নেত্রকোণা জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ময়মনসিংহ বিভাগের একটি প্রশাসনিক এলাকা।
জানুন[সম্পাদনা]
এই জেলার উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে কিশোরগঞ্জ জেলা, পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলা।
প্রশাসনিক বিন্যাস[সম্পাদনা]
নেত্রকোণা জেলা ১০টি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত; এগুলো হলোঃ
- আটপাড়া,
- কলমাকান্দা,
- কেন্দুয়া,
- খালিয়াজুড়ি,
- দুর্গাপুর,
- নেত্রকোণা সদর,
- পূর্বধলা,
- বারহাট্টা,
- মদন এবং
- মোহনগঞ্জ।
দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]
- টঙ্ক শহীদ স্মৃতিসৌধ (ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বাসযোগে ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ ভায়া শ্যামগঞ্জ দুর্গাপুর অথবা, ঢাকা থেকে বিরিশিরির বাসযোগে নেত্রকোণা, নেত্রকোণা থেকে দুর্গাপুর যাওয়া যায়।)। ব্রিটিশ ও জমিদারী প্রথা উচ্ছেদের দাবীতে বৃহত্তর উত্তর ময়মনসিংহের কৃষকগণের সংগ্রাম ও কৃষক বিদ্রোহ টঙ্ক আন্দোলন নামে পরিচিত। সমগ্র আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্রে আদিবাসী কৃষকেরা জড়িত ছিলেন। তাদের এ মহান আত্মত্যাগের স্বীকৃতি ও শ্রদ্ধাস্বরূপ সুসং দূর্গাপুরে এম.কে.সি.এম সরকারি স্কুলের পশ্চিম পার্শ্বে ৩২ শতাংশ জমির উপর টঙ্ক শহীদ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। এখানে সাংবার্ষিক ৩১ ডিসেম্বর তারিখে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কমরেড মণি সিংহের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। মণি মেলা নামের এ অনুষ্ঠান ৭দিন যাবৎ চলে।
যেভাবে যাবেন[সম্পাদনা]
ঢাকা থেকে নেত্রকোণায় শুধু সড়ক ও রেলপথে যাওয়া যায়। এর কাছাকাছি কোন বিমানবন্দর নেই।
রেলপথ[সম্পাদনা]
সড়কপথ[সম্পাদনা]
সড়ক পথে ঢাকা থেকে সরাসরি নেত্রকোণা যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। সাধারণত ঢাকার মহাখালী থেকে নেত্রকোণাগামী বাসগুলি ছাড়ে। এছাড়া ময়মনসিংহ শহর থেকে সরাসরি বাস পাওয়া যায়। এতে বাস ভাড়া লাগে ৫৫ টাকা।