উইকিভ্রমণ থেকে

ছয়ঘরিয়া জোড়া শিবমন্দির বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার উত্তরে ছয়ঘড়িয়ায় অবস্থিত। এটা শুধু "জোড়া শিবমন্দির" নামেও পরিচিত।

জানুন[সম্পাদনা]

ছয়ঘরিয়া জোড়াশিব মন্দির

নানা বৈচিত্র্যের টেরাকোটা ইটে নির্মিত এই "ছয়ঘরিয়া জোড়া শিবমন্দির"। এখানে বর্গাকৃতির দুইটি মন্দির রয়েছে, বর্তমানে মন্দিরটি পরিত্যক্ত হিসাবে থাকলেও বৈচিত্রময় টেরাকোটার কারণে দেশি বিদেশি প্রচুর পর্যটকের আগ্রহের স্থান এই জোড়া শিবমন্দির।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

স্থানীয় ইতিহাস থেকে জানা যায় ১২২০ বঙ্গাব্দের ১লা বৈশাখ এই মন্দির নির্মিত হয় এবং ফকিরচাঁদ ঘোষ এটি নির্মান করেন।

নির্মানশৈলী[সম্পাদনা]

দুইটি মন্দিরের কারনেই এটি জোড়া মন্দির হিসাবে পরিচিত। দুইটি মন্দিরই ১৫ফুট-৯ইঞ্চি এবং ১৫ফুট-৯ইঞ্চি মাপে নির্মিত, মন্দির দুইটির বিশেষত্ব হলো এর গায়ের বৈচিত্রময় টেরাকোটা। চমৎকার ফুল, লতা-পাতা, পরি, বাদক, অশ্বারোহী, দেবদেবী, হসিত্মরোহী ইত্যাদি চিত্র ফুটে উঠেছে এ টেরাকোটার মাধ্যমে।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

প্রথমে সাতক্ষীরা জেলা সদরে যেতে হবে। ঢাকার কল্যাণপুর, মালিবাগ ও গাবতলীসহ প্রায় সব বাসস্ট্যান্ড থেকে এসি-নন এসি পরিবহনে সাতক্ষীরা যাওয়া যায়। সাতক্ষীরা জেলা সদর থেকে বাস/রিকসা/ভ্যানে করে এখানে যাওয়া যায়। আনুমানিক ২০ টাকা ভাড়া।

কোথায় থাকবেন[সম্পাদনা]

এখানে খাওয়া ও থাকার জন্য তেমন ভালো ব্যবস্থা নেই। তবে সাতক্ষীরা শহরে থাকা খাবার সব ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে।