দেবহাটা উপজেলা বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। ১৭৬.৩৩ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটি ২২°৩১´ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২২°৪০´ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৮৮°৫৫´ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৮৯°০৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত, যার উত্তরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা; দক্ষিণে কালীগঞ্জ উপজেলা; পূর্বে আশাশুনি ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য।
কীভাবে যাবেন?
[সম্পাদনা]রাজধানী ঢাকা থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার। এই জেলাটি একটি উপকূলীয় অঞ্চল। এখানে সড়ক পথে আসতে হয়। তবে, রেল যোগাযোগ বা বিমান বন্দর নেই বলে এই দুটি মাধ্যমে এখানকার কোনো স্থানে আসা যায় না।
আকাশপথ
[সম্পাদনা]এখানে কোন বিমানবন্দর না থাকায় সরাসরি আকাশপথে ভ্রমণ সম্ভব নয়। তবে ঢাকা থেকে পার্শ্ববর্তী জেলা যশোর বিমান বন্দরের নেমে ভাড়ায় চালিত গাড়িতে তুলনামুলক স্বল্প সময়ে পৌছানো সম্ভব।
সড়কপথ
[সম্পাদনা]রাজধানী শহরের সঙ্গে সরাসরি বাস যোগাযোগ আছে। আন্তঃজেলা বাস যোগাযোগব্যবস্থা আছে। ঢাকা থেকে দেবহাটা সাধারনত সড়ক পথেই যাতায়েত করা হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে দেবহাটায় সড়ক পথে যাতায়েত করতে সময় লাগে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা, তবে ফেরী পারাপারের সময় যানজট থাকলে সময় বেশি লাগে। গাবতলী ও সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে বেশ কয়েকটি বাস ছেড়ে যায়। এ সব বাস গুলোর মধ্যে পর্যটক পরিবহন, ঈগল পরিবহন, দিগন্ত পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, সুন্দরবন সার্ভিস প্রা: লি: দ্রুতি পরিবহন, আরা পরিবহন ও সোহাগ পরিবহন অন্যতম। সাতক্ষীরা ও খুলনা রুটের অনেক গাড়ি লঞ্চে যাত্রী পারাপার করে থাকে। লঞ্চে যাতায়াত করলে সময় ও অর্থ দুটোই কম লাগে।
সাতক্ষীরা থেকে বাস যোগে সখিপুর মোড় নামতে হয়; সেখান থেকে মোটরসাইকেল, ইঞ্জিনভ্যান ও ভ্যান যোগে উপজেলা সদরে পৌছানো যায়।
নৌপথ
[সম্পাদনা]পার্শ্ববর্তী উপকূলীয় এলাকা হতে নৌপথে যোগাযোগ রয়েছে।
দর্শনীয় স্থানসমূহ
[সম্পাদনা]- শ্রী শ্রী গোকুলানন্দ জিউ মন্দির,
- দেবহাটা মিউনিসিপ্যাল অফিস,
- দেবহাটা থানা ভবন (১৮৯৪),
- রুপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র,
- লিমপিড গার্ডেন,
- বনবিবি বটতলা,
- দেবহাটা জমিদার বাড়ী,
- টাকীর ঘাট (ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত চিহ্নিত ইছামতি নদীর তীরে),
- দেবহাটা বিবিএমপি ইনস্টিটিউশন (পাইলট হাইস্কুল, ১৯১৯)।
খাওয়া দাওয়া
[সম্পাদনা]দেবহাটা চিংড়ি চাষের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও রয়েছে নোনা পানির মাছ। এছাড়াও রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় খাবারের জন্যে রয়েছে উন্নতমানের -
- জেলা পরিষদ ক্যান্টিন - দেবহাট।
- ভাই ভাই হোটেল - পারুলিয়া বাজার সংলগ্ন রোডের পাশে।
- আলামিন রেস্তোরা - পারুলিয়া ইউপি, মেইন রোড সংলগ্ন।
- সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারী - পারুলিয়া ইউপি, পারুলিয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন।
- রবীন হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট - গাজীর হাট বাজার, নওয়াপাড়া ইউপি।
- মা লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডার - গাজীর হাট বাজার, নওয়াপাড়া ইউপি।
- রুচিরা হোটেল ও রেস্তোরাঁ - পারুলিয়া বাজার, পারুলিয়া ইউপি।
রাত্রি যাপন
[সম্পাদনা]দেবহাটায় থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জন্যে রয়েছে উন্নতমানের -
- জেলা পরিষদ ডাকবাংলো - দেবহাটা।
- সোনার বাংলা হোটেল - পারুলিয়া বাসস্ট্যান্ড।
- নিউ রুচিরা হোটেল - পারুলিয়া বাজার, পারুলিয়া ইউপি।