রোয়াংছড়ি বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
জানুন
[সম্পাদনা]বান্দরবান জেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পূর্বে ২২°০৩´ থেকে ২২°২০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°১৪´ থেকে ৯২°৩০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত রোয়াংছড়ি উপজেলার আয়তন ৪৪২.৮৯ বর্গ কিলোমিটার। ১৯৭৬ সালে রোয়াংছড়ি থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। এ উপজেলায় বর্তমানে ৪টি ইউনিয়ন রয়েছে।
নামকরণ
[সম্পাদনা]রখইং ছড়া যেখানে তারাছা খালে এসে মিশেছে, স্মরণাতীতকাল পূর্বে সেই রখইং ছড়ার মোহনায় মার্মা উপজাতিদের এক জনপদ গড়ে উঠে। রখইং ছড়ার তীরে এই জনপদ গড়ে উঠায় মারমা উপজাতিদের চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী স্থানীয় অধিবাসীরা এই জনপদকে ছড়ার নামে রখইং ওয়াহ্ নামে অভিহিত করে। রখইং ওয়াহ্ অর্থ রখইং ছড়ার মোহনা। কালক্রমে ব্যবসা-বাণিজ্যের সূত্র ধরে এখানে পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রাম জেলা হতে বাঙালীদের আগমণ ঘটে। ছোট্ট পরিসরে এখানে বাজার গড়ে উঠে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় আরাকানকে রোয়াং বলা হয়। তাই রখইং ওয়াহ্কে স্থানীয় বাঙালীরা রোয়াংছড়ি নামে অভিহিত করায় তা কালক্রমে প্রচলিত হয়ে উঠে।
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রোয়াংছড়ি উপজেলার জনসংখ্যা ২২,৬২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২,২৪৩ জন এবং মহিলা ১০,৩৮৬ জন। মোট জনসংখ্যার ৮.৫১% মুসলিম, ০.৯৭% হিন্দু, ৬৮.৯০% বৌদ্ধ, ১৬.৬৪% খ্রিস্টান এবং ৪.৯৮% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এ উপজেলায় মার্মা, চাকমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, মুরং, বম, খেয়াং, খুমী প্রভৃতি উপজাতি নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
কীভাবে যাবেন
[সম্পাদনা]ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে রোয়াংছড়ি যাওয়ার জন্য প্রথমে চট্টগ্রাম-বান্দরবান মহাসড়ক হয়ে বান্দরবান যেতে হবে। এরপর বান্দরবান সদর থেকে সরাসরি বাস বা চাঁদের গাড়ি যোগে রোয়াংছড়ি যেতে পারেন।
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- রোয়াংছড়ি বৌদ্ধ বিহার বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কের ৪র্থ কিলোমিটার এলাকায় পাহাড়ের উপর অবস্থিত।
- তিনাপ সাইতার এটি একটি বম শব্দ। বম ভাষায় তিনাপ অর্থ নাকের সর্দি এবং সাইতার অর্থ ঝর্ণা বা জলপ্রপাত। এটি পাইন্দু খালে অবস্থিত। পানিপ্রবাহের দিক থেকে তিনাপ সাইতার বাংলাদেশের সব থেকে বড় জলপ্রপাত।
থাকার ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]রোয়াংছড়িতে রাত্রিযাপনের জন্য জেলা পরিষদ রেস্ট হাউস ছাড়াও রামাজং হোটেল ও রাধামন হোটেল উল্লেখযোগ্য।
খাওয়া দাওয়া
[সম্পাদনা]রোয়াংছড়ি উপজেলা সদরে স্বল্পপরিসরে কয়েকটি খাবার হোটেল রয়েছে। খাবার হোটেল গুলো মাঝারি মানের। খুব বেশি কিছু আশা করা ভুল হবে।