উইকিভ্রমণ থেকে

হাড়বাড়িয়া ইকো-পর্যটন কেন্দ্র সুন্দরবনের পশুর নদীর তীরে অবস্থিত।

বর্ণনা[সম্পাদনা]

প্রবেশ মূল্য[সম্পাদনা]

হারবাড়িয়া ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রে পর্যটকের জন্য প্রবেশ মূল্য: দেশি পর্যটক জনপ্রতি ৭০ টাকা, বিদেশি পর্যটক ১ হাজার টাকা। সঙ্গে ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য হবে।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

বাসে করে[সম্পাদনা]

ঢাকার গাবতলী কিংবা সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে মেঘনা পরিবহন (০১৭১৭১৭৩৮৮৫৫৩), পর্যটক পরিবহন (০১৭১১১৩১০৭৮) সাকুরা পরিবহন (০১৭১১০১০৪৫০), সোহাগ পরিবহন (০১৭১৮৬৭৯৩০২) ইত্যাদি বাসে বাগেরহাট যেতে হবে। নদী পথে খুলনা থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার এবং মংলা থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে এই পর্যটন কেন্দ্রটি অবস্থিত। তাই বাগেরহাটের মংলা বন্দর থেকে করমজল যাবার নৌযান ভাড়া করতে হয়। এছাড়া মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা এবং খুলনার রূপসা থেকেও করমজল পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে ভাল হয় সায়দাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে সরাসরি মংলা যাওয়ার বাসে করে যাওয়া। মংলা ফেরি ঘাট থেকে ১০ জনের উপযোগী ইঞ্জিন চালিত নৌকার ভাড়া করা যায় তাহলে খরচ সাশ্রয় হবে।

রেলে করে[সম্পাদনা]

ঘুরে দেখুন[সম্পাদনা]

নৌকায় করে[সম্পাদনা]

হেঁটে[সম্পাদনা]

কী দেখবেন[সম্পাদনা]

হাড়বাড়িয়া ইকো পর্যটন কেন্দ্র সুন্দরবনের মধ্যে অন্যতম পর্যটন স্থান। মংলা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থিত। এখানকার মূল আকর্ষণ বনের ভেতর দিয়ে যাওয়ার কাঠের ট্রেইল। যারা প্রথম ট্রেইলে হাঁটবেন তাদের জন্য এটা আনন্দের নতুন অভিজ্ঞতা। প্রায় বছরে বছরে এখানের কাঠ পাল্টাতে হয়। পানিতে ভিজে যায় বলে স্যাঁতস্যাঁতে থাকে। ট্রেইলের মাঝখান দিয়ে হাঁটতে হয়। বনের মধ্যে দিয়ে বিস্তৃত পুরো ট্রেইলটা ঘুরে আসতে মাত্র ৩০/৪০ মিনিটের মতো সময় লাগে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এমন মুগ্ধ করবে যে ১ ঘণ্টা হাটাও খুব সামান্য মনে হবে।

মিঠা পানির জন্য একটি পদ্মদ্মপুকুর ও ওয়াচ টাওয়ার আছে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে প্রায় পুরো হাড়বাড়িয়া দেখা যায়। কাঠের তৈরি এই টাওয়ারে একসাথে ৬ জনের বেশি উঠা যায় না। পদ্মপুকুরের মাঝে পর্যটকদের বসার জন্য ব্যবস্থা করা আছে।

যারা একদিনের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণে যেতে চান তাদের জন্য হাড়বাড়িয়া আদর্শ জায়গা। এখানে প্রায়ই লোনা পানির কুমির দেখা যায়। তবে কুমির দেখার জন্য ভালো সময় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি। এই সময়ে রোদ পোহাতে কুমিরগুলো খালের চরে শুয়ে থাকে। এছাড়াও হাড়বাড়িয়ায় সুন্দরনের মায়া হরিণেরও দেখা মেলে। পর্যটকদের জন্য এটা উন্মুক্ত হওয়ায় খুব কাছে থেকে হরিণের দেখা মেলে। এখানকার হরিণগুলো একেবারেই বন্য নয়। অনবরত মানুষের সঙ্গ পায় বলে বনের ধারে একাধিক হরিণের দেখা মেলে। হাড়বাড়িয়ার বাঘের দেখা না পেলেও বাঘের পায়ের ছাপ অনেকে দেখতে পায়। এছাড়াও চিত্রা হরিণ ও অন্যান্য বন্য প্রাণীও দেখা মিলবে এখানে।

জোয়ার-ভাটা অঞ্চল হওয়ার জন্য এখানে মাটি স্যাঁতস্যাঁতে, কর্দমাক্ত, ভেজা থাকে। এজন্য খুব কাছে থেকে লাল কাঁকড়া দেখা যায়। এছাড়াও সুন্দরী, গেওয়া, গড়ান, পশুর, বাইন, গোলপাতা ইত্যাদি গাছ আছে। নানা প্রজাতির পাখি, পোকা মাকড় আছে।

হাড়বাড়িয়া ইকো পর্যটন কেন্দ্র-টি বাঘের অভয়ারণ্য। তাই কাঠের তৈরি ট্রেইল এর ছাড়া জঙ্গলে যাওয়া নিষেধ। জঙ্গলে কেউ যেতে চাইলে বন কার্যালয় থেকে অস্ত্রধারী বনরক্ষী নিয়ে নিতে হবে। জঙ্গলে ধুমপান একেবারে নিষেধ। অন্যকোনো ময়লা, চিপস, বিস্কুট, চকলেট, প্ল্যাস্টিকের বোতল ইত্যাদির প্যাকেট ফেল যাবে না। এসব ফেলার জন্য নির্দিষ্ট ঝুড়ি আছে।

রাত্রিযাপন[সম্পাদনা]

  • মোটেল পশুর, মোংলা বন্দর, বাগেরহাট, +৮৮০৪৬৬২-৭৫১০০মংলায় থাকার জন্য ভালো ব্যবস্থা হল মোটেল পশুর। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের অধীনস্থ এটি। ১২০০-২০০০ ৳
  • হোটেল রয়্যাল, কেডিএ এভিনিউ, খুলনা, +৮৮০৪১-৭২১৬৩৮ ১২০০-১৮০০ ৳
  • হোটেল ক্যাসেল সালাম, কেডিও এভিনিউ, খুলনা, +৮৮০৪১-৭২০১৬০ ১২০০-১৮০০ ৳
  • হোটেল সিটি ইন, মজিদ স্বরনী, খুলনা, +৮৮০৪১-২৮৩৪০৬৭ ১৬০০ - ২২০০ ৳
  • হোটেল জেলিকো, লোয়ার যশোর রোড, জেল টাওয়ার, খুলনা, +৮৮০৪১-৭২৫৯১২ ৯৫০-১২৫০৳

খাওয়া[সম্পাদনা]

সতর্কতা[সম্পাদনা]

হারবাড়িয়া যেতে পশুর নদী পাড়ি দিতে হয়। এই নদী সবসময়ই কম-বেশি উত্তাল থাকে। তাই ভালো মানের ইঞ্জিন নৌকা নিয়ে যাওয়া উচিত। এছাড়া বন রক্ষী ছাড়া জঙ্গলের ভেতরে ঢুকবেন না। হরিণ ও কুমির প্রজনন কেন্দ্রের কোন প্রাণীকে খাবার দিবেন না।