অবয়ব
নেত্রকোণা জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ময়মনসিংহ বিভাগের একটি প্রশাসনিক এলাকা।
জানুন
[সম্পাদনা]এই জেলার উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে কিশোরগঞ্জ জেলা, পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলা।
যেভাবে যাবেন
[সম্পাদনা]ঢাকা থেকে নেত্রকোণায় শুধু সড়ক ও রেলপথে যাওয়া যায়। এর কাছাকাছি কোন বিমানবন্দর নেই।
রেলপথ
[সম্পাদনা]সড়কপথ
[সম্পাদনা]সড়ক পথে ঢাকা থেকে সরাসরি নেত্রকোণা যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। সাধারণত ঢাকার মহাখালী থেকে নেত্রকোণাগামী বাসগুলি ছাড়ে। এছাড়া ময়মনসিংহ শহর থেকে সরাসরি বাস পাওয়া যায়। এতে বাস ভাড়া লাগে ৫৫ টাকা।
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- 1 বিরিশিরি, নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলা। (ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে সরাসরি দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে সরকার এবং জিন্নাত পরিবহণের বাস ছেড়ে যায়। দুর্গাপুর বলা হলেও সাধারণত এই বাসগুলো সুখনগরী পর্যন্ত যায়। সুখনগরী থেকে নৌকায় করে একটা ছোট নদী পার হয়ে রিকশা, বাস বা মোটর সাইকেলে দূর্গাপুর যেতে হয়। এছাড়া ঢাকা থেকে রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে হাওড় এক্সপ্রেস নামের ট্রেনে করে শ্যামগঞ্জ ট্রেন স্টেশনে নেমে সেখান থেকে বাস বা সিএনজি ভাড়া নিয়ে বিরিশিরি বাজার যাওয়া যায়। কিংবা একটু সহজে যেতে চাইলে হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেনে নেত্রকোণা এসে চল্লিশা বাজার থেকে মোটর সাইকেলে সব স্পট দেখে ফেরা যায়। বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভোর ৪.০০/৪.৩০ তে যাত্রা করা জারিয়া স্টেশনগামী ট্রেনে করে জারিয়া এসে ট্রলার, অটো, সিএনজি বা মোটরসাইকেলে করে দূর্গাপুর যাওয়া যায়। অন্যদিকে দুর্গাপুরের তালুকদার প্লাজার সামনে থেকে রাত ১১ টা এবং ১১ টা ৩০ মিনিটে দুটি নাইট কোচ ঢাকার মহাখালীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এছাড়া জারিয়া ট্রেন ষ্টেশনে হতে দুপুর ১২ টায় একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে)। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। বিরিশিরির বিজয়পুরে আকর্ষনীয় চীনামাটির পাহাড় ও নীল পানির হ্রদ রয়েছে। বিজয়পুরের এই চীনামাটির পাহাড় এবং সমভূমি দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৬ কিলোমিটার ও প্রস্থে ৬০০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। হ্রদের অপরুপ নীল জলের প্রধান উৎস হচ্ছে সোমেশ্বরী নদী। এই নদী বর্তমানে কয়লা খনি হিসেবে অধিক পরিচিত। এছাড়াও এখানে আছে পাহাড়ী কালচারাল একাডেমী, গারো, হাজং ইত্যাদি নৃগোষ্ঠী, হাজং ভাষায় টুঙ্কা বিপ্লব বা তেভাগা আন্দোলনের বেশকিছু স্মৃতিস্তম্ভ এবং সেন্ট যোসেফের গির্জা।
- বিরিশিরিতে ঘুরার সময় হালকা খাবার সাথে রাখা যেতে পারে কারণ যত্রতত্র খাবারের কিছু পাওয়া যায় না। এখানে মধ্যম মানের কিছু খাবার হোটেল বা রেস্তোরাঁ রয়েছে যেখানে ভাত, ডাল, মাছ, মাংসের পাশাপাশি বকের মাংসও পাওয়া যায়। দূর্গাপুর বাজারে নেত্রকোণার বিখ্যাত বালিশ মিষ্টির স্বাদ নিতে ভুল করা যাবে না।
- টঙ্ক শহীদ স্মৃতিসৌধ (ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বাসযোগে ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ ভায়া শ্যামগঞ্জ দুর্গাপুর অথবা, ঢাকা থেকে বিরিশিরির বাসযোগে নেত্রকোণা, নেত্রকোণা থেকে দুর্গাপুর যাওয়া যায়।)। ব্রিটিশ ও জমিদারী প্রথা উচ্ছেদের দাবীতে বৃহত্তর উত্তর ময়মনসিংহের কৃষকগণের সংগ্রাম ও কৃষক বিদ্রোহ টঙ্ক আন্দোলন নামে পরিচিত। সমগ্র আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্রে আদিবাসী কৃষকেরা জড়িত ছিলেন। তাদের এ মহান আত্মত্যাগের স্বীকৃতি ও শ্রদ্ধাস্বরূপ সুসং দূর্গাপুরে এম.কে.সি.এম সরকারি স্কুলের পশ্চিম পার্শ্বে ৩২ শতাংশ জমির উপর টঙ্ক শহীদ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। এখানে সাংবার্ষিক ৩১ ডিসেম্বর তারিখে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কমরেড মণি সিংহের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। মণি মেলা নামের এ অনুষ্ঠান ৭দিন যাবৎ চলে।