উইকিভ্রমণ থেকে

নাইক্ষ্যংছড়ি বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।

জানুন[সম্পাদনা]

বান্দরবান জেলা সদর থেকে প্রায় ১২৩ কিলোমিটার দক্ষিণে ২১°১১´ থেকে ২১°৪০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°০৬´ থেকে ৯২°২৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আয়তন ৪৬৩.৬১ বর্গ কিলোমিটার। ১৯২৩ সালে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। এ উপজেলায় বর্তমানে ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে।

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জনসংখ্যা ৫৪,৩০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৮,৫৭৩ জন এবং মহিলা ২৫,৭২৭ জন। মোট জনসংখ্যার ৭৪.৩৩% মুসলিম, ১.০৭% হিন্দু, ২৩.৩০% বৌদ্ধ এবং ১.৩০% খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে প্রথমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে রামু বাইপাসে নেমে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে নাইক্ষ্যংছড়ি যাওয়া যায়। এছাড়া সড়কপথে বা আকাশপথে কক্সবাজার গিয়ে সেখান থেকেও রামু হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি যাওয়া যায়। আবার বান্দরবান সদর থেকেও লামা ও আলীকদম হয়ে মাইক্রোবাস যোগে নাইক্ষ্যংছড়ি যেতে পারেন।

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

  • উপবন পর্যটন লেক নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। উপজেলা সদর থেকে রিক্সা বা পায়ে হেঁটে যাওয়া যায়।
  • প্রজ্ঞামিত্র অরণ্য বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র
 এটি সত্য বোধিবৃক্ষ কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় দর্শনীয় স্থান। এছাড়া এখানে রয়েছে একটি ৫২' ফুট উঁচু গৌতম বুদ্ধ প্রতিবিম্ব এবং আরেকটি ২১' ফুট উঁচু গৌতম বুদ্ধ প্রতিবিম্ব সহ ২৮ বুদ্ধের আসনবিশিষ্ট প্রতিবিম্ব ইত্যাদি। ঠিকানাঃ বাংলাদেশের যেকোনো স্থান থেকে রামু বাইপাস(ফুটবল চত্বর) আসতে হবে ঐখান থেকে সিএনজি বা যেকোনো গাড়িযোগে করে সরাসরি চলে আসতে পারেন নাইক্ষ্যংছড়ির এই দর্শনীয় স্থানে। এটি রামু বাইপাস থেকে ১৩ কিঃমি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর থেকে ১.০০কিঃমি দূরে অবস্থিত।

এছাড়াও এ উপজেলায় দেখার মত রয়েছে:

  • গয়াল প্রজনন ও গবেষণা কেন্দ্র

থাকার ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর এলাকায় সুলভে থাকার মত বেশ কিছু হোটেল রয়েছে।

খাওয়া দাওয়া[সম্পাদনা]

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর এলাকায় যে কোন মানের রেস্টুরেন্টে খেতে পারেন।