শিলং উত্তরপূর্ব ভারতীয় রাজ্য মেঘালয়ের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং বেশ জনপ্রিয় একটি পর্যটন শহর। প্রায় ৬,০০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত শিলং শহর এবং তার আশেপাশে দেখার জন্য অনেক সুন্দর জায়গা রয়েছে। বিশেষত, যারা পুরো পরিবার নিয়ে স্বল্প খরচে দেশের বাইরে ঘুরতে যেতে যান, তারা শিলংকে বেছে নিতে পারেন। বাংলাদেশের সিলেট জেলার সাথেই মেঘালয় রাজ্যের অবস্থান। পৃথিবীর ২য় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় চেরাপুঞ্জিতে, যা মেঘালয় রাজ্যের অন্তর্গত। যারা মেঘ, পাহাড়-পর্বত এবং ঝর্ণা ও জলপ্রপাত ভালবাসেন, তাদের জন্য মেঘালয় আদর্শ গন্তব্য।
জানুন
[সম্পাদনা]শিলং উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব খাসি পাহাড় জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। এটি মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী। শিলং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে এবং ভুটান-ভারত সীমান্তের প্রায় ১০০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত। এটি খাসি পাহাড়ে প্রায় ১৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এখানে রয়েছে পাইন অরণ্য, জলপ্রপাত এবং পার্বত্য জলধারার সমারোহ। একসময় এটি "প্রাচ্যের স্কটল্যান্ড" নামে পরিচিত ছিল।
কীভাবে যাবেন?
[সম্পাদনা]বিমান
[সম্পাদনা]গুয়াহাটি বোডরোলোয় বিমানবন্দর (জিএউ) গুয়াহাটি (শিলং থেকে ১০৪ কিলোমিটার) থেকে নিয়মিত ফ্লাইট দ্বারা ভারতের বাকি অংশে সংযুক্ত।
রেল
[সম্পাদনা]মেঘালয়ের কোন রেল লাইন নেই। নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন গুয়াহাটি। এটি শিলং থেকে ১০৫ কিলোমিটার দূরে (ট্যাক্সি দিয়ে ৫ ঘণ্টা সময় নেয়) এবং ভারতের সব বড় শহরগুলির সাথে খুব ভালোভাবে যুক্ত।
কখন যাবেন
[সম্পাদনা]মেঘালয় বছরের যেকোনো সময় ঘুরতে যাবার মতো। তবে পূজোর সময়ে প্রচন্ড ভিড় থাকে। আর বর্ষায় যেতে চাইলে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে; যেমন রেইনকোট, ছাতা ইত্যাদি। চেরাপুঞ্জিতে বর্ষায় প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে দৃষ্টিসীমা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে তাপমাত্রা ৩-১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে আসে, তবে শিলঙে তুষারপাত হয়না।
থাকা
[সম্পাদনা]শিলং শহরের প্রাণকেন্দ্র হল পুলিশবাজার - এখানে প্রচুর হোটেল আছে। ভাড়া ৫০০-২০০০ রুপী।
- হোটেল ব্লু মাউন্ট Nx1
- মোয়াডিয়াংডিয়াংয়ার এনআইজিআরআইএমএস হাসপাতাল
- শিলং - 793018
- যোগাযোগ করুন +918259062502 | +919856689450
- হোটেল এডেন রেসিডেন্সি, পুলিশ বাজার
- সমীর 879480২541
- 2505360,2505358,9206100701
খাওয়া
[সম্পাদনা]শিলং পুলিশ বাজারের আশেপাশে অনেকগুলো খাবার-হোটেল আছে। সেখানে ভাত-মাছ পাওয়া যায়। জনপ্রতি খরচ ১০০-১৫০ রুপী। এছাড়া সাবওয়েসহ আরও কয়েকটি চেইন রেস্তোরাঁ আছে যেগুলোতে ২০০-৩০০ রুপীতে খাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থানসমূহ
[সম্পাদনা]শিলং পৌঁছাতে যদি দুপুর গড়িয়ে যায় তবে সেদিন আর কোথাও না যেয়ে বরং বিকেলটা শিলং শহরে ঘোরাঘুরি করে কাটাতে পারেন। কিংবা বিকেলে উমিয়াম হ্রদেও ঘুরে আসতে পারেন অথবা ডন ভসকো জাদুঘর, ওয়ার্ড হ্রদ দেখে সময় কাটাতে পারেন। সন্ধ্যাটা রেখে দিন কেনা কাটার জন্যে।
- চেরাপুঞ্জি বা সোহরা হচ্ছে শিলংয়ের মূল আকর্ষণ। এখানে দেখতে পারেন সাত বোন জলপ্রপাত, মাউসমাই গুহা, নুকায়কালী জলপ্রপাত, মাউন্টেইন ভিউ ইত্যাদি। ট্যাক্সি ভাড়া: টাটা সুমো (৮-৯ জন ধারণ ক্ষমতা) ৩,০০০-৩,২০০ রুপী। আর ৪ বা তার নিচে হলে ছোট কালো ট্যাক্সি ভাড়া করতে পারেন। মেঘালয় ট্যুরিজমের বাসে খরচ পড়বে ৩২০ রপি/জন।
- এলিফ্যান্ট জলপ্রপাত এবং শিলং পিক। দুটোই শহরের কাছাকাছি। ট্যাক্সি ভাড়া নিতে পারে ৩০০ রুপী করে।
আপনার হাতে যদি সময় থাকে আরও অনেক গুলো জায়গা ঘুরতে যেতে পারেন: এশিয়ার সবচেয়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন গ্রাম। লিভিং রুট ব্রীজ। অনেকগুলো জাতীয় উদ্যান।
খরচঃ জনপ্রতি ১২,০০০ টাকা (১৫০ ডলার) যথেষ্ট শিলং ভ্রমণের জন্য। এর মাঝে বাস ভাড়া ও ভিসার ৫,০০০ টাকা বাদ দিলে ঘুরাঘুরি, থাকার খাওয়ার জন্যে বরাদ্দ৭,০০০ টাকা।
পরবর্তীতে যান
[সম্পাদনা]হাতে যদি সময় থাকে তবে অন্যান্য শহরও ঘুরুন। যেমন গুয়াহাটি, আসামের রাজধানী। কেনাকাটার ইচ্ছা থাকলে শিলং থেকে গুয়াহাটি ঘুরে আসতে পারেন, যেতে ৩ ঘণ্টা লাগবে। ভারতের অন্য কোন প্রদেশে যেতে চাইলেগুয়াহাটি যেয়ে রেল ধরতে হবে।