এই পাতাটি অপসারণের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। অপসারণ নীতিমালাটি পড়ে, উইকিভ্রমণ:অপসারণ ভোটাভুটি পাতায় আপনার মতামত দিন। আলোচনাটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দয়া করে এই বিজ্ঞপ্তিটি সরিয়ে ফেলবেন না। আপনি যদি এই নিবন্ধের লেখক হন তবে মনে রাখবেন, এই মনোনয়নটি আপনার কাজের সমালোচনা নয়, বরং এটি আপনার নিবন্ধের শিরোনাম বা বিষয় উইকিভ্রমণের নিবন্ধের মানদণ্ড পূরণ করতে পারে কিনা তার একটি বিজ্ঞপ্তি। |
বান্দরবান সদর বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
জানুন
[সম্পাদনা]চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ২১°৫৫´ থেকে ২২°২২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°০৮´ থেকে ৯২°২০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত বান্দরবান সদর উপজেলার আয়তন ৪৯৫.৩৫ বর্গ কিলোমিটার। ১৯২৩ সালে বান্দরবান সদর থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। এ উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে।
নামকরণ
[সম্পাদনা]বান্দরবান জেলার নামকরণ নিয়ে একটি কিংবদন্তি রয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের প্রচলিত রূপকথায় আছে, এ এলাকায় একসময় অসংখ্য বানর বাস করত। আর এই বানরগুলো শহরের প্রবেশমুখে ছড়ার পাড়ে পাহাড়ে প্রতিনিয়ত লবণ খেতে আসত। এক সময় অনবরত বৃষ্টির কারণে ছড়ার পানি বৃ্দ্ধি পাওয়ায় বানরের দল ছড়া পাড় হয়ে পাহাড়ে যেতে না পারায় একে অপরকে ধরে ধরে সারিবদ্ধভাবে ছড়া পাড় হয়। বানরের ছড়া পারাপারের এই দৃশ্য দেখতে পায় এই জনপদের মানুষ। এই সময় থেকে এই জায়গাটির পরিচিতি লাভ করে ম্যাঅকছি ছড়া নামে। অর্থাৎ মারমা ভাষায় ম্যাঅক অর্থ বানর আর ছি অর্থ বাঁধ। কালের প্রবাহে বাংলা ভাষাভাষির সাধারণ উচ্চারণে এই এলাকার নাম রুপ লাভ করে বান্দরবান হিসাবে। বর্তমানে সরকারি দলিল পত্রে বান্দরবান হিসাবে এই জেলার নাম স্থায়ী রুপ লাভ করেছে। তবে মারমা ভাষায় বান্দরবানের নাম রদ ক্যওচি ম্রো।
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]২০০১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বান্দরবান সদর উপজেলার জনসংখ্যা ৬৮,৬৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৯,০২৬ জন এবং মহিলা ২৯,৬৬৭ জন। মোট জনসংখ্যার ৪২.৪৯% মুসলিম, ৭.৭৬% হিন্দু, ৪২.৭৫% বৌদ্ধ, ৪.৪৭% খ্রিস্টান এবং ২.৫৩% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এ উপজেলায় মার্মা, চাকমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা প্রভৃতি উপজাতি নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
কীভাবে যাবেন
[সম্পাদনা]ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে চট্টগ্রাম-বান্দরবান মহাসড়ক হয়ে যে কোন যানবাহনে বান্দরবান যাওয়া যায়। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান থেকেও যে কোন যানবাহনে সরাসরি বান্দরবান যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- নীলাচল বান্দরবান শহর থেকে চাঁদের গাড়ি, বেবি টেক্সি, জীপ, কার ইত্যাদি যোগে যাওয়া যায়।
- শুভ্রনীলা বান্দরবান শহর থেকে চাঁদের গাড়ি, বেবি টেক্সি, জীপ, কার ইত্যাদি যোগে যাওয়া যায়।
- মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র দেশের যে কোন স্থান থেকে সহজে যাতায়াত করা যায়। ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম থেকে বাস, কোচ, মাইক্রোবাস, জীপ ও যে কোন ভাড়া করা গাড়িতে যাতায়াত করা যায়। চট্টগ্রাম থেকে বিআরটিসির বাস, পূরবী ও পূর্বাণী চেয়ারকোচের মাধ্যমে আসা যায়। ঢাকা-বান্দরবান চেয়ারকোচের মাধ্যমে সরাসরি আসা যাওয়া করা যায়।
- শৈলপ্রপাত ঝর্ণা বান্দরবান শহর থেকে চাঁদের গাড়ি, বেবি টেক্সি, জীপ, কার ইত্যাদি যোগে যাওয়া যায়।
- চিম্বুক পাহাড় বান্দরবান শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে বান্দরবান-থানচি সড়কে অবস্থিত।
- কানা পাড়া পাহাড় বান্দরবান শহর থেকে চাঁদের গাড়ি, বেবি টেক্সি, জীপ, কার ইত্যাদি যোগে যাওয়া যায়।
- প্রান্তিক লেক বান্দরবান শহর থেকে চাঁদের গাড়ি, বেবি টেক্সি, জীপ, কার ইত্যাদি যোগে যাওয়া যায়।
- বুদ্ধ ধাতু জাদি (স্বর্ণ মন্দির) বান্দরবান শহর থেকে চাঁদের গাড়ি, বেবি টেক্সি, জীপ, কার ইত্যাদি যোগে যাওয়া যায়।
- সাঙ্গু নদী বান্দরবান শহরের ট্রাফিক মোড় থেকে ২ মিনিটে পায়ে হাঁটার পথ।
- বোমাং রাজার বাড়ি বান্দরবান শহরের ট্রাফিক মোড় থেকে রিক্সা এবং ৫ মিনিট পায়ে হেঁটে যাওয়া যায়।
- ন্যাচারাল পার্ক বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার আগে এ পার্কের অবস্থান। প্রায় ১০০ একর পাহাড়ি টিলায় এই সুন্দর স্পটটি ওসমান গণি নামীয় একজন প্রকৃতিপ্রেমী নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছেন। ফলের বাগান, ফুলের বাগান, চা বাগান, কফি বাগান, আম বাগান ছাড়াও পেঁপে, পেয়ারা, কলা, আমলকী, হরিতকি, বহেরা, পাইন্যাগুলা ছাড়াও অনেক ধরনের বাগান রয়েছে।
- সাইরু হিল রিসোর্ট বান্দরবান শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে বান্দরবান-থানচি সড়কের চিম্বুক পাহাড়ের আগে এর অবস্থান।
থাকার ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]বান্দরবান শহরে রাত্রিযাপনের জন্য সরকারি পরিচালনাধীন সার্কিট হাউজ, হিলটপ রেস্ট হাউজ, জেলা পরিষদ রেস্ট হাউজ, নীলাচল রেস্ট হাউজ, মেঘলা রেস্ট হাউজ রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য আবাসিক হোটেলগুলোে মধ্যে পর্যটন মোটেল, হোটেল হিল ভিউ, হোটেল হলিডে ইন রিসোর্ট, হোটেল প্লাজা, ভেনাস রিসোর্ট, সাকুরা হিল রিসোর্ট, হোটেল গ্রীনল্যান্ড, হোটেল থ্রিস্টার, জোভি গেস্ট হাউজ, হোটেল রিভারভিউ, হোটেল সাঙ্গু, হিল সাইট রিসোর্ট উল্লেখযোগ্য।
খাওয়া দাওয়া
[সম্পাদনা]বান্দরবান শহরের যে কোন জায়গায় যে কোন মানের খাবার খেতে পারেন।