উইকিভ্রমণ থেকে
এই পাতাটি অপসারণের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। অপসারণ নীতিমালাটি পড়ে, উইকিভ্রমণ:অপসারণ ভোটাভুটি পাতায় আপনার মতামত দিন। আলোচনাটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দয়া করে এই বিজ্ঞপ্তিটি সরিয়ে ফেলবেন না। আপনি যদি এই নিবন্ধের লেখক হন তবে মনে রাখবেন, এই মনোনয়নটি আপনার কাজের সমালোচনা নয়, বরং এটি আপনার নিবন্ধের শিরোনাম বা বিষয় উইকিভ্রমণের নিবন্ধের মানদণ্ড পূরণ করতে পারে কিনা তার একটি বিজ্ঞপ্তি।

লালমোহন উপজেলা বাংলাদেশের ভোলা জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। ৪১৩.১৬ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটি ২২°১০´ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২২°২৬´ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৯০°৩৮´ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৯০°৫৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত, যার উত্তরে বোরহানউদ্দিনতজমুদ্দিন উপজেলা; দক্ষিণে চরফ্যাশন উপজেলা; পূর্বে মনপুরা উপজেলা এবং পশ্চিমে দশমিনাবাউফল উপজেলা

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

রাজধানী ঢাকা থেকে লালমোহন উপজেলার দূরত্ব ২১৫ কিলোমিটার এবং জেলা সদর ভোলা থেকে দূরত্ব ৪৭ কিলোমিটার। ভোলা জেলাটি একটি দ্বীপাঞ্চল হওয়ায় এখানকার যেকোনো স্থানে আসার জন্য নৌপথ সবচেয়ে সুবিধাজনক পরিবহন ব্যবস্থা। তবে, সড়ক পথেও এখানে আসা সম্ভব; সেক্ষেত্রে ফেরী পারাপার হতে হবে। তবে, রেল এবং বিমান পথে এখানে সরাসরি পৌছানোর কোনো সুযোগ এখনও গড়ে ওঠেনি।

সড়কপথে[সম্পাদনা]

  • ঢাকার গুলিস্তান/যাত্রাবাড়ি/ফার্মগেইট জাতীয় মহাসড়কে হয়ে লক্ষ্মীপুর এসে মজুচৌধুরীর হাট হয়ে লালমোহন।
  • ঢাকা থেকে মাওয়া ফেরিঘাট হয়ে বরিশাল এসে সেখান থেকে স্প্রীড বোর্ড অথবা লঞ্চ অথাব বাস যোগে লালমোহন উপজেলা।

নদীপথে[সম্পাদনা]

  • ঢাকা সদরঘাট থেকে লঞ্চে সরাসরি লালমোহন আসা যায়; এতে সময় লাগে প্রায় ৮ ঘণ্টা। লালমোহন পর্যন্ত যেসব লঞ্চ আসে সেগুলো হলো: এমভি সালা্‌উদ্দিন, এমভি মাহিন রিফাত।
  • ঢাকা সদরঘাট থেকে লঞ্চ যোগে ভোলায় এসে সেখান থেকে নৌপথে বা সড়ক পথে লালমোহন আসা যায়।

দর্শনীয় স্থানসমূহ[সম্পাদনা]

  1. সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্ক
    লালমোহন উপজেলা সদর থেকে রিক্সা যোগে শাহাবাজপুর কলেজ সংলগ্ন পার্কে আসা যায়।
  2. আ: রহমান তহসিলদারের বিল্ডিং (মুন্সি বাড়ি);
  3. বিজয় বাবুর বাড়ির মন্দির;
  4. খাস মহল ভূমি অফিস;
  5. দারা মসজিদ;
  6. মিয়াবাড়ি মসজিদ;
  7. মদন মোহন আখড়া;
  8. গজারিয়া মন্দির;
  9. লর্ড হার্ডিঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
  10. ফুলবাগিচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়

খাওয়া-দাওয়া[সম্পাদনা]

লালমোহনে খাবারের জন্য বেশ কিছু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ

  • মনির রেস্তোরা - লালমোহন বাজার, লালমোহন;
  • ফুড গার্ডেন রেষ্টুরেন্ট - লালমোহন বাজার, লালমোহন;
  • আজমীরী বিরানী হাউস - লালমোহন বাজার, লালমোহন;
  • আলহাজী বিরানী হাউস;
  • আমান হোটেল;
  • খাবার ঘর;
  • জন খাবার;
  • স্নোভার গার্ডেন চাইনিজ রেষ্টরেন্ট;
  • নিউ ঘরোয়া;
  • আনন্দ রেস্তোরা;
  • হোটেল সুপার স্টার;
  • খাজা গরীবে রেওয়াজ বিরানী হাউস;
  • খুশবো বিরানী হাউস;
  • নিউ আজমিরী বিরানী হাউস;
  • হোটেল সিলবিয়া রেস্তোরা;
  • আলী রেস্তোরা;
  • নুর রেস্তোরা;
  • জল পিপাসা;
  • হোসেন কেবিন;
  • আর্শীবাদ মিষ্টান্ন ভান্ডার;
  • রজনী গন্ধা রেস্তোরা;
  • আনন্দ রেস্তোরা;
  • পলান্ন;
  • হোটেল সাইদ এন্ড সন্স;
  • আলম কেবিন;
  • সুমাইয়া বিরানী হাউস;
  • দেলোয়ার হোটেল;
  • বনফুল এনড কোং;
  • বৈশাখী রেস্তোরা;
  • প্রিন্স রেস্তোরা;
  • ড্রিংক এন্ড ডাইন থাই এনড চাইনিজ।

থাকা ও রাত্রি যাপনের স্থান[সম্পাদনা]

লালমোহনে থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জন্যে রয়েছে উন্নতমানের -

  1. জেলা পরিষদ ডাকবাংলো - লালমোহন।
  2. তালুকদার হোটেল - মোবাইল: +৮৮০১৭৭৭-৯৫১ ৯৪০
  3. হোটেল আমিন - মোবাইল: +৮৮০১৯১৫-৬১৪ ৩৬৩
  4. লালমোহন রেষ্ট হাউজ - মোবাইল: +৮৮০১৭২১-৮০০ ০২৬
  5. আরাফাত হোটেল - মোবাইল: +৮৮০১৭১৪-৩৪২ ৫৮৭
  6. হোটেল বেল্লাল - মোবাইল: +৮৮০১৭৫১-৮২৪ ৬৩২