বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে

মান্দারবাড়ীয়া সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত বঙ্গোপসাগরের তীরভূমি জুড়ে ৮ কিলোমিটার লম্বা এক নয়নাভিরাম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। এখানে একই সাথে বন এবং সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়।

কীভাবে যাবেন

[সম্পাদনা]

সাতক্ষীরার বাস ধরে সাতক্ষীরা/শ্যামনগর যেতে হবে। ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার দূরত্ব ৩৪৩ কিলোমিটার। সাতক্ষীরা সদর থেকে বুড়িগোয়ালীনি ৭০ কিলোমিটার। সহজে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যাবে বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুরস্থ নৌঘাট থেকে। ইঞ্জিন চালিত নৌকা, স্টিমার বোটে করে শীত মৌসুমে (অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সময়ে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যাবে। স্টিমার বা ইঞ্জিন চালিত নৌকা করে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৬/৭ ঘণ্টা। স্পিড বোট যোগে বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুর থেকে মান্দারবাড়িয়া পৌঁছাতে সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা।

নন এসি বাস

[সম্পাদনা]
সোহাগ পরিবহন৫৫০ টাকা
সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস৫০০ টাকা
এস পি গোল্ডেন লাইন৫০০ টাকা
হানিফ এন্টারপ্রাইজ৫০০ টাকা
শুভ বসুন্ধরা পরিবহন৫০০ টাকা
এ কে ট্রাভেলস৫০০ টাকা
আর এম ট্রাভেলস৫০০ টাকা
কিং ফিশার ট্রাভেলস৫০০ টাকা
কে লাইন৫০০ টাকা
গ্রীন লাইন৫০০ টাকা
ঈগল পরিবহন৫০০ টাকা
মামুন এন্টারপ্রাইজ৫০০ টাকা
সৌদিয়া পরিবহন৫০০ টাকা
শ্যামলী৫০০ টাকা

এসি বাস সার্ভিস

[সম্পাদনা]
এস পি গোল্ডেন লাইন১২০০ টাকা
এ কে ট্রাভেলস১২০০ টাকা
সোহাগ পরিবহন১৩০০ টাকা
দেশ ট্রাভেলস১৩০০ টাকা

কী দেখবেন

[সম্পাদনা]

সাতক্ষীরার বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুর নৌঘাট থেকে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব আনুমানিক ৭৫ কিলোমিটার। এই ৭৫/৮০ কিলোমিটার পথের পুরাটাই সুন্দরবনের বুক চিরে যাওয়া বিভিন্ন নদীর মাঝ দিয়ে যেতে হবে এবং নদীর জলরাশির গর্জন নেশা ধরিয়ে দেবার জন্যে যথেষ্ট।

নীলডুমুর ঘাট থেকে যাত্রা শুরু করে খোলপেটুয়া - কপোতাক্ষ নদের সঙ্গমস্থলের পাশ কাটিয়ে কলাগাছিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, মালঞ্চ নদী হয়ে পৌঁছতে হবে মান্দারবাড়িয়ায়। এই যাত্রাপথ পাওয়া যাবে আরও বিশাল নদী যার উভয় পাশেই দেখা যাবে চিরহরিৎ সুন্দরবন। সবুজের রাজ্য আপনার চোখ জুড়িয়ে দিবে। সুন্দরী, কেওড়া, বাইন, পশুর, গরান, গোলপাতা, সিংড়া, হেতাল, খলসী, গেওয়া গাছের সম্মিলনে এখানে ঘটেছে সবুজের মিলনমেলা। ম্যানগ্রোভ ফরেষ্টের শ্বাসমূল আর সেখানে হরিণসহ নানা প্রাণীর ছুটে চলা আপনাকে বিমোহিত করে রাখবে। নয়ন ভরে দেখার মত সে দৃশ্য। পানকৌড়ি আর বালিহাসের উড়ে যাওয়া দেখতে দেখতে পৌছে যাবেন মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে।

প্রায় ৮ কিলোমিটার লম্বা মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত ছবির মত সুন্দর, অসম্ভব ভালোলাগার আচ্ছন্নতায় মুগ্ধ করে দিবে। কক্সবাজার, টেকনাফ, উখিয়া, ইনানী, সেন্টমার্টিন সহ বঙ্গপোসাগরের যেকোন সৈকত থেকে মান্দারবাড়িয়া দিবে ভিন্ন স্বাদ দেখেছেন। সুন্দরবন এখানে সমুদ্রের সাথে মিশে গড়ে তুলেছে এক অনন্য বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য্য লীলাভূমি এবং এই কারনেই মান্দারবাড়িয়া অন্য সৈকতগুলো থেকে একেবারেই আলাদা, অপূর্ব সৌন্দর্য ঘেরা এক জায়গা। পিছনে বাঘের ভয় আর সামনে অসম্ভব ভালোলাগার হাতছানি দেয়া সমুদ্র, বিস্তীর্ণ সৈকত, সবুজ রহস্যে ঘেরা বন। পর্যটকেরা এখানে নির্জন সৈকতে নিজেকে নষ্টালজিয়ার জালে জড়িয়ে খুঁজে পাবেন ভিন্ন এক অনুভূতি। সৈকতের বুকে হরিণ আর বাঘের পায়ের ছাপ সে সম্মোহনকে আরও বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুন।

কোথায় থাকবেন

[সম্পাদনা]

থাকার জন্যে সাতক্ষীরা অথবা শ্যামনগরের কোন আবাসিক হোটেল বেছে নিতে পারেন।

আবাসিক হোটেল শ্যামনগর

[সম্পাদনা]
টাইগার পয়েন্ট গেষ্ট হাউজ, মন্সিগঞ্জ সুশীলন রেষ্ট হাউজসুশীলন০১৯১২৮৪৮৮৪০,

০১৭২০৫১০১৯৯

বরসা রিসোর্টএ, কে, এম, আনিছুর রহমান০১৭১৫২৫১৯৬৩
গোপালপুর পিকনিক কর্নারজনাব শেখ মোকসেদ আলী০১৭৫৪৬৫০৯৩২
সুন্দরবন হোটেলজনাব ডাঃ শাহাজান০১৭১০১২৬৬২৪
হোটেল সৌদিয়াজনাব শহিদুল ইসলাম০১৭১১৪৫০০৩০
হোটেল জিকে আইমোঃ আবু মুছা সরদার০১৯১৬৬৬৯৮২১
হোটেল সি ল্যাণ্ড আবাসিকমোঃ খায়রুজ্জামান০১৭১১৪৪৬০৫১, ০৪৭২৬-৪৪০০২

আবাসিক হোটেল সাতক্ষীরা

[সম্পাদনা]
হোটেল সীমান্তমোঃ মুজিবর রহমান০১৮১৬২৭৫৭৬২
হোটেল সম্রাট প্লাজামোঃ বশির আহমেদ০১৭৬৮৯৬৪৯৭১
সংগ্রাম আবাসিক হোটেলমোঃ বশির আহমেদ০১৭১২৯২৯৪৯৫, ০৪৭১-৬৩৫৫১
হোটেল মোজাফফার গার্ডেন এণ্ড রিসোর্টকে এম খায়রুল মোজাফফার (মন্টু)০১৭১৯৭৬৯০০৯
হোটেল হাসানমোঃ আব্দুল বারি০১৭৪০৬৫০৫০২
হোটেল আল-কাশেম ইন্টারন্যাশনালমোঃ তাহমিদ সাহেদ চয়ন০৪৭১-৬৪৪২২, ০১১৯০৯৪৯৮০২
পাতাল হোটেলজি,এম আব্দুর রহমান০১৮২৩৬৪৭৪৬২
সাতক্ষীরা আবাসিক হোটেলমোঃ আব্দুল গফুর গাজী০১৭১৮৪০৫০১৩
হোটেল টাইগার প্লাসমীর তাজুল ইসলাম০১৭৭৪৯৯৯০০০,০৪৭১-৬৪৭৮৪
পদ্মা আবাসিক হোটেলমোঃ বেল্লাল হোসেন০১৯১৬১১৯৩৭৪

এছাড়া রয়েছে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো

[সম্পাদনা]
জেলা পরিষদ ডাকবাংলোশ্যামনগর বাসষ্ট্যান্ড বাজার, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা।
জেলা পরিষদ ডাকবাংলোবুড়িগোয়ালিনী (নীলডুমুর), শ্যামনগর, সাতক্ষীরা।