উইকিভ্রমণ থেকে

সাঙ্গু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বাংলাদেশের একটি দর্শনীয় স্থান, যা বান্দরবান জেলার অন্তর্গত। এটি দেশের রাজধানী ঢাকা হতে ৩৫০ কিমি উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত যা ২০১০ সালে অভয়ারণ্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

বিশেষত্ব[সম্পাদনা]

বান্দরবান জেলার পার্বত্য এলাকায় এই অভয়ারণ্যটি অবস্থিত। দেশের দক্ষিণ-পূর্ব কোনায় লামা উপজেলার সাঙ্গু নদীর কোল ঘেষে এর বিস্তৃতী। লামা উপজেলার ২৩৩১.৯৮ হেক্টর এলাকা নিয়ে এই অভয়ারণ্যটি বিস্তৃত। এটি মূলতঃ সাঙ্গু সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অংশ যার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ বন বিভাগের অধীনস্থ লামা বন বিভাগ। এটির জৈব-পরিবেশগত এলাকা চট্টগ্রামের পাহাড় ও চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে পড়েছে।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

রাজধানী ঢাকা থেকে লামার দূরত্ব ৩৫৭ কিলোমিটার আর বান্দরবান জেলা সদর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে। ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে সড়ক পথে লামার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে প্রথমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনাল নেমে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে লামা যাওয়া যায়। এছাড়া বান্দরবান সদর থেকেও সরাসরি পূর্বাণী চেয়ারকোচ বা জীপগাড়ি যোগে লামা যেতে পারেন। এছাড়া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লামায় সরাসরি এসি ও ননএসি বাস পাওয়া যায়।

ঘুরে দেখুন[সম্পাদনা]

নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে বেড়াতে পারেন; এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হলো -

  • মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স
  • ভিউ পয়েন্ট অফ লামা উপজেলা
  • সাবেক বিলছড়ি বৌদ্ধ বিহার
  • নুনার বিলপাড়া পালিটুল বৌদ্ধ বিহার
  • মাতামুহুরী নদী ও সেতু
  • শীলের তুয়া স্থিত চংবট ম্রো পাড়া ও পাহাড়
  • কোয়ান্টাম শিশু কানন, সরই
  • ফাঁসিয়াখালী রাবার বাগান।

কোথায় থাকবেন[সম্পাদনা]

টেকনাফে থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জন্যে রয়েছে উন্নতমানের -

  • জেলা পরিষদ ডাক বাংলো - লামা।

কী খাবেন[সম্পাদনা]

লামায় খাবারের জন্য বেশ কিছু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে সবধরণের সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়।

সতর্কতা[সম্পাদনা]

যেকোনো সমস্যায় যোগাযোগ করতে পারেন -

জননিরাপত্তা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য
  • ওসি, লামাঃ মোবাইল: ০১৭১৩-৩৭৪ ৩৫৪।