বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে
এই পাতাটি অপসারণের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। অপসারণ নীতিমালাটি পড়ে, উইকিভ্রমণ:অপসারণ ভোটাভুটি পাতায় আপনার মতামত দিন। আলোচনাটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দয়া করে এই বিজ্ঞপ্তিটি সরিয়ে ফেলবেন না। আপনি যদি এই নিবন্ধের লেখক হন তবে মনে রাখবেন, এই মনোনয়নটি আপনার কাজের সমালোচনা নয়, বরং এটি আপনার নিবন্ধের শিরোনাম বা বিষয় উইকিভ্রমণের নিবন্ধের মানদণ্ড পূরণ করতে পারে কিনা তার একটি বিজ্ঞপ্তি।

পৃত্থিমপাশা জমিদার বাড়ি সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার একটি দর্শনীয় স্থাপনা। পৃথিমপাশা নবাব বাড়ি নামেও পরিচিত বাংলাদেশে জমিদারী আমলের স্মৃতি বিজড়িত এই ঐতিহাসিক এবং অপূর্ব স্থাপনাটির মতো জীবন্ত জমিদার বাড়ি বাংলাদেশে আর দ্বিতীয়টি নেই।

বিবরণ

[সম্পাদনা]

জেলা সদর হতে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কুলাউড়া উপজেলার একটি সাবেক পরগণা পৃত্থিমপাশা, যা মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে ৪৭ কিলোমিটার দূরত্বে। ইংরেজ আমলে এই এলাকাটি ছিল ত্রিপুরা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ও এখানকার পাহাড়ি এলাকায় নওগা কুকি উপজাতির বেশ প্রতাপ ছিল। সেসময় শ্রীহট্ট সদরের (বর্তমানে সিলেট) একজন কাজী ছিলেন মোহাম্মদ আলী। ১৭৯২ সালে ইংরেজ শাসকদের পক্ষ হয়ে নওগা কুকিদের বিদ্রোহ দমনে কাজী মোহাম্মদ আলীর পুত্র মোহাম্মদ আলী আমজাদ খাঁন ভূমিকা রাখলে ইংরেজ সরকার খুশি হয়ে তাকে ১২০০ হাল বা ১৪,৪০০ বিঘা জমি দান করেন, যা তখনকার সময়ে বৃহত্তর সিলেটের মধ্যে সবচেয়ে স্বনামধন্য এবং প্রভাবশালী অন্যতম জমিদারী ছিলো। সিলেটের বিখ্যাত আলী আমজাদের ঘড়িচাঁদনীঘাটের সিঁড়ি সমাজসেবায় তার অন্যতম দৃষ্টান্ত। পৃত্থিমপাশা জমিদার বাড়িতে ইরানের রাজা, ত্রিপুরার মহারাজা রাধা কিশোর মানিক বাহাদুরসহ বহু ইংরেজ ভ্রমণ করে গেছেন।

এই বাড়ির ভেতরের সবকিছু পুরানো আমলের কারুকাজ খচিত মনে হলেও সেগুলো পরিষ্কার ঝকঝকেই আছে এখনো। জমিদারদের ব্যবহার করা অনেক জিনিসপত্র রয়েছে এ বাড়িতে। বাড়িটির সবকিছু রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য এখানে লোক রয়েছে এবং নবাব আলী আমজাদ খাঁর উত্তসুরিরাই দেখাশুনা করেন জমিদার বাড়িটি।

কীভাবে যাবেন?

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের যেকোন স্থান হতে মৌলভীবাজার এসে সেখান থেকে সরাসরি বা কুলাউড়া এসে সেখান থেকে পৃত্থিমপাশায় আসা যায় স্থানীয় যানবাহনে চড়ে। মৌলভীবাজারে আসার জন্য ভালোমানের এসি বাস এবং আন্তঃনগর ট্রেন রয়েছে। তবে, বিমান পথে আসতে হলে সিলেট হয়ে সেখান থেকে সড়ক পথে আসতে হবে।

খাওয়া-দাওয়া

[সম্পাদনা]

কুলাউড়ায় স্থানীয় পর্যায়ের বিশেষ কোনো বিখ্যাত খাদ্য নেই, কেবল আখনী পোলাও ও সাতকরা (হাতকরা) ব্যতীত। তবে স্থানীয় আনারস, কমলা, পান, লেবু এবং কাঠালের বেশ সুখ্যাতি রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে চা-পাতা। হাওড় এলাকায় প্রচুর মাছ পাওয়া যায় এবং খামার ভিত্তিক হাঁস পালন করা হয়। এখানে সাধারণভাবে দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়ার জন্য স্থানীয় হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। খাওয়া দাওয়ার জন্য যেতে পারেনঃ

  • ছামী ইয়ামী রেস্তোরাঁ : কুলাউড়া, +৮৮০১৭১২-৯৭৮ ৮৬৫;
  • ইস্টান রেস্তোরাঁ : কুলাউড়া, +৮৮০১৭১৯-২৩০ ২৪১।

থাকা ও রাত্রি যাপনের স্থান

[সম্পাদনা]

কুলাউড়া ও এর আশেপাশে থাকার জন্য সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় পর্যায়ের কিছু মানসম্মত আবাসন এবং রেস্ট হাউস ও হোটেল রয়েছে, যেখানে ৪০০ থেকে ২০,০০০ টাকায় বিভিন্ন ধরণের রুম পাওয়া যায়। এসব আবাসন এবং রেস্ট হাউস ও হোটেলের মধ্যে রয়েছেঃ

  • উপেজলা পরিষদ ডাকবাংলো : কুলাউড়া থানার সম্মুখে;
  • ফাল্গুনী রেস্ট হাউজ : মিলি প্লাজা, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার;
  • সার্কিট হাউস : কোর্ট রোড, মৌলভীবাজার, ☎ ০৮৬১-৬৩০২৫;
  • গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট ও গলফ সেন্টার : রাধানগর, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার, মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩০ ৭৯৩ ৫৫২-৯।

জরুরি যোগাযোগের নম্বরসমূহ

[সম্পাদনা]
চিকিৎসা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য
  • উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্য্যালয়, কুলাউড়া: +৮৮০১৯২৬-২৫৯ ৫৬৮;
  • সিভিল সার্জন, মৌলভীবাজার: ☎ ০৮৬১-৫২২৯৬;
  • জরুরি বিভাগ, সদর হাসপাতাল, মৌলভীবাজার: ☎ ০৮৬১-৫৩০৮২;
  • আর.এম.ও. মৌলভীবাজার: ☎ ০৮৬১-৫৩০৮২;
  • চক্ষু হাসপাতাল: ☎ ০৮৬১-৫২৬৭০;
জননিরাপত্তা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য
  • ইউ.এন.ও. কুলাউড়া: ☎ ০৮৬২৪-৫৬০৮০, মোবাইল: +৮৮০১৭৩০-৩৩১ ০৭৪;
  • ওসি কুলাউড়া: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৪৪৩;
  • জেলা প্রশাসক, মৌলভীবাজার: ☎ ০৮৬১-৬৩২০২ ও ৬৩২০১, মোবাইল : +৮৮০১৭১৫-১৭১ ৭৮৬;
  • পুলিশ সুপার, মৌলভীবাজার: ☎ ০৮৬১-৫২২৩৫, মোবাইল : +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৪৩৩;
  • র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯, সিলেট: ☎ ০৮২১-৭৬০৭৮২, ৭৬১৩৯৩, মোবাইল: +৮৮০১৭৭৭-৭১০ ৯৯৯।

বিষয়শ্রেণী তৈরি করুন