বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে

কুমিল্লা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে গোমতী নদীর তীরে অবস্থিত কুমিল্লা মহানগরী। ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এই শহর। এটি বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি বৃহত্তর জেলা। এটি জেলা শহর গুলোর মধ্যে অন্যতম। কুমিল্লার মহানগর এলাকার আয়তন ৫০ বর্গ কিলোমিটার। এবং ২০১৯ অনুযায়ী মহানগর এলাকার জনসংখ্যা ৯ লক্ষ ২০ হাজার। এটি (প্রস্তাবিত কুমিল্লা বিভাগের) প্রশাসনিক কেন্দ্র।

কীভাবে যাবেন?

[সম্পাদনা]

উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন সড়ক 'গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড' কুমিল্লা শহরের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে। বর্তমানে, বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক(ঢাকা-কুমিল্লা-চট্টগ্রাম) কুমিল্লা শহরের পাশ দিয়ে গিয়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে কুমিল্লার দূরত্ব ৯৭ কিলোমিটার। সড়ক অথবা রেলপথের মাধ্যমে ভ্রমণ করা যায়। তবে রেলপথে ঢাকা থেকে কুমিল্লা যেতে মোট ১৯৭ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়। স্থানীয় প্রশাসন আরএইচডি, এলজিইডি ও পৌরসভা সকল রাস্তা তদারকি করে থাকে।

সড়কপথে

[সম্পাদনা]

সড়কপথে ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন অসংখ্য বাস ছাড়ে। এসি ও নন-এসি উভয় ধরনের বাসই এই রুটে চলাচল করে। এছাড়া ঢাকার কমলাপুর থেকে বিআরটিসি পরিবহনের বাসও ছাড়ে।

রেলপথে

[সম্পাদনা]
  • 1 কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন (শাসনগাছা রেলওয়ে স্টেশন)। (Q60354780)

সড়কপথে বাসের পাশাপাশি ট্রেনে করেও কুমিল্লা যাওয়া যায়। ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনে করে কুমিল্লা যাওয়া যায়। কমলাপুর ছাড়াও যাওয়ার পথে বিমানবন্দর স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠানো হয়। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগ্রামী রেলপথে কুমিল্লায় শাসনগাছায় অবস্থিত কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন থামে।

আকাশপথে

[সম্পাদনা]

কুমিল্লায় একটি পুরাতন বিমানবন্দর থাকলেও বর্তমানে বিমান উঠানামার কাজে ব্যবহৃত হয়না এটি। সুতরাং, কুমিল্লায় কোনো আভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবা পরিচালিত হয় না। তাই হেলিকপ্টার ব্যতীত আকাশপথে কুমিল্লায় আসার সুযোগ নেই।

জলপথে

[সম্পাদনা]

দেখুন

[সম্পাদনা]

কুমিল্লাতে বহুসংখ্যক পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। কুমিল্লার লালমাই ময়নামতি পাহাড়ে একটি সমৃদ্ধ প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে। এখানে রয়েছে শালবন বিহার, কুটিলা মুড়া, চন্দ্রমুড়া, রূপবন মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, সতের রত্নমুড়া, রাণীর বাংলার পাহাড়, আনন্দ বাজার প্রাসাদ, ভোজ রাজদের প্রাসাদ, চন্ডীমুড়া প্রভৃতি। এসব বিহার, মুড়া ও প্রাসাদ থেকে বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে যা ময়নামতি জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। ময়নামতি একটি বিখ্যাত বৌদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা। ময়নামতি জাদুঘরটি একটি অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ১৯২১ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ভারতের নেতা মহাত্মা গান্ধী কুমিল্লায় এসেছিলেন। কুমিল্লাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিহত বিভিন্ন দেশের সৈন্যদের কবর ও ওয়ার সেমেট্রি রয়েছে। বতর্মানে রাজশে পুর ইকোপার্ক এবং তৎসংলগ্ন বিরাহিম পুরের সীমান্তবর্তী শালবন পর্যটন স্পট হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সাম্প্রতিক এখানকার ব্লু ওয়াটার পার্ক, ডাইনো পার্ক, ম্যাজিক প্যারাডাইজ ভ্রমণ পিপাসুদের নজর কেড়েছে।

  • রাণী ময়নামতি প্রাসাদ ও মন্দির স্থানীয়ভাবে এটি রানী ‘ময়নামতি প্রাসাদ’ নামে পরিচিত। জানা যায় ১৯৮৮ সালের নাগাদ এর খনন কাজ শুরু হয়। দশম শতাব্দীতে চন্দ্র বংশীয় রাজা মানিক চন্দ্রের স্ত্রী ময়নামতির আরাম আয়েশের জন্য এই প্রাসাদ নির্মাণ করেন। ধারণা করা হয়, ময়নামতি ইউনিয়নের প্রত্নতাত্ত্বিক এই নিদর্শনটি ৮ম থেকে ১২শ শতকের এক প্রাচীন কীর্তি। ১৯৮৮ সালে ভূমি সমতল থেকে ৩ মিটার গভীরে প্রাপ্ত একটি সুড়ঙ্গ পথের সামনে খননের মাধ্যমে এই প্রাসাদের সন্ধান পাওয়া যায়। এছাড়া প্রাথমিকভাবে এখান থেকে নির্মাণ যুগের ৪টি স্থাপত্য, ৫১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫০০ ফুট আয়তনের বেষ্টনী প্রাচীর, পোড়ামাটির ফলক, মূল্যবান প্রত্নবস্তু ও অলংকৃত ইট আবিষ্কৃত হয়েছে।

খাওয়া দাওয়া

[সম্পাদনা]

কুমিল্লা রসমালাইয়ের জন্য বিখ্যাত। নগরীর কান্দিরপাড়ের মনোহরপুরে "মাতৃভাণ্ডার" এই ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে। মাতৃভান্ডার এর রসমালাই জাতীয় সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত। মাতৃভাণ্ডারের পাশাপাশি একইস্থানে অবস্থিত ভগবতী পেড়া ভাণ্ডার ও শীতলভাণ্ডারের মিষ্টিও বেশ প্রসিদ্ধ।

রাত্রিযাপন

[সম্পাদনা]

জরুরি নম্বর

[সম্পাদনা]