উইকিভ্রমণ থেকে

১৯৪৬ সালে জাতিগত সংঘাত রায়টের পর মহাত্মা গান্ধী নোয়াখালী জেলা এর বেগমগঞ্জ উপজেলা ভ্রমণ করেন এরং বর্তমানে এটি সোনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগ বাজার নামক স্থানে তিনি পরিদর্শনের জন্য গেলে সেখানকার তত্কালীন জমিদার ব্যরিস্টার হেমন্ত কুমার ঘোষ তার সকল সম্পত্তি গান্ধীজির আদর্শ প্রচার এবং গান্ধীজির স্মৃতি সংরক্ষণের একটি ট্রাস্ট এর মাধ্যমে জন্য দান করেন এবং গান্ধীজির নামে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। ট্রাস্টটি প্রথমে আম্বিকা কালিগঙ্গা চ্যেরিটেবল ট্রাস্ট হিসেবে নিবন্ধন কৃত হলেও ১৯৭৫ সালে এটি নাম পরিবর্তিত হয়ে গান্ধি আশ্রম ট্রাস্টে পরিনত হয়। গান্ধি আশ্রমে গান্ধিজির নামে একটি জাদুঘর ও আছে যাতে গান্ধিজির তখনকার নোয়াখালী সফরের একশতাধিক ছবি ও ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও প্রকাশিত লেখা সংরক্ষিত আছে। বর্তমানে আশ্রমটি একটি ট্রাষ্ট হিসেবে পল্লি উন্নয়নের ব্রতে কাজ করে যাচ্ছে।

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

স্থলপথে[সম্পাদনা]

নোয়াখালী জেলায় সাধারনত সড়ক পথেই ভ্রমণ করা হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশ্য যেসব গাড়ি ছেড়ে যায় সেগুলোর মধ্যে সেবা, হিমাচল, হিমালয় (আল-বারাকা), একুশে এক্সপ্রেস অন্যতম।

আকাশ পথে[সম্পাদনা]

নোয়াখালীতে বিমানবন্দর এর জায়গা থাকলেও বর্তমানে তা বন্ধ থাকায় সরাসরি আকাশপথে যোগাযোগ এর সুযোগ নেই।

জল পথে[সম্পাদনা]

খাওয়া দাওয়া[সম্পাদনা]

এ অঞ্চলের মানুষ ভাত-মাছ খেতে পছন্দ করে, এছাড়া ও গরু ও খাসির মাংস জনপ্রিয়। এ অঞ্চলে দই উৎসবের একটি অংশ, পান ও বিয়ের একটি অংশ হিসেবে রয়েছে। বিভিন্ন রকমের আঞ্চলিক পিঠা পাওয়া যায় এখানে, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, চালের গুঁড়া পিঠা, তাল পিঠাসহ হরেক রকমের পিঠা পাওয়া যায়।

রাত্রি যাপন[সম্পাদনা]

  • জেলা সদরের নোয়াখালী সার্কিট হাউস: জেলা শহর মাইজদীতে এসে রিক্সা ও সিএনজি কিংবা অটোরিক্সাযোগে সাকিট হাউস যাওয়া যাবে। ☎ +৮৮০৩২১-৬২১৫১।