গাংনী উপজেলা বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। ৩৪১.৯৮ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটি ২৩°৪৪´ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩°৫২´ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৮৮°৩৪´ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৮৮°৪৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত, যার উত্তরে দৌলতপুর উপজেলা; দক্ষিণে আলমডাঙ্গা ও মেহেরপুর সদর উপজেলা; পূর্বে দৌলতপুর, আলমডাঙ্গা ও মিরপুর উপজেলা এবং পশ্চিমে মেহেরপুর সদর উপজেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ।
কীভাবে যাবেন?
[সম্পাদনা]রাজধানী ঢাকা থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার। এখানে সড়ক পথে আসতে হয়। তবে, রেলপথ ও বিমান বন্দর নেই বলে এই দুটি মাধ্যমে এখানকার কোনো স্থানে সরাসরি আসা যায় না। এছাড়াও, অভ্যন্তরীণ নৌপথও ততটা উন্নত না-হওয়ায় সর্বত্র জলপথে আসা-যাওয়া করা যায় না।
আকাশপথ
[সম্পাদনা]এখানে কোন বিমানবন্দর না থাকায় সরাসরি আকাশপথে ভ্রমণ সম্ভব নয়। তবে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানে ঢাকা থেকে যশোর; অতঃপর সড়ক পথে ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা হয়ে মেহেরপুর আসা যায়।
সড়কপথ
[সম্পাদনা]রাজধানী শহরের সঙ্গে সরাসরি বাস যোগাযোগ আছে। আন্তঃজেলা বাস যোগাযোগব্যবস্থা আছে। গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে গাংনী ভ্রমণের জন্য সরাসরি বাস পাওয়া যায়। নন এসি বাসের ভাড়া ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং এসি বাসের ক্ষেত্রে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। এখান থেকে চলাচলের জন্য রয়েছে জে আর পরিবহন (২), শ্যামলী পরিবহন, মেহেরপুর ডিলাক্স, গোল্ডেন লাইন পরিবহন প্রভৃতি।
রেলপথ
[সম্পাদনা]মেহেরপুর জেলায় কোন রেলপথ নাই। সড়ক পথে চুয়াডাঙ্গা জেলার অন্তর্গত আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে থেকে রেলপথে ঢাকা, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ, সৈয়দপুর যাওয়া যায়। আবার, গাংনী উপজেলা থেকে কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত মিরপুর রেলস্টেশনে এসব উল্লেখিত গন্তব্যে যাওয়া যায়।
নৌপথ
[সম্পাদনা]এখানে কোন আন্তঃজেলা নৌ যোগাযোগ নেই। তবে স্থানীয় পর্যায়ে কিছু নৌচলাচল রয়েছে।
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- ভাটপাড়া নীলকুঠি,
- বঙ্গ এগ্রো কমপ্লেক্স (যুগিরগোফা),
- টেপুখালী বধ্যভূমি,
- কাজিপুর গণকবর,
- সাহারবাটি নীলকুঠি (১৮৫৯),
- করমদির গোসাইডুবি মসজিদ।
খাওয়া দাওয়া
[সম্পাদনা]গাঙ্গনীতে স্থানীয় পর্যায়ের বিশেষ কোনো বিখ্যাত খাদ্য নেই। তবে স্থানীয় আম, লেবু এবং পেয়ারার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে। বিল এলাকায় প্রচুর মাছ পাওয়া যায় এবং খামার ভিত্তিক হাঁস পালন করা হয়। এখানে সাধারণভাবে দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়ার জন্য স্থানীয় হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। স্থানীয় পর্যায়ের উন্নতমানের ও নিরিবিলি পরিবেশের রেস্তোরা হিসাবে গাঙ্গনীতে রয়েছেঃ
- আমিন মিস্টান্ন ভান্ডার - গাংনী পৌরসভা, গাংনী; মোবাইল: +৮৮০১৭১৫-৫৪৪ ৪১২।
- সোবহান হোটেল - গাংনী পৌরসভা, গাংনী; মোবাইল: +৮৮০১৭৭২-৯৩২ ৯৩৭।
- মৌবন হোটেল ও রেস্টুরেন্ - গাংনী পৌরসভা, গাংনী।
- সামাদ হোটেল ও রেস্তোরাঁ - গাংনী পৌরসভা, গাংনী; মোবাইল: +৮৮০১৭২৭-৬২৯ ৮৯৮।
- ফয়সাল নিরালা হোটেল - গাংনী পৌরসভা, গাংনী; মোবাইল: +৮৮০১৭২০-৬০৪ ৩১৩।
থাকা ও রাত্রি যাপন
[সম্পাদনা]গাঙ্গনীতে থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জন্যে রয়েছে উন্নতমানের -
সরকারি
[সম্পাদনা]- জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, গাংনী। পরিচালনায়ঃ জেলা পরিষদ, মেহেরপুর।
- পৌরসভা রেস্ট হাউজ, গাংনী পৌরসভা, গাংনী। পরিচালনাকারীঃ মেয়র।
- চিৎলা ফার্ম রেস্ট হাউজ, ধানখোলা, গাংনী। পরিচালনাকারীঃ যুগ্ম পরিচালক।
বেসরকারি
[সম্পাদনা]- পলাশী পাড়া সমাজ কল্যাণ সংস্থা রেস্ট হাউজ, গাংনী পৌরসভা, গাংনী, ☎ +৮৮০১৭১১ ২১৮ ৮১৯। পরিচালনাকারীঃ ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
জরুরি নম্বর
[সম্পাদনা]- জননিরাপত্তা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য
- ওসি, গাংনীঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ২৫০।