পিরোজপুর জেলা
পিরোজপুর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক জেলা ১৮৫৯ সালের ২৮ অক্টোবর ফিরোজপুর মহাকুমা স্থাপিত হয় তখন বাগেরহাটের (মোড়েলগঞ্জ,শরণখোলা,কচুয়া) ফিরোজপুর মহাকুমা অন্তর্ভুক্ত ছিলো ১৭০০ সালের দিকে ফিরোজ শাহ সরদার নামে এক যুবকের আগমন ঘটে বড় একটা জাহাজে করে সন্ধ্যা নদীতে প্রবেশ করে এবং আরো পচ্চিমে চলে আসে পরবর্তীতে বলেশ্বর নদীতে প্রবেশ করে এবং দামোদর খালের পাশে আস্তানা তৈরি করে এবং বড় একটি কেল্লা তৈরি করে সেখানে কিছুদিন থাকে পরবর্তী সময়ে বর্তমান সি আই পাড়া, উদয়কাঠীর একদম মাথায় নদীর ধারে একটি বিশাল ইটের বাটা তৈরি করে এবং ওই ইট দিয়ে জঙ্গলের আরো ভিতরে চলে যায় এবং একটি বড় বাড়ি তৈরি করে ফিরোজ শাহ সরদার ৷ তবে ফিরোজ শাহ সরদারের আগে যারা ছিলো তাদের নাম খুঁজে না পাওয়া গেলেও ফিরোজ শাহ এসেছিলেন এই অঞ্চলে শাসন আমলে ফিরোজ সরদারের বয়স বাড়ার সাথে সাথে সরদারি শুরু করেন আগা বাকেরকখান নিজে পাহাড়া দিতেন পদ্মা মেঘনার বুক ৷ এবং আগা বাকেরখান রুপসা নদী পাহারা দেওয়া সরদার, দারাটানা নদী পাহারা দেওয়া সরদার, বলেশ্বর নদী পাহারা দেওয়া সরদারদের নিয়ে সাথে আরো একশত লোক কে সাথে নিয়ে প্রবেশ করলেন নবাব বাড়িতে এবং নবাব বাড়িটির ভিতরে চার( ৪) সরদার এবং আগা আবাকেরখান ও নবাব বাড়িটির উঠানে সরদার,দের সাথে আসা ঐ লোকজন খাওয়া দাওয়া করার পর যে ৫ জন নবাব বাড়িটির ভিতরে ছিলো তাদের যে শরবত দেওয়া হয় তাতে বিষ মিশানো হয়েছিলো তখন মোট পাঁচ (৫) জন কে শরবতের বদলে বিষ দেওয়া হয় আর ঔই পাঁচ জনের মধ্যে একজন গ্রহন করে এবং বুঝে ফেলে শরবতে বিষ মিশানো হয়েছে পরে সকল কে জানানো হলে সকলে তরোয়াল মেলে উঠে দাড়ায় তখন ওই অবস্থায় তাদের আক্রমণ করে ওপর দিকে বাহিরে যারা ছিলো তারা যখন প্রতিবাদ শুরু করে তাদের ওপর ও আক্রমণ করেন চারপাশ থেকে সৈন্যরা এবং নবাব বাড়িটির ভিতরে ৪-৫ জন শহীদ হয় সেখানে ১৭৫৩ সালে ফিরোজ শাহ সরদার আগাবাকেরখান সহ আরো ১৭ জন শহীদ হয় ৷ সিএস রেকর্ড অনুযানী ফিরোজ শাহ সরদার শহীদ হওয়ার পর ক্রমশ ঠাসতে ঠাসতে যখন শেষ ঠাস দিবে তখন কোন পর্যন্ত আসছে সিএস রেকর্ড অনুযায়ী যখন বঙ্গবন্ধু স্কুলের কোনা হতে সরদার বাড়ি বর্ডার বরাবর দিয়ে ছুঁয়ে ফেলছে তখনই দেশের পতাকা বদলে গিয়েছে এবং পুরান সরদার বাড়িটি টিকে গেছে আর না হলে এ বাড়িটি হিন্দু জমিদারদের অংশ হয়ে যেত ৷ ফিরোজ শাহ সরদার মারা যাওয়ার পর মারতে মারতে ব্রিটিশদের আগমনের পর ব্রিটিশদের ঔই দালালরা চলে আসে পুরান সরদার বাড়িটির পাশে ইট দিয়ে দেয়াল বানিয়ে সরদারদের উপর নজর রাখতো নবাব সৈন্যরা এবং সরদাররা আবার পাল্টা আঘাত না করতে পারে তার জন্য বড় একটি পাচিল তৈরি করে এবং পরবর্তী সময়ে সরদাররা পাল্টা আঘাত করলে ব্রিটিশ দালালগুলো পালিয়ে যায় এবং বাড়িটি দখল করে নেয় সরদার"রা এবং ১৭৫৩ সালে নবাব বাড়িতে শহীদ হওয়া ফিরোজ শাহ সরদার এর নামে এ জেলার নামকরণ করা হয় ফিরোজপুর নামে যা পরবর্তী তে পিরোজপুর নামে পরিচিতি পায় ৷ ১৮৫৯ সালে ফিরোজপুর মহাকুমা নামে অন্তর্ভুক্ত হয় ৷ এবং ১৯৮৪ সালে জেলায় রুপান্তরিত হয় এবং আস্তে আস্তে এ জেলার নাম পরিবর্তন হয়ে পিরোজপুর নামে পরিচিতি পায় ৷ ১৭৫৩ সালে শহীদ হওয়া ফিরোজ সরদার এর দাফন পুরাতন সরদার বাড়ি কবর স্থানে দেওয়া হয় ৷
কীভাবে যাবেন?
[সম্পাদনা]রাজধানী ঢাকা থেকে পিরোজপুর সদরের দূরত্ব সড়ক পথে ১৮৫ কিলোমিটার ও জলপথে ২৫০ কিলোমিটার আর বিভাগীয় শহর বরিশাল থেকে ৫০ কিলোমিটার। এই জেলাটি একটি উপকূলীয় ও নদীবহুল অঞ্চল হওয়ায় এখানকার যেকোনো স্থানে আসার জন্য নৌপথ সবচেয়ে আরামদায়ক পরিবহন ব্যবস্থা। তবে, দ্রুত পৌঁছানোর জন্য সড়ক পথ সবচেয়ে সুবিধাজনক; সেক্ষেত্রে পদ্মা সেতু পার হয়ে যেতে হয়। পিরোজপুরে রেল যোগাযোগ বা বিমান বন্দর নেই বলে এই দুটি মাধ্যমে এখানকার কোনো স্থানে আসা যায় না।
স্থলপথে
[সম্পাদনা]স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বর্তমানে সড়কপথে ঢাকা থেকে পিরোজপুর সরাসরি পিরোজপুরের বাসে যাওয়া যায়।
ঢাকার গুলিস্তান ও সায়েদাবাদ উভয় বাস টার্মিনাল থেকেই ঢাকা-পিরোজপুর রুটের সরাসরি গাড়ি রয়েছে। উভয় বাস টার্মিনাল ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো মাওয়া সংলগ্ন পদ্মা সেতু পার হয়ে পিরোজপুর যাতায়াত করে।
জল পথে
[সম্পাদনা]ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন একাধিক যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে যায়। সড়কপথের তুলনায় নদীপথে লঞ্চে যাতায়াত আরামদায়ক। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬:০০ টা থেকে শুরু করে রাত ৮:৩০ টা পর্যন্ত লঞ্চগুলো ছেড়ে যায়। পরদিন সকাল ৮:০০ টা থেকে ১০:০০ টার মধ্যে লঞ্চগুলো পিরোজপুর গিয়ে পৌছায়। পিরোজপুর হুলারহাট নামক ঘাটে নেমে ঘাট থেকে রিক্সা (ভাড়া ৩০-৫০ টাকা), ভ্যান (ভাড়া ২০-৩০ টাকা) ও টেম্পুযোগে (ভাড়া ২০-৩০ টাকা) পিরোজপুর শহরে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ব্যক্তিমালিকানাধীন লঞ্চের পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএ-র রকেটও ঢাকা-পিরোজপুর রুটে চলাচল করে। লঞ্চের তুলনায় রকেটে যাতায়াত কিছুটা আরামদায়ক। সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত সপ্তাহের ৫ দিন রকেট চলাচল করে। রকেটগুলো প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬:৩০টায় সদরঘাট থেকে ছেড়ে গিয়ে পরদিন সকাল ৮:০০টা থেকে ১০:০০টার মধ্যে পিরোজপুরের হুলারহাট ঘাটে গিয়ে পৌছায়।
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- সি আই পাড়া সরদার বাড়ি
- রায়েরকাঠী জমিদার বাড়ি
- মঠবাড়িয়ার সাপলেজা কুঠিরবাড়ি
- পিরোজপুরের প্রাচীন মসজিদ
- মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ
- শ্রীরামকাঠী প্রণব মঠ সেবাশ্রম
- গোপালকৃষ্ণ টাউন ক্লাব
- শেরে বাংলা পাবলিক লাইব্রেরী
- মাঝের চর মঠবাড়ীয়া
- পারেড় হাট জমিদার বাড়ি
- বলেশ্বর ঘাট শহীদ স্মৃতিস্তভ
রাত্রিযাপন
[সম্পাদনা]আবাসিক হোটেল
ক্র.নং | নাম ও ঠিকানা | তারকামান | যোগাযোগ |
---|---|---|---|
১ | হোটেল রজনী, ক্লাব রোড়, পিরোজপুর | এক তারকা | ০১৭১২৫৬২২৪১ |
২ | হোটেল রিল্যাক্স, হাসপাতাল রোড, পিরোজপুর | এক তারকা | ০৪৬১-৬২৮০৭ |
৩ | হোটেল ডালাস, থানা রোড, পিরোজপুর | এক তারকা | ০৪৬১-৬২৮৫৫ |
৪ | হোটেল বলাকা, ব্রীজ রোড, পিরোজপুর | এক তারকা | ০৪৬১-৬২৭১০ |
৫ | হোটেল অবকাশ, থানা রোড, পিরোজপুর | এক তারকা | ০৪৬১-৬২৩৩৩ |
৬ | হোটেল বিলাস, ক্লাব রোড, পিরোজপুর | এক তারকা | ০৪৬১-৬২৫৯৪ |
৭ | হোটেল রয়্যাল, কলেজ রোড, পিরোজপুর | এক তারকা | ০১৭১২৯৪৪৩৩৫ |
৮ | হোটেল ছায়ানীড়, বাজার রোড, পিরোজপুর | এক তারকা | ০৪৬১-৬২৩৮১ |
৯ | হোটেল সিনথিয়া, কাপুড়িয়া পট্টি, পিরোজপুর | এক তারকা | ০৪৬১-৬৩২৬২ |
১০ | হোটেল আল মদীনা, ইন্দেরহাট বন্দর, নেছারাবাদ | এক তারকা | ০১৭১২৫১৯০০৯ |
জরুরি নম্বরসমূহ
[সম্পাদনা]- ওসি, পিরোজপুর সদরঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩৩৬;
- ওসি, ভান্ডারিয়াঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩৩৭;
- ওসি, নেসারাবাদঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩৩৮;
- ওসি, কাউখালীঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩৩৯;
- ওসি, নাজিরপুরঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩৪০;
- ওসি, ইন্দুরকানিঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩৪১;
- ওসি, মঠবাড়ীয়াঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩৪২।