উইকিভ্রমণ থেকে

পটুয়াখালী জেলা বাংলাদেশের একটি জেলা। এটি বরিশাল বিভাগ এর অন্তর্গত। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত পটুয়াখালী বরিশাল বিভাগের একটি সম্ভাবনাময় জেলা। এর উত্তরে বরিশাল, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ভোলা এবং পশ্চিমে বরগুনা জেলা অবস্থিত। মেঘনা নদীর পলল ভূমি এবং ছোট ছোট চরাঞ্চল নিয়ে পটুয়াখালী গঠিত। সাগরকন্যা খ্যাত পর্যটন নগরী কুয়াকাটা এ জেলার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। এখানে আছে একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূযোর্দয় এবং সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করার অপূর্ব সুযোগ, যা বিশ্বে বিরল। তাই দেশ-বিদেশের হাজারো পর্যটকের কাছে কুয়াকাটা অনন্য এক দর্শনীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত। পটুয়াখালী জেলার উত্তরে বরিশাল জেলা; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর; পুর্বে ভোলা জেলা এবং পশ্চিমে বরগুনা জেলা অবস্থিত। এই জেলাটি কলাপাড়া, গলাচিপা, দশমিনা, দুমকি, পটুয়াখালী সদর, বাউফল, মির্জাগঞ্জ এবং রাঙ্গাবালী - এই আটটি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

রাজধানী ঢাকা থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব ২০৪ কিলোমিটার। এই জেলাটি একটি উপকূলীয় ও নদীবহুল অঞ্চল হওয়ায় এখানকার যেকোনো স্থানে আসার জন্য নৌপথ সবচেয়ে সুবিধাজনক পরিবহন ব্যবস্থা। তবে, সড়ক পথেও এখানে আসা সম্ভব। পটুয়াখালীতে রেল যোগাযোগ বা বিমান বন্দর নেই বলে এই দুটি মাধ্যমে এখানকার কোনো স্থানে আসা যায় না।

সড়কপথে[সম্পাদনা]

ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে যেসব গাড়ি ছেড়ে যায় সেগুলো হল এসি চেয়ার কোচ, হিনো চেয়ার কোচ ও নরমাল চেয়ার কোচ। এসি চেয়ার কোস ও হিনো চেয়ার কোচগুলো গুলো ফেরী পারাপার এবং নরমাল চেয়ার কোসগুলো লঞ্চ পারাপার। এছাড়া লোকাল পথেও বরিশাল হয়ে যাওয়া যায়।

কাটা লাইনে পটুয়াখালী যেতে চাইলে গুলিস্তান থেকে যেসব গাড়িগুলো ছেড়ে যায় সেগুলো শুধু মাওয়াঘাট পর্যন্ত যায়। তারপর যাত্রীগণকে গাড়ি থেকে নেমে লঞ্চে অথবা স্প্রীড বোর্ডে কাওরাকান্দি যেতে হয়। লঞ্চে পদ্মা নদী পার হতে হলে ১.৩০ থেকে ২.০০ ঘণ্টা সময় লাগে। লঞ্চ ভাড়া ৩০ টাকা। স্প্রীড বোর্ডে নদী পার হলে আনুমানিক ২০ মিনিট সময় লাগে। স্প্রীড বোর্ডে ভাড়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। কাওরাকান্দি থেকে বাস অথবা মাইক্রোবাসে বরিশাল যাওয়া যায়। বাসে ডাইরেক্ট বরিশাল ভাড়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। মাইক্রোবাসে ডাইরেক্ট বরিশাল ভাড়া ১৮০-২০০ টাকা। এছাড়া কাওরাকান্দি থেকে ভাংগা পর্যন্তও বাসে যাওয়া যায়। কাওড়াকান্দি থেকে ভাংগা পর্যন্ত বাস ভাড়া-৪০, ভাংগা থেকে বরিশাল পর্যন্ত বাস ভাড়া- ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এরপর বরিশাল থেকে পটুয়াখালী যেতে হয়; বরিশাল থেকে পটুয়াখালী ভাড়া ৬০ টাকা।

নৌপথে[সম্পাদনা]

পটুয়াখালী বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দর। নদীবন্দরের গুরুত্ব ও জনপ্রিয়তা বিবেচনায় পটুয়াখালী নৌরুটকে ২য় অবস্থানে বা বরিশালের নৌরুটের পরই ধরা হয়। ঢাকা সদরঘাট নদী বন্দর লঞ্চ টার্মিনাল থেকে পটুয়াখালীর লঞ্চ আছে। এম ভি কুয়াকাটা-১, সুন্দরবন-১৪, এ আর খান-১, পূবালী-১২, কাজল-৭, সুন্দরবন-৯, প্রিন্স আওলাদ-৭ ইত্যাদি লঞ্চ ঢাকা থেকে পটুয়াখালী নৌরুটে চলাচল করে ও নির্মানাধীন রয়েছে বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক বিলাশবহুল নৌযান। এছাড়াও বরিশালগামী লঞ্চে এসে সেখান থেকে লোকাল নৌযানে আসা যায়।

দর্শনীয় স্থানসমূহ[সম্পাদনা]

  • কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।
  • কানাই বলাই দিঘী।
  • কাজলারচর।
  • ফতরারচর।
  • পায়রা বন্দর।
  • পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
  • শেখ রাসেল শিশু পার্ক।
  • ঝাউতলা।
  • পটুয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
  • কুয়াকাটা পানি জাদুঘর।
  • সোনার চর।
  • চর বিজয়।
  • শ্রী রামপুুুর জমিদার বাড়ি
  • লেবুর চর
  • গঙ্গামতির চর
  • মিঠাপুকুর রিভারভিউ পার্ক
  • ইয়ারউদ্দিন খলিফার মাজার

পরবর্তীতে যান[সম্পাদনা]

  • কুয়াকাটা - বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল অবস্থিত সমুদ্র সৈকত ও পর্যটনকেন্দ্র।