আশাশুনি উপজেলা বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। ৪০২.৩৬ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটি ২২°২১′ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২২°৪০′ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৮৮°৫৪′ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৮৯°০৯′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত, যার উত্তরে সাতক্ষীরা সদর এবং তালা উপজেলা; দক্ষিণে শ্যামনগর উপজেলা; পূর্বে পাইকগাছা এবং কয়রা উপজেলা এবং পশ্চিমে কালীগঞ্জ এবং দেবহাটা উপজেলা।
কীভাবে যাবেন?
[সম্পাদনা]রাজধানী ঢাকা থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার এবং জেলা সদর হতে ২৭ কিলোমিটার। এই জেলাটি একটি উপকূলীয় অঞ্চল। এখানে সড়ক পথে আসতে হয়। তবে, রেল যোগাযোগ বা বিমান বন্দর নেই বলে এই দুটি মাধ্যমে এখানকার কোনো স্থানে আসা যায় না।
আকাশপথ
[সম্পাদনা]এখানে কোন বিমানবন্দর না থাকায় সরাসরি আকাশপথে ভ্রমণ সম্ভব নয়। তবে ঢাকা থেকে পার্শ্ববর্তী জেলা যশোর বিমান বন্দরের নেমে ভাড়ায় চালিত গাড়িতে তুলনামুলক স্বল্প সময়ে পৌছানো সম্ভব।
সড়কপথ
[সম্পাদনা]রাজধানী শহরের সঙ্গে সরাসরি বাস যোগাযোগ আছে। আন্তঃজেলা বাস যোগাযোগব্যবস্থা আছে। ঢাকা থেকে আশাশুনি সাধারনত সড়ক পথেই যাতায়েত করা হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে আশাশুনি সড়ক পথে যাতায়েত করতে সময় লাগে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা, তবে ফেরী পারাপারের সময় যানজট থাকলে সময় বেশি লাগে। গাবতলী ও সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে বেশ কয়েকটি বাস ছেড়ে যায়। এ সব বাস গুলোর মধ্যে কে লাইন পরিবহন, ঈগল পরিবহন, দিগন্ত পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, বিআরটিসি, সৌদিয়া, ইয়েলো, দ্রুতি পরিবহন, আরা পরিবহন, সোহাগ পরিবহন প্রভৃতি অন্যতম। সাতক্ষীরা ও খুলনা রুটের অনেক গাড়ি লঞ্চে যাত্রী পারাপার করে থাকে। লঞ্চে যাতায়াত করলে সময় ও অর্থ দুটোই কম লাগে।
তক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল হতে সাতক্ষীরা চাপড়া বাস সার্ভিস এর মাধ্যমে সরাসরি আশাশুনি উপজেলা পরিষদে আসা যায়, এছাড়া রাজ্জাক পার্ক হতে ভাড়ায় চালিত মটরসাইকেল এর মাধ্যমে আশাশুনি উপজেলা পরিষদে আসা যায়। বাসে আসতে ৩৫ টাকা খরচ হয় এবং মটর সাইকেলে ৫০ টাকা।
নৌপথ
[সম্পাদনা]পার্শ্ববর্তী উপকূলীয় এলাকা হতে নৌপথে যোগাযোগ রয়েছে।
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- বুড়ো পীরের দরগা,
- বুধহাটা শিবকালী মন্দির (১১৪৬),
- শ্রীউলা তিন গম্বুজ বিশিষ্ট জামে মসজিদ,
- বুধহাটা জামে মসজিদ,
- বড়দল গির্জা,
- শাহ্ আবদুল আজিজের মাযার,
- শ্রীউলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৮৮১),
- বুধহাটা রাস মন্দির,
- আশাশুনি কালীমন্দির।
খাওয়া দাওয়া
[সম্পাদনা]আশাশুনি চিংড়ি চাষের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও রয়েছে নোনা পানির মাছ। এছাড়াও খাওয়া দাওয়ার জন্যে রয়েছে উন্নতমানের -
- পংকজ রেষ্টুরেন্ট এন্ড হোটেল - বদরতলা, শোভনালী, আশাশুনি।
- নেপাল রেষ্টুরেন্ট এন্ড হোটেল - বদরতলা, শোভনালী, আশাশুনি।
- ওমর এন্ড রেস্টুরেস্ট - বুধহাটা, আশাশুনি।
- ভোলা এন্ড রেস্টুরেস্ট - বুধহাটা, আশাশুনি।
- কার্ত্তিক এন্ড রেস্টুরেস্ট - বুধহাটা, আশাশুনি।
- আলাউদ্দীন এন্ড রেস্টুরেস্ট - বুধহাটা, আশাশুনি।
- জাবের আলী এন্ড রেস্টুরেস্ট - বুধহাটা, আশাশুনি।
- আমিন হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট - আশাশুনি বাজার।
রাত্রি যাপন
[সম্পাদনা]আশাশুনিতে থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়াও সরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জন্যে রয়েছে উন্নতমানের -
- জেলা পরিষদ ডাকবাংলো - আশাশুনি।
জরুরি নম্বর
[সম্পাদনা]- জননিরাপত্তা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য
- ওসি, আশাশুনিঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ১৪৬।