়া ভবন এবং একটি আর্ট গ্যালারি ভবন রয়েছে। ৫০-২০০ টাকা।
প্রেক্ষাগৃহ
[সম্পাদনা]- 3 স্টার সিনেপ্লেক্স (স্টার সিনেপ্লেক্স - বালি আর্কেড), বালি আর্কেড, নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়ক, চকবাজার, ☎ +৮৮০৯৬১৭৬৬০৬৬০, +৮৮০১৭৫৫৬৬৫৫৪৪, ইমেইল: info@cineplexbd.com। ৪০০-৮৫০।
- 4 সিলভার স্ক্রিন, ফিনলে স্কয়ার (৬ষ্ঠ তলা)। সিনেপ্লেক্সে ৭২ আসনের প্লাটিনাম ও ১৮ আসনের টাইটানিয়াম হল রয়েছে। ৪০০-১৫০০।
- 5 সুগন্ধা সিনেমা হল (ঝুমুর সিনেমা হল।), কাজীর দেউড়ি, ☎ +০১৬৮১০০৮৫৫২। পূর্বনাম ছিল ঝুমুর সিনেমা হল। বছর পাঁচেক বন্ধ থাকার পর ২০২০ সাল থেকে সুগন্ধা সিনেমা হল নামে পুনরায় চালু করে হয়। সাধারণ আসন সংখ্যা ২০০ এবং ভিআইপি আসন সংখ্যা ১৬। ১৫০-২০০।
ঘটনাবলী
[সম্পাদনা]চট্টগ্রাম শহর জুড়ে বার্ষিক অনুষ্ঠান এবং উৎসব আয়োজন দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কেনাকাটা
[সম্পাদনা]বিক্রয় কর
[সম্পাদনা]স্থানীয় বিক্রয় কর ১৫%। শুধুমাত্র মুদি এবং প্রেসক্রিপশনের ওষুধগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
বেশিরভাগ শহরের মতো, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য কর ফেরত পদ্ধতি প্রয়োগ করেনি। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একমাত্র খুচরা বিক্রেতারা আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের কাছে করমুক্ত আইটেম বিক্রি করতে পারে।
মৌলিক
[সম্পাদনা]চট্টগ্রামের বেশিভাগ হোটেল/ক্যাসিনো/রিসোর্ট কমপ্লেক্সে একটি উপহারের দোকান ২৪/৭ খোলা থাকে যা ভ্রমণকারীদের মৌলিক সরবরাহ এবং বিভিন্ন জিনিস সরবরাহ করে থাকে। তবে হোটেলে থাকা উপহারের দোকানগুলি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং জরুরী প্রয়োজন ছাড়া এগুলি এড়ানো উচিত।
বিপণি কেন্দ্র
[সম্পাদনা]গোটা শহর জুড়ে বিভিন্ন স্থানে মুষ্টিমেয় শপিং মল রয়েছে:
- 1 অলংকার শপিং কমপ্লেক্স, অলঙ্কার মোড়, পোর্ট কানেকটিং সড়ক। সোম-শনি ১০:০০-২২:০০।
- 2 আখতারুজ্জামান সেন্টার, শেখ মুজিব সড়ক। সোম-শনি ১০:০০-২২:০০। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর নামে এর নামকরণ করা হয়েছে।
- 3 আফমি প্লাজা, বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক, পাঁচলাইশ, পূর্ব নাসিরাবাদ। মঙ্গল-শনি ১০:০০-২২:০০, সোম ১৪:০০-২২:০০।
- 4 আমীন সেন্টার, ৩২০ সিডিএ অ্যাভিনিউ, লালখান বাজার। মঙ্গল-শনি ১০:০০-২২:০০, সোম ১৪:০০-২২:০০।
- অ্যাপোলো শপিং সেন্টার।
- 5 ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, ৭৩৯, ৮০৫ সিডিএ অ্যাভিনিউ। শনি-বুধ ১০:০০-২২:০০, বৃহ ১৪:০০-২২:০০।
- 6 এপোলো শপিং কমপ্লেক্স, কাজীর দেউরী। সোম-শনি ১০:০০-২২:০০।
- 7 কল্লোল সুপার মার্কেট, হিল ভিউ সড়ক। সোম-শনি।
- 8 কেয়ারী ইলিশিয়াম শপিং কমপ্লেক্স, রাশিক হাজারী লেন, ☎ +৮৮০১৮২০০৫৮৩২০। সোম-বৃহ ১০:০০-২২:০০।
- 9 গুলজার টাওয়ার, গুলজার মোড়, চট্টেশ্বরী সড়ক। রবি-শুক্র।
- 10 গোলাম রসূুল মার্কেট, চৈতন্য গলি। রবি-বৃহ, শনি ১৪:০০-২২:০০।
- 11 চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স (শপিং কমপ্লেক্স), ষোলশহর। রবি-বৃহ ০৯:০০-২২:০০, শনি ১৪:০০-২২:০০।
- 12 জহুর হকার্স মার্কেট। শনি-বৃহ।
- 13 টেরি বাজার। শনি-বৃহ।
- 14 ফিনলে স্কয়ার, ২ সিডিএ অ্যাভিনিউ, পূর্ব নাসিরাবাদ। বৃহ-মঙ্গল ১০:০০-২১:০০।
- 15 বনানী কমপ্লেক্স শপিং সেন্টার, ৯৪২/এ, শেখ মুজিব সড়ক, ☎ +৮৮০৩১৭১১৪৩৫। ২৪ ঘন্টা।
- 16 বিপনী বিতান (নিউ মার্কেট), জুবিলী সড়ক। রবি-বৃহ ১০:০০-২১:০০; শনি ১৪:০০-২১:০০। মাল্টিলেভেল অটোমেটিক কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থাসহ চট্টগ্রামের সর্ববৃহত বাণিজ্যিক বিপনী কেন্দ্র।
- 17 বালি আর্কেড, নবাব সিরাজুদ্দৌল্লা সড়ক।
- 18 ভিআইপি টাওয়ার, চট্টেশ্বরী সড়ক। সোম-শুক্র ১০:০০-২১:০০, রবি ১৪:০০-২১:০০।
- 19 মতি টাওয়ার, কলেজ সড়ক। রবি-বৃহ ০৯:০০-২১:০০, শনি ১৪:০০-২১:০০।
- 20 মিমি সুপার মার্কেট, ওআর নিজাম সড়ক। মঙ্গল-শনি ১০:০০-২১:০০, সোম ১৪:০০-২১:০০।
- 21 রিয়াজউদ্দীন বাজার, স্টেশন সড়ক (চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের অপরপাশে)। শনি-বৃহ। শহরের একটি ঐতিহাসিক ও অন্যতম ব্যস্ততম বাজার। সবধরনের জিনিসপত্রই এখানে পাওয়া যায়।
- 22 লাকী প্লাজা, আগ্রাবাদ সংযোগ সড়ক, আগ্রাবাদ (সাউথল্যান্ড সেন্টারের বিপরীতে)। রবি-বৃহ ০৯:০০-২১:০০, শনি ১৪:০০-২১:০০।
- 23 সাউথল্যান্ড সেন্টার, আগ্রাবাদ সংযোগ সড়ক, ৫ আগ্রাবাদ (লাকী প্লাজার বিপরীতে)। সোম-শনি ০৯:০০-২২:০০।
- 24 সানমার ওশান সিটি (সানমার), সিডিএ অ্যাভিনিউ, নাসিরাবাদ (নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিপরীতে)। বৃহ-সোম ১০:০০-২২:০০, বুধ ১৪:০০-২২:০০।
- 25 সিংগাপুর ব্যাংকক মার্কেট, আগ্রাবাদ সংযোগ সড়ক, আগ্রাবাদ। সোম-শুক্র ১০:০০-২২:০০।
- 26 সেন্ট্রাল শপিং কমপ্লেক্স (সেন্ট্রাল প্লাজা), ৫৬১ আর নিজাম সড়ক, জিইসি মোড়। সোম-বৃহ ১০:০০-২২:০০, শনি ১৪:০০-২২:০০।
আউটলেট মল
[সম্পাদনা]- 27 অগোরা সুপার স্টোর (অগোরা), আফমি প্লাজা, ১/এ, বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক, পাঁচলাইশ, ☎ +৮৮০২৫৫০৪০৯৬৪। খুচরা সুপারস্টোর যা হাইপারমার্কেট, ডিসকাউন্ট ডিপার্টমেন্ট স্টোর এবং মুদি দোকানের চেইন পরিচালনা করে।
- 28 আড়ং ষোলশহর, বিমান ভবন (প্রথম তলা), ১/২, সিডিএ এভিনিউ, ষোলশহর, নাসিরাবাদ, ☎ +৮৮০৩১২৫৫৫১১২। সোম-শনি ১০:০০-২৩:০০।
- 29 আড়ং হালিশহর, লেন #১, সড়ক #১, বাড়ি #১, ব্লক #এল, হালিশহর এইচ/এ, ☎ +৮৮০৩১২৫১৫৬৪৪। রবি-শুক্র ১০:০০-২৩:০০।
- 30 খুলশী মার্ট, আর্কেডিয়া শপিং সেন্টার, ৪ জাকির হোসেন সড়ক, ☎ +৮৮০১৭৩০৩৫৬২৭৮, +৮৮০১৭৩০৩৪০২২৫।
- 31 দেশী দশ, আফমি প্লাজা, ১/এ, বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক, পাঁচলাইশ। দেশী দশের সদস্য দেশীয় ফ্যাশনশিল্পের ১০টি প্রতিষ্ঠান: নিপুন, কে ক্র্যাফট, অঞ্জনস্, রঙ বাংলাদেশ, বাংলার মেলা, সাদাকালো, বিবিআনা, দেশাল, নগরদোলা ও সৃষ্টি ।
- 32 শপিংব্যাগ সুপার শপ, ২৮১ চট্টেশ্বরী সড়ক, কাজির দেউড়ি, ☎ +৮৮০১৮৮০১৯২৪৬০, +৮৮০১৮৪৪৫০০২০০।
- স্বপ্ন।
স্বতন্ত্র দোকান
[সম্পাদনা]বাংলাদেশি গ্রন্থশিল্প বিশাল, বছরে প্রায় হাজার হাজার বই বাংলা, ইংরেজিতে এবং অন্যান্য স্থানীয় ভাষায় প্রকাশিত হয়। চট্টগ্রাম এই শিল্পের কেন্দ্রস্থল, তাই এখানে বড়, ছোট, বিশেষ বইয়ের দোকান প্রচুর। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বইগুলি সস্তা হতে পারে এবং জনপ্রিয় পশ্চিমা বইগুলি মার্কিন ডলারের হারে পাওয়া যায়।
সাধারণভাবে, বই কেনার উৎকৃষ্ট স্থান হল চেরাগী পাহাড়, আন্দরকিল্লা, স্টেশন সড়ক, জিইসি মোড় এবং শহরের বিভিন্ন শপিং মল।
- 33 বাতিঘর, প্রেসক্লাব ভবন, নিচতলা, ১৪৬/১৫১ জামাল খান সড়ক, ☎ +৮৮০১৭৩৭৩১৭৮৪১, ইমেইল: digital@baatighar.com। ১০:০০-১০:০০। শহরের সবচেয়ে বড় বইয়ের দোকান।
- 34 নন্দন বইঘর (নন্দন), ৫ লুসাই ভবন, চেরাগী পাহাড়।
খাবার
[সম্পাদনা]চট্টগ্রামের মানুষ তৈলাক্ত ও মশলাদার খাবার পছন্দ করে। বিদেশীদের জন্য এটি সমস্যা হতে পারে এবং পেট খারাপ হতে পারে। আপনি যদি এতা অভ্যস্ত না হন তবে বড় হোটেলগুলিতে থাকা এবং ভাল রেস্তোরাঁয় খাওয়ার কথা বিবেচনা করা উচিত। আপনার খাবারের সাথে সরবরাহকৃত সবুজ সালাদ কখনই খাবেন না কারণ আপনি বুঝতে পারবেন না এটি জীবাণুমুক্ত জলে ধুয়েছে কিনা। শহরের মাত্র কয়েকটি রেস্তোরাঁ সালাদ ধোয়ার জন্য জীবাণুমুক্ত জল ব্যবহার করে এবং অন্যথায় এটি বিস্ফোরক ডায়রিয়ার একটি রেসিপি হতে পারে।
স্থানীয় খাবার
[সম্পাদনা]চট্টগ্রাম বিভিন্ন স্বতন্ত্র এবং সুস্বাদু খাবারের জন্য বিখ্যাত। চট্টগ্রামের মানুষ ভোজন রসিক। চট্টগ্রামের মেজবান হচ্ছে তার বড় উদাহরণ। কালাভুনা, গরুর গোস্ত ভুনা, আখনী পোলাও বিরিয়ানি, দুরুস কুরা, মধুভাত, লক্ষিশাক, ফেলন ডাল, দোমাছা, শুঁটকি, নোনা ইলিশ, আফলাতুন হালুয়া, তাল পিঠা, বাকরখানি, বেলা বিস্কুট, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য।
- গরুর মাংসের কালাভুনা
- আরাকান আর চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দুরুস
- নোনা ইলিশ ভর্তা
- চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাকরখানি
- 1 চাতক ক্যাফে, বিস্তার: চিটাগং আর্টস কমপ্লেক্স, ৬৮৮/সি, মেহেদিবাগ সড়ক, ☎ +৮৮০১৭১৩১০৯৯৪০, ইমেইল: bistaar@yahoo.com। ১০:০০ থেকে ২২:০০। খাদ্য ও পানীয় ক্যাফে
- 2 জামান হোটেল, জিইসি, ☎ +৮৮০১৮৯৬৪৯১৩৮। চট্টগ্রামে জামানের ১৩টি হোটেল রয়েছে। এদের মেনুতে কোনো বিদেশি খাবার নেই এবং এটি মধ্যবিত্ত বাংলাদেশি রেস্তোরাঁর শীর্ষে রয়েছে। জায়গাটা পরিষ্কার, খাবার মানসম্মত, এবং সেবা ভালো। আপনি মেনুতে উদ্ধৃতিতে বিজ্ঞতা চিন্তা করতে পারেন: "রান্না এড়াতে মানসম্পন্ন খাবার সহ সুপার ডিস্কের জন্য অনুগ্রহ করে কার পরিবারের সাথে জামান হোটেলে আসুন।" একই ব্লকে একই নামের দুটি রেস্তোরাঁ রয়েছে - এটি সবচেয়ে দক্ষিণে, ছাদে বিশাল নিয়ন চিহ্ন সহ। ৪০ থেকে শুরু।
- 3 বীর চট্টলা, রমনা ট্রেড সেন্টার, সিডিএ অ্যাভিনিউ, ☎ +৮৮০১৯১৪২৪০৯৮৮, ইমেইল: info@barcoderestaurantgroup.com।
- 4 মেজ্জান হাইলে আইয়ুন (আগ্রাবাদ), শেখ মুজিব সড়ক, আগ্রাবাদ, ☎ +৮৮০১৯৭১৯৮২১২১, ইমেইল: info@barcoderestaurantgroup.com। সকাল-২৩:০০।
- 5 মেজ্জান হাইলে আইয়ুন (জিইসি), সিডিএ অ্যাভিনিউ, ☎ +৮৮০১৯৩৩৩৯৭৫৫০, ইমেইল: info@barcoderestaurantgroup.com। সকাল-২৩:০০।
- 6 মেজ্জান হাইলে আইয়ুন (পাঁচলাইশ), ৯৫ কেবি ফজলুল কাদের সড়ক, চট্টগ্রাম, ইমেইল: info@barcoderestaurantgroup.com। সকাল-২৩:০০।
ভারতীয় রন্ধনপ্রণালী
[সম্পাদনা]- 7 ইম্পালা চাইনিজ এন্ড সাউথ ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট, ১৩৬ ও.আর. নিজাম সড়ক, ☎ +৮৮০১৮১৮৭৮৬৬৫২।
- 8 ধাবা, দোকান নং ৪/৫, জাকির হোসেন সড়ক, পুনাক ভবন, দামপাড়া, ৪০০০, ☎ +৮৮০১৭০৭২১৩১৭৭।
- 9 দোসা হাট, নন্দন কানন, ☎ +৮৮০১৯৪৬৯৮৫৯৮৫।
- 10 হান্ডি ইন্ডিয়ান বিস্ট্রো, ২য় তলা, ৮০৫/ডি, গনি কমপ্লেক্স, সিডিএ অ্যাভিনিউ, চট্টগ্রাম, ☎ +৮৮০১৭৩০৩৪১১৮১। দুপুর-২৩:০০।
চিনা রন্ধনপ্রণালী
[সম্পাদনা]- 11 ইম্পালা চাইনিজ এন্ড সাউথ ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট, ১৩৬ ও.আর. নিজাম সড়ক, ☎ +৮৮০১৮১৮৭৮৬৬৫২।
- 12 লিটল এশিয়া, ইনোভেটিভ ভূঁইয়া অর্কিড (লেভেল ৫) ১০২৫/ক, হিল ভিউ হাউজিং সোসাইটি, ৪২০৩, ☎ +৮৮০১৩১২১০০০১৮। ডাইন-ইন · টেকওয়ে
- 13 সাংরি-লা চাইনিজ রেস্তোরাঁ (সাংরি-লা), ৩৯ জীবন বীমা ভবন, সাবদার আলী সড়ক, আগ্রাবাদ বা/এ, ☎ +৮৮০৩১৮১০২১০। ১১:০০-মধ্যরাত। স্মার্ট শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। ৩০০-৪০০।
- 14 সিলভার স্পুন, সাত্তার চেম্বার, ৯৯ আগ্রাবাদ, বা/এ কমার্স কলেজ সড়ক, ৪১০০, ☎ +৮৮০১৭০১২২৯০০০।
রেস্তোরাঁ
[সম্পাদনা]- 15 অ্যামব্রোসিয়া রেস্টুরেন্ট লি (অ্যামব্রোসিয়া), জীবন বীমা ভবন (নিচ তলা), ১০৫৩, শেখ মুজিব সড়ক (রেডিও স্টেশনের পাশে এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক শাখার বিপরীতে), ☎ +৮৮০২৩৩৩৩১৩৫৭৬, +৮৮০২৩৩৩৩১৩৪৬০, ইমেইল: info@ambrosia.com.bd। বুফে লাঞ্চ ১৬:০০; সান্ধ্যভোজন ১৮:০০-২৩:০০। কারাওকে কর্নার সহ শহরের বৃহত্তম এবং সর্বশেষ আন্তর্জাতিক মানের রেস্তোরাঁ যেখানে ২ তলা জুড়ে ৫০০ জন লোকের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশি খাবারের পাশাপাশি মহাদেশীয়, ভারতীয়, থাই, চাইনিজ, ইন্দোনেশিয় খাবারের বিশাল মেনু রয়েছে। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং টিপটপ।
- 16 ক্যাফে মিলানো, ৮৯/৩০৯, ইয়াকুব ট্রেড সেন্টার (লেভেল-৫), পূর্ব নাসিরাবাদ (বাদশা মিয়া পেট্রোল পাম্পের পাশে), ☎ +০১৭৯৭-৫৭৯৯৩৬। ২৩:০০-২২:০০। নৈমিত্তিক, ছোট ক্যাফেতে অফার করা পাস্তা, পিৎজা এবং নাচোর মতো আইটেম সহ গ্লোব-স্প্যানিং মেনু।
- 17 বনজোর, ১৬৯২ গোল্ডেন প্লাজা (২য় ও ৩য় তলা), জিইসি, সিডিএ অ্যাভিনিউ, পূর্ব নাসিরাবাদ, ☎ +৮৮০১৭১৪০৪১১৮৪, ইমেইল: info@bonjourbd.com। আন্তর্জাতিক মানের বুফে সহ দীর্ঘ মেনু রয়েছে।
- 18 বারকোড অন ফায়ার, রমনা ট্রেড সেন্টার, সিডিএ অ্যাভিনিউ, ☎ +৮৮০৩১৬৫৩৫৫৮, +৮৮০১৭১৩১২১২১২, ইমেইল: info@barcoderestaurantgroup.com। ৯:০০-২৩:৩০।
- 19 বারকোড ক্যাফে (নাসিরাবাদ), ৬২ পূর্ব নাসিরাবাদ, বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক, ☎ +৮৮০৯৬৬৯১৪১৪১৪, ইমেইল: info@barcoderestaurantgroup.com। ১১:০০-২৩:০০।
- 20 বারকোড ক্যাফে (জিইসি), জিইসি, সেকেন্ডার প্লাজা, ৮১৫ সিডিএ অ্যাভিনিউ, দামপাড়া, ☎ +৮৮০৩১৬৫৩৫৫৮, +৮৮০১৭১৩১২১২১২, ইমেইল: info@barcoderestaurantgroup.com। Tu-Sa 9AM-11:30PM।
- 21 বারকোড ফুড জংশন, ৩৫৮ পশ্চিম ষোলশহর, সিডিএ অ্যাভিনিউ, মুরাদপুর, ☎ +৮৮০৯৬৬৯১৪১৪১৪, ইমেইল: info@barcoderestaurantgroup.com। ১২:০০-২৩:০০।
- 22 বার্গউইচ টাউন ফিউশন ক্যাফে (বার্গউইচ টাউন), এ১/৪৭, এসকেএস শপিং কমপ্লেক্স, মেহেদীবাগ (সিডিএ মসজিদের বিপরীতে), ☎ +০৯৬৬৯১৪১৪১৪, ইমেইল: info@barcoderestaurantgroup.com। ১২:০০-২৩:০০।
- 23 বাসমতি রেস্টুরেন্ট, সিডিএ অ্যাভিনিউ, জিইসি, ☎ +৮৮০৩১৬৫১২০১, ইমেইল: info@basmatirestaurant.co.uk। ২০:০০-২২:০০। এটি বাংলাদেশি এবং ভারতীয় খাবারের সাথে একটি উৎকৃষ্ট পরিবেশ প্রদান করে।
- 24 পিৎজা হাট, ৮০৫/বি সিডিএ অ্যাভিনিউ, জেবি কমপ্লেক্স, জিইসি মোড়, দামপাড়া, ☎ +৮৮০৩১৬৩২৭৩৩, +৮৮০৩১৬১৪৬৫৬, +৮৮০৩১৬২৩৫১৬, +৮৮০৩১৬২৩৫৬৫। ১১:০০-২৩:০০। ২৩০-৫০০ টাকা প্রতি মাঝারি পিজ্জা।
- 25 মেরিডিয়ান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট (মেরিডিয়ান), ১৩৬৭ সিডিএ অ্যাভিনিউ, জিইসি, ☎ +৮৮০১৭৩০০৭৩৯৮৭। মেরিডিয়ানে প্রায় ৩৫০ টাকায় একটি চমৎকার লাঞ্চ বুফে রয়েছে।
ফাস্ট ফুড
[সম্পাদনা]- 26 সুগারবান (ওয়েল ফুড), ৯৪৪ ওআর নিজাম সড়ক, জিইসি, ☎ +৮৮০১৮১৮৪৪৯৭০৭। একই নামের আন্তর্জাতিক চেইন ফাস্ট ফুডের জায়গা। ফাস্ট ফুড ফরম্যাটে এশিয় স্বাদের পিৎজা, বার্গার, ফ্রাই এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার সরবরাহ করে। কফি, কেক, রুটি এবং অন্যান্য স্ন্যাকসও বিক্রি করে। ১৭৫-২৫০ টাকা।
- 27 বাসকিন-রবিনস (আগ্রাবাদ), বালামতলী, আগ্রাবাদ। ২০:০০-২৩:০০। ইনস্পায়ার ব্র্যান্ডের মালিকানাধীন আমেরিকান বহুজাতিক চেইন এবং আইসক্রিম এবং কেক বিশেষ দোকানে রেস্তোঁরা।
- 28 বাসকিন-রবিনস (সিডিএ অ্যাভিনিউ), সিডিএ অ্যাভিনিউ। ২০:০০-২৩:০০। ইনস্পায়ার ব্র্যান্ডের মালিকানাধীন আমেরিকান বহুজাতিক চেইন এবং আইসক্রিম এবং কেক বিশেষ দোকানে রেস্তোঁরা।
পানীয়
[সম্পাদনা]চা ও কফি
[সম্পাদনা]চট্টগ্রামে চায়ের এবং কফির দোকানগুলি বেশিরভাগই মানসম্মত এবং চেইন রেঁস্তোরা আধীন। সবচেয়ে সাধারণ কফি হাউস হল রিও কফি, যা শহর জুড়ে একাধিক স্থানে পাওয়া যায়, বিশেষ করে নেভাল এভিনিউ, জিইসি মোড়ের মতো স্থানে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন মোড়ে রয়েছে ছোট-ছোট চায়ের দোকান যেগুলোকে টং বলে হয়ে থাকে।
- 1 রিও কফি (আগ্রাবাদ), আখতারুজ্জামান সেন্টার। ১১:০০-২১:৩০।
- 2 রিও কফি (খুলশী), সড়ক ১, খুলশী আবাসিক এলাকা, জাকির হোসেন, ☎ +৮৮০১৮১০০৩০২৭১। ১১:০০-২৩:০০।
- 3 রিও কফি (জিইসি), ওয়েল মিডিয়া, ৩য় তলা, জিইসি মোড়, ৯৪৪ ও.আর. নিজাম সড়ক, ☎ +৮৮০১৬৪৪৩৩৪৬৩৪। ১১:০০-২১:৩০।
- 4 রিও কফি (সিআরবি), হল ২৪, সিআরবি সড়ক, ☎ +৮৮০৩১৬৫০৮৯২। ১১:০০ - ২২:৩০।
হুক্কা/সীসা
[সম্পাদনা]বাংলাদেশি বারের খাবার, হুক্কা, এবং লাউঞ্জ অভিজ্ঞতা আশ্চর্যজনক। এই দুটি স্থানে তরুণ বৃদ্ধের ভিড় খুবই প্রচলিত দৃশ্য।
বার ও নৈশক্লাব
[সম্পাদনা]চট্টগ্রামে পাঁচ তারকা হোটেলের পাশাপাশি বেশকয়েকটি বেসরকারি ক্লাবে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় পাওয়া যায়। চট্টগ্রামে পাঁচটি হোটেলের বারের লাইসেন্স রয়েছে; রেডিসন ব্লু চিটাগাং বে ভিউ, হোটেল আগ্রাবাদ, সিলমুন হোটেল, সেন্ট মার্টিন হোটেল লিমিটেড এবং দ্য পেনিনসুলা চিটাগাং। যদিও এসকল হোটেলেই পানীয়ের দাম বেশি। পেনিনসুলার সবচেয়ে দামি (হাইনেকেনের বড় ক্যানের জন্য ৫৫০ টাকার বেশি গুনতে হয়)।
এখানে আপনি বাংলাদেশি স্থানীয় ব্র্যান্ডেড (কেরু এ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড) অ্যালকোহল (ভদকা, রাম, মল্টেড, হুইস্কি, জিন) রেলওয়ে স্টেশনের কাছে অবস্থিত সদরঘাট (কাজী অ্যান্ড কোং), বিআরটিসিতে অবস্থিত লাইসেন্সকৃত গুদামঘর (বিদেশী লিকার) এবং দেওয়ান হাট থেকে কিনতে পারেন।
আপনি যদি কোন বারে যেতে চান তবে আপনি সদরঘাটের হোটেল শাহজাহানে যেতে পারেন, যেটি একটি সুসজ্জিত বার, অথবা বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিদেশী লিকারের একটি বারও রয়েছে, যেটি রেলওয়ে মেন্স ষ্টোর্স লিমিটেড রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বার নামে পরিচিত।
এখানে স্থানীয় মদ থেকে শুরু করে চোরাচালান করা বিয়ার এবং নকল ব্র্যান্ডের অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় কেনা সম্ভব। সরকারি লাইসেন্সকৃত দোকানে স্থানীয় মদ বৈধভাবে পাওয়া যায়। যার একটি রয়েছে শেখ মুজিব সড়কে। যেটি "সিমেনস" শোরুম থেকে অল্প দূরে একটি গলির মধ্যে রয়েছে।
খুলশী ও অন্যান্য এলাকার অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নকল ব্র্যান্ডের মদ পাওয়া যায়। কিন্তু সতর্ক থাকুন: ভেজাল মদের সেবনে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং মাথাব্যথা ও অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কখনও কখনও চোরাচালান মদ পাওয়া যায়।
- 5 আইলস বার (পেনিনসুলা), দ্য পেনিনসুলা চট্টগ্রাম, ওআর নিজাম সড়ক। শনি থেকে বৃহ ১১:০০ - ১২:০০।
- 6 নাইট শ্যাডো ক্লাব, হোটেল টাওয়ার ইন, ১৮৩ জুবিলী সড়ক, ☎ +৮৮০১৩১৮৮৯৫৭৩৪।
- 7 ফ্ল্যামিঙ্গো ক্যাফে (পেনিনসুলা), দ্য পেনিনসুলা চট্টগ্রাম, ওআর নিজাম সড়ক। ১১:০০ - ২৩:০০।
- 8 বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন বার (বিপিসি বার), হোটেল সৈকত, স্টেশন সড়ক, ☎ +৮৮০১৬৮৫৪৯৩০০১। সন্ধ্যা - ২৩:০০।
- 9 বৈকাল লাউঞ্জ, ৫ম তলা, এনেক্স ভবন, ১৫ নং সহিদ সফিউদ্দিন খালেদ সড়ক, ☎ +৮৮০৩১৬১৯৮০০।
- 10 রেডিসন ব্লু চিটাগাং বে ভিউ, সহিদ সফিউদ্দিন খালেদ সড়ক (এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বিপরীতে), ☎ +৮৮০৩১৬১৯৮০০, ইমেইল: reservation.ctg@radisson.com। একটি ৫-তারকা বাণিজ্যিক হোটেল US$101.25, €85.92 (pp/night)।
- 11 দি রেলওয়ে মেন্স ষ্টোর্স লিমিটেড রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বার, স্টেশন সড়ক (বিআরটিসির বিপরীতে)। সন্ধ্যা - ২৩:০০।
- 12 হোটেল আগ্রাবাদ, সবদর আলী সড়ক, আগ্রাবাদ বা/এ, ☎ +৮৮০৩১৭১৩৩১১, ইমেইল: info@agrabadhotels.com।
- 13 হোটেল শাহজাহান, ৯১ সদরঘাট সড়ক, ☎ +৮৮০৩১৬১৬৫৪৩।
তামাক
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী প্রকাশ্যে ধুমপানে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অন্যান্য শহরের মতো চটতগ্রামেও তা কার্যকর নয়। বর্তমানে বাংলাদেশে তামাকের উপর প্রচুর কর আরোপ করার কারণে তামাকজাত পন্যের জন্য উচ্চমূল্য প্রদান করতে হয়। চট্টগ্রামে কোন শুল্কমুক্ত তামাকে দোকান নেই। নির্দিষ্ট কিছু সংরক্ষিত স্থান ব্যতীত প্রায় সবখানেই তামাকের দোকান দেখা যায়। আইনি ধূমপানের বয়স ১৮ হলেও সিগারেট বিক্রির দোকানগুলি আপনার বয়স জানতে চাইবে না।
রাত্রিযাপন
[সম্পাদনা]এই নির্দেশিকাটি একটি আদর্শ ডাবল রুমের জন্য নিম্নলিখিত মূল্য সীমাগুলি ব্যবহার করে: | |
বাজেট | ৳৫,০০০-এর নিচে |
মধ্য-পরিসীমা | ৳৫,০০০-১০,০০০ |
খরুচে | ৳১০,০০০ এর উপরে |
টীকা: কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, হোটেল এবং অন্যান্য রাত্রিযাপন প্রতিষ্ঠান সাধারণত ''১৮ বছরের কম বয়সী কাউকে রুম রিজার্ভ করার অনুমতি দেয় না'। আগমনের পূর্বে এ বিষয়ে অবগত থাকা অত্যন্ত বাঞ্ছনীয়। | |
(তথ্য সর্বশেষ হালনাগাদ হয়েছে- মে ২০২৩) |
সস্তা
[সম্পাদনা]- 1 হোটেল লর্ডস ইন, পূর্ব নাসিরাবাদ, সিডিএ এভিনিউ, খুলশী।
- 2 বাটারফ্লাই পার্ক রিসোর্ট, ১৫ ন্যাভাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রোড। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এখানে হাজারো প্রজাপতি উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য উপভোগ করা যায়। শিশুদের জন্য রয়েছে নানা ধরনের রাইডের ব্যবস্থা, পাশাপাশি পোষা প্রাণী আনতেও অনুমতি দেওয়া হয়। ৪,০০০ থেকে ৭,০০০।
- 3 অর্কিড বিজনেস হোটেল, শেখ মুজিব রোড। বিমানবন্দর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ৩,৫০০-৭,৫০০।
- 4 পর্যটন হোটেল সৈকত, স্টেশন সড়ক, ☎ +৮৮০১৯৯১১৩৯১৪৩, ইমেইল: hotelshaikatbpc@gmail.com। ২,৫০০-১০,০০০।
- 5 ল্যান্ডমার্ক হোটেল ও রেস্তোরাঁ, শেখ মুজিব সড়ক, আগ্রাবাদ, ☎ +৮৮০১৮২০১৪১ ৯৯৫, ইমেইল: reservation@landmarkhotelbd.com। ২,৩০০ থেকে ৫,৫০০।
- 6 হোটেল হিল্টন সিটি, চৌমুহনী। ১,০০০-৩,৫০০।
- 7 হোটেল বেলমন্ড সিটি, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত রোড। হোটেল থেকে মাত্র দশ মিনিট হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। এখানে থাকার জন্য সাধারণ থেকে বিলাসবহুল, উভয় ধরনের রুমের ব্যবস্থা রয়েছে। ১,২০০ থেকে ২,৫০০।
- 8 এশিয়ান এস আর হোটেল, স্টেশন রোড। চট্টগ্রামের প্রধান বাস ও রেল স্টেশন থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরেই অবস্থিত। বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে করে হোটেলে পৌঁছাতে মাত্র ২৫ মিনিট সময় লাগে। ১,০০০ থেকে ১,৮০০।
- 9 হোটেল প্যারামাউন্ট, বাসা ১৭০, স্টেশন রোড। বিমানবন্দর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ৮০০ থেকে ১,৫০০।
মাঝরি-মানের
[সম্পাদনা]- 10 ব্রিসা মারিনা সিবিসি রিসোর্ট, ১১ নং ঘাট, বিমানবন্দর রোড, পূর্ব পতেঙ্গা। বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে কর্ণফুলি নদীর তীরে অবস্থিত। ৬,০০০ থেকে ১১,০০০।
- 11 রয়েল পার্ক, ১৭০২, সিডিএ এভিনিউ, নাসিরাবাদ। ৯৫০০-২৩,০০০।
- 12 অ্যাম্বাসেডর রেসিডেন্সি, সড়ক #২, বাড়ি #২৩ ওআর নিজাম সড়ক, ☎ +৮৮০১৭৩০৭০৭৪২২, ইমেইল: ambassador.residency@gmail.com। বিদ্যমান বিছানা ব্যবহার করার সময় ৫ বছরের কম বয়সী শিশু বিনামূল্যে থাকতে পারে। আতরিক্ত শিশুর জন্য US$১৫/রাত্রি চার্জ করা হয়। একটি রুমে একটি অতিরিক্ত বিছানা বা শিশুদের খাট রয়েছে। পোষা প্রাণী অনুমোদিত নয়।
- 13 এশিয়ান এসআর হোটেল, ২৯১ স্টেশন সড়ক, ☎ +৮৮০৩১৬৩৬৩৮৩, +৮৮০১৭১১৮৮৯৫৫৫, ইমেইল: info@asiansrhotel.com। ৩ তারকা আন্তর্জাতিক হোটেল
- 14 অর্কিড বিজনেস হোটেল, ১৭৩৯, শেখ মুজিব সড়ক, আগ্রাবাদ।
- 15 হোটেল গোল্ডেন ইন, ৩৩৬ স্টেশন সড়ক, ☎ +৮৮০১৭১১৮১৯০২৫।
- 16 হোটেল সেন্ট মার্টিন, ২৫ শেখ মুজিব সড়ক, আগ্রাবাদ, ☎ +৮৮ ০৩১৭১২১০৭-৯, +৮৮০৩১৭২৫৯৬১-২, +৮৮০৩১৭১০৬২৪, ইমেইল: hsml@hotelsaintmartin.com.bd। 3-star hotel situated in the commercial district of Chittagong. ৫৫০০-১৩,০০০ (জন/প্রতি রাত)।
- 17 হোটেল টাওয়ার ইন, ১৮৩ জুবিলি সড়ক, ☎ +৮৮০৩১২৮৬২৬৯৫। ৩ তারকা হোটেল।
বিলাসবহুল
[সম্পাদনা]- 18 ওয়েল পার্ক রেসিডেন্স, সড়ক #১, প্লট #২, ওআর নিজাম সড়ক (জিইসি মোড়ের কাছে), ☎ +৮৮০৩১২৫৫৭০৩৫, ইমেইল: reservation@wellparkbd.com। ৪-তারকা হোটেল। রুফ টপ রেস্টুরেন্টে। ১৫,৫০০-৭৫,০০০ (জন/প্রতি রাত)।
- 19 রেডিসন ব্লু চিটাগাং বে ভিউ (রেডিসন ব্লু), শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ সড়ক, লালখান বাজার, ☎ +৮৮০৩১৬১৯৮০০, ইমেইল: reservation.ctg@radisson.com। বিলাসবহুল ৫ তারকা হোটেল। অনলাইন বুকিং উপলব্ধ। ১০,০০০-২০,০০০ (জন/প্রতি রাত)।
- 20 দা পেনিনসুলা চিটাগাং লিমিটেড, ৪৮৬/বি, ওআর নিজাম সড়ক, সিডিএ অ্যাভিনিউ (জিইসি মোড়ের নিকট), ☎ +৮৮০৩১৬১৬৭২২, ইমেইল: reservation@peninsulactg.com। বিলাসবহুল ৪ তারকা হোটেল। অনলাইন বুকিং উপলব্ধ। ১০,৫০০-১৮,০০০ (জন/প্রতি রাত)।
- 21 হোটেল আগ্রাবাদ, সবদর আলী সড়ক, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, ☎ +৮৮০৩১৭১৩৩১১, ইমেইল: info@agrabadhotels.com। বিলাসবহুল ৪ তারকা হোটেল। রেস্টুরেন্ট এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। অনলাইন বুকিং উপলব্ধ। US$165-700 (pp/night)।
অ্যাপার্টমেন্ট হোটেল
[সম্পাদনা]- 22 এমি ফুল ফার্নিশড অ্যাপার্টমেন্ট (এমি সম্পূর্ণ সজ্জিত অ্যাপার্টমেন্ট), জাকির হোসেন বাই-লেন, পূর্ব নাসিরাবাদ (উইলিয়াম কেরি একাডেমি বিদ্যালয়ের কাছে), ☎ +৮৮০১৭০৮১৬০৯৯২২, ইমেইল: support@amybd.com। ঘরোয়া পরিবেশে সম্পূর্ণ-সজ্জিত অ্যাপার্টমেন্ট। ৩৫০০-৪০০০।
সংযোগ
[সম্পাদনা]ইন্টারনেট
[সম্পাদনা]বেশিরভাগ হোটেল ওয়াই-ফাই ব্যবহারের জন্য আলাদা ফি নেয়। ইন্টারনেট ক্যাফেগুলি স্টেশন সড়ক, জুবিলী সড়ক, জিইসি মোড় এবং আগ্রাবাদের আশেপাশে পাওয়া যাবে। খরচ প্রায় ৳৪০-৬০/ঘন্টা।
- 4 ডটকম, ৪১/৪২ সেন্ট্রাল শপিং কমপ্লেক্স (৩য় তলা), ওআর নিজাম সড়ক, জিইসি মোড়, ☎ +৮৮০১৭১১৭৫০৫১৮। বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি অধিদপ্তর। ৳৪০-৬০/ঘন্টা।
- 5 ডটকম সাইবার ক্যাফে, দোকান নং- ১-২, সানমার ওশান সিটি, বেসমেন্ট ফ্লোর, ☎ +৮৮০১৭১১৭৫০৫১৮। ৳৪০-৬০/ঘন্টা।
টেলিফোন
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের জন্য দেশের কোড হল ৮৮০। ল্যান্ড লাইনে চট্টগ্রামে একটি কল করতে ৩১ যোগ করুন।
ডাক ও কুরিয়ার সেবা
[সম্পাদনা]চট্টগ্রামে বর্তমানে সরকারি, বেসরকারী এবং রাইড শেয়ারিং সেবার কুরিয়ার যেমন পাঠাও তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। দেশের সব জেলার সাথেই চট্টগ্রামের কুরিয়ার সেবা পরিচালিত হয়ে থকে।
সরকারি কুরিয়ার
- 6 জেনারেল পোস্ট অফিস, আবদুর রহমান সড়ক (বিরনী বিতান (নিউ মার্কেট) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশে), ☎ +৮৮০৩১২৫১১১৩৫। রবি-বৃহ ১০:০০-১৭:০০।
বেসরকারি কুরিয়ার সেবা
- এস এ পরিবহন। নগরীর একাধিক স্থানে এস এ পরিবহন তাদের সেবা প্রধান করে। বর্তমানে কাজীর দেউরী, নাসিরাবাদ, খাতুনগঞ্জ, আগ্রাবাদ, বেপারী পাড়া এবং সিইপিজেড এলাকায় এদের শাখা রয়েছে।
- 7 ডিএইচএল আগ্রাবাদ, শফি ভবন, প্লট নম্বর ৬, শেখ মুজিব সড়ক। Su-We 9AM-9PM।
- 8 ডিএইচএল এক্সপ্রেস সার্ভিস পয়েন্ট (দামপাড়া), দামপাড়া সার্ভিস পয়েন্ট ৫১, (নিচ তলা), দামপাড়া (ওয়াসার উত্তর পাশে), ☎ +৮৮০২৫৫৬৬৮১০০। Su-We 9AM-9PM।
- 9 ডিএইচএল এক্সপ্রেস সার্ভিস পয়েন্ট (মুরাদপুর), ৭৩/৭৪ করিম'স আইকন, এশিয়ান হাইওয়ে, মুরাদপুর, ☎ +৮৮০২৫৫৬৬৮১০০। Su-We 9AM-9PM।
- সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রা:) লি.। নগরীর একাধিক স্থানে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস তাদের সেবা প্রধান করে। বর্তমানে স্ট্র্যান্ড রোড, আগ্রাবাদ, চকবাজার, নাসিরাবাদ, জুবিলী রোড, আতরের ডিপো, মুরাদপুর এবং নয়া বাজারে এদের শাখা রয়েছে।
জরুরি নম্বর
[সম্পাদনা]এখানে চট্টগ্রামের জরুরি যোগাযোগের নম্বর রয়েছে
- পুলিশ কমিশনার, ☎ +৮৮০৩১৬২৪১০০।
- আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশন, ☎ +৮৮০৩১৭১৬৩২৬।
নিরাপদ থাকুন
[সম্পাদনা]চট্টগ্রামে ভ্রমণ সাধারণত নিরাপদ হলেও কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি:
- ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সুরক্ষিত রাখুন: জনবহুল স্থান যেমন নিউমার্কেট মোড়, স্টেশন সড়ক, বা বাস টার্মিনালে থাকাকালীন আপনার মূল্যবান সামগ্রী, বিশেষত মোবাইল ও মানিব্যাগের প্রতি সতর্ক থাকুন।
- স্থানীয় যানবাহন ব্যবহার: অটোরিকশা বা সিএনজি ভাড়া নেওয়ার আগে ভাড়া নির্ধারণ করে নিন। রাতে চলাচলের সময় যাত্রাপথে ভালোভাবে সচেতন থাকুন।
- খাবার ও পানি: অস্বাস্থ্যকর রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলুন। বোতলজাত পানি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন এবং বোতলের সিল ভালোভাবে পরীক্ষা করুন।
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ: চট্টগ্রাম একটি উপকূলীয় শহর হওয়ায় বর্ষাকালে বন্যা বা ভূমিধসের সম্ভাবনা থাকে। আবহাওয়া পূর্বাভাস দেখে পরিকল্পনা করুন।
স্থানীয় মানুষ সাধারণত বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সাহায্যপ্রবণ। সমস্যায় পড়লে তাদের সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না। চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করুন, তবে সতর্ক থাকুন।
মোকাবেলা
[সম্পাদনা]প্রধান হাসপাতাল
[সম্পাদনা]- 6 অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালস (আইএইচএল), জাকির হোসেন সড়ক, পাহাড়তলী, ☎ +৮৮০৯৬১২২৪৭২৪৭, ইমেইল: info@ihlbd.org। ২৪ ঘন্টা।
- 7 চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল, জাকির হোসেন সড়ক, খুলশী, ☎ +৮৮০১৮৪৪০৪১১৪০, +৮৮০১৮৪৪০৪১১৩৫, ইমেইল: cgdbatic@gmail.com। ২৪ ঘন্টা। ডায়াবেটিস হাসপাতাল হলেও এখানে অন্যান্য রুগির চিকিৎসা করা হয়। এখানে অন্তঃবিভাগ ও বহিঃবিভাগ দুই ভাগে রোগীর সেবা দেওয়া হয়। বহিঃবিভাগে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২.০০ পর্যন্ত চিকিৎসা দেওয়া। কনসালটেন্ট ভিজিট ২০০/-, জরুরি বিভাগের ডাক্তার দেখানোর ফি:১০০/-, মেম্বারশিপ ফি ২৫০/-। অন্তঃবিভাগে ২ ভাবে রুগীকে ভর্তি করা যায়। জেনারেল বেড ভাড়া ২৫০/দিনে, কেবিন ১০০০/-, ভিআইপি কেবিন ২০০০-২৫০০/-।
- 8 চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পাহাড়তলী। বেসরকারি চক্ষু চিকিৎসা হাসপাতাল এবং চক্ষু চিকিৎসা বিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
- 9 চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, রঙমহল পাহাড়, আন্দরকিল্লা। আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ঠ সরকারী হাসপাতাল। হাসপাতালের রঙমহল পাহাড়ে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের কার্যালয় অবস্থিত।
- 10 চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ, আগ্রাবাদ, ☎ +৮৮০৩১২৫২০০৬৩, +৮৮০৩১৭১১২৩৬, +৮৮০৩১৭১৮৫২১, +৮৮০৩১৭১৮৫২৫, ইমেইল: cmoshctg@gmail.com।
- 11 চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (সিএমসি), ৫৭, কেবি ফজলুল কাদের সড়ক, পাঁচলাইশ, চকবাজার, ☎ +৮৮০৩১৬১৯৪০০, ইমেইল: info@cmc.edu.bd।
- 12 চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতল লিমিটেড, ওআর নিজাম সড়ক, ☎ +৮৮০৩১৬৫১২৪২। ২৪ ঘন্টা।
- 13 ন্যাশনাল হসপিটাল (প্রা.) লি., ১৪/১৫ মেহেদিবাগ, ☎ +৮৮০২৩৩৩৩৫৭৯১৪, +৮৮০১৮৫৫৬৭৭৫০০। ২৪ ঘন্টা।
- 14 মেমন মাতৃসনদ হাসপাতাল, ২৯১ স্ট্র্যান্ড সড়ক, ☎ +৮৮০৩১৬১৭১৬৯। Sa-Th 9AM-6PM, Friday closed।
- 15 সেন্টার ফর স্পেশালাইজড কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ (সিএসসিআর), ১৬৭৫/এ ওআর নিজাম সড়ক, ☎ +৮৮০৩১৬৫৬৫৬৫, ইমেইল: info@cscrbd.com। ২৪ ঘন্টা।
ধূমপান
[সম্পাদনা]তবে জনসমাগমস্থলে ধূমপানের আইনগত নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেই আইনের প্রয়োগ দেখা যায় না। যদিও, এমন কিছু এলাকা রয়েছে যেগুলি ধূমপানমুক্ত কিন্তু ধূমপান এলাকার খুব কাছাকাছি হতে পারে। বার, নৈশক্লাব এবং লাউঞ্জ ধূমপানের অনুমতি দিতে পারে যদি তারা খাবার পরিবেশন না করে। অন্য সব স্বতন্ত্র রেস্তোরাঁ, দোকানে ধূমপান নিষিদ্ধ। বিমানবন্দরে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে।
লন্ড্রি সেবা
[সম্পাদনা]- 35 দ্য লন্ড্রি বয় হেড আউটলেট, ১০৩০, জাকির হোসেন সডক, নাসিরাবাদ (এমইএস কলেজের বিপরীতে), ☎ +৮৮০১৭৮৭৮৬৪১৮৮, ইমেইল: info@thelaundryboybd.com।
- 36 দ্য লন্ড্রি বয় হেড আউটলেট, খুলশী মার্ট (১ম তলা), খুলশী, ☎ +৮৮০১৭৮৭৮৬৪১৮৮, ইমেইল: info@thelaundryboybd.com।
পররাষ্ট্র মিশন এবং হাই কমিশন
[সম্পাদনা]
|
পরবর্তী ভ্রমণ
[সম্পাদনা]- সীতাকুণ্ড - চট্টগ্রাম জেলার একটি উপজেলা
- পার্বত্য চট্টগ্রাম - চট্টগ্রাম বিভাগের এই এলাকা পাহাড় ও উপত্যকায় পূর্ণ বলে এর নামকরণ হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম।
- বান্দরবান - একটি পাহাড়ি এলাকা, চট্টগ্রাম থেকে সড়ক পথে দুই ঘণ্টা দুরত্ব
- রাঙ্গামাটি - চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় শহর
- কক্সবাজার - বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত
- টেকনাফ - বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের উপজেলা
{{#মূল্যায়ন:শহর|ব্যবহারযোগ্য}}