কুষ্টিয়া বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি শহর। পূর্বে কুষ্টিয়া নদীয়া জেলার (বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে) অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৬৯ সালে কুষ্টিয়ায় একটি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। হ্যামিলটন'স গেজেট প্রথম কুষ্টিয়া শহরের কথা উল্লেখ করে। কুষ্টিয়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পৌরসভা ও ১১তম বৃহত্তম শহর।
কীভাবে যাবেন?
[সম্পাদনা]আকাশপথ
[সম্পাদনা]এখানে কোন বিমানবন্দর না থাকায় সরাসরি আকাশপথে ভ্রমণ সম্ভব নয়।
সড়কপথ
[সম্পাদনা]রাজধানী শহরের সঙ্গে সরাসরি বাস যোগাযোগ রয়েছে। আন্তঃজেলা বাস যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে কুষ্টিয়া জেলায় ভ্রমণের জন্য সরাসরি বাস পাওয়া যায়। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পরিবহনের মধ্যে আছে এসবি, শ্যামলী, হানিফ,পর্যটক, স্কাই লাইন, পাবনা এক্সপ্রেস ইত্যাদি।
নৌপথ
[সম্পাদনা]এখানে কোন আন্তঃজেলা নৌ যোগাযোগ নেই।
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ী - কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ী রয়েছে;
- ফকির লালন সাঁইজির মাজার - বাউল ফকির লালন সাঁইজির মাজার কুমারখালি উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া গ্রামে;
- টেগর লজ - কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়ায় অবস্থিত এই দোতলা ভবনটি;
- পরিমল থিয়েটার - কুষ্টিয়া শহরের স্থায়ী রঙ্গমঞ্চ;
- গোপীনাথ জিউর মন্দির - নলডাঙ্গার মহারাজা প্রমথ ভূষণ দেব রায় কর্তৃক দানকৃত জমির উপর নির্মিত;
- মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা - বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেনের বাস্ত্তভিটা কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়ায় অবস্থিত;
- হার্ডিঞ্জ ব্রীজ - কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অবস্থিত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতু;
- লালন শাহ সেতু - কুষ্টিয়া জেলার পদ্মা নদীর উপর নির্মিত "লালন শাহ" সেতুটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু।
খাওয়া দাওয়া
[সম্পাদনা]কুষ্টিয়া শহরে বেশ কিছু ভালো মানের রেস্তোরাঁ রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ধরণের খাবার পাওয়া যায়। কুষ্টিয়ার তিলের খাঁজার সুখ্যাতি আছে। এন.এস. রোডের মৌবন মাসালা, শিশির বেকারিতে ভাল নাস্তা পাওয়া যায়। চৌড়হাস মোড়ে রান্নাঘর হোটেলও ভাল। বাজেট ট্রাভেলারদের জন্য আছে বড় বাজারের গান্ধী হোটেল। কুষ্টিয়ার বিখ্যাত খাবারের মধ্যে আছে তিলের খাজা, কুঠি বাড়ির সামনে কুলফি, জগদীশ মিষ্টান্ন ভান্ডার - বড় বাজার (চমচম), অশোক মিষ্টান্ন ভান্ডার ইত্যাদি।
রাত্রি যাপন
[সম্পাদনা]কুষ্টিয়া শহরে রাত্রিযাপনের জন্য শহরে বেশ কিছু ভালো মানের আবাসিক হোটেল আছে। রাত্রিযাপনের জন্য কিছু স্থান হচ্ছে এলজিইডি রেষ্ট হাউস,কুষ্টিয়া, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি রেষ্ট হাউস,কুষ্টিয়া, বিসিক রেষ্ট হাউস,কুষ্টিয়া, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর রেষ্ট হাউস, কুষ্টিয়া ইত্যাদি।
জরুরি নম্বর
[সম্পাদনা]- জাতীয় জরুরি সেবা: ৯৯৯