মাগুরা জেলা বাংলাদেশের একটি জেলা। এটি খুলনা বিভাগ এর অন্তর্গত। মাগুরা জেলার উত্তরে রাজবাড়ী জেলা, দক্ষিণে যশোর জেলা ও নড়াইল জেলা, পূর্বে ফরিদপুর জেলা এবং পশ্চিমে ঝিনাইদহ জেলা। মাগুরা জেলা সমুদ্র সমতল হতে ২৬ ফুট উচ্চে অবস্থিত। এই জেলাটি মাগুরা সদর, মোহাম্মদপুর, শালিখা এবং শ্রীপুর - এই চারটি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত।
কীভাবে যাবেন?
[সম্পাদনা]রাজধানী ঢাকা থেকে জেলা সদরের দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। এখানে সড়ক পথে আসতে হয়। তবে, রেলপথ ও বিমান বন্দর নেই বলে এই দুটি মাধ্যমে এখানকার কোনো স্থানে সরাসরি আসা যায় না। এছাড়াও, অভ্যন্তরীণ নৌপথও ততটা উন্নত না-হওয়ায় সর্বত্র জলপথে আসা-যাওয়া করা যায় না।
আকাশপথ
[সম্পাদনা]এখানে কোন বিমানবন্দর না থাকায় সরাসরি আকাশপথে ভ্রমণ সম্ভব নয়। তবে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানে ঢাকা থেকে যশোর; অতঃপর সড়ক পথে মাগুরা আসা যায়।
সড়কপথ
[সম্পাদনা]রাজধানী শহরের সঙ্গে সরাসরি বাস যোগাযোগ আছে। আন্তঃজেলা বাস যোগাযোগব্যবস্থা আছে। গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে মাগুরা জেলায় ভ্রমণের জন্য সরাসরি বাস পাওয়া যায়।
রেলপথ
[সম্পাদনা]মাগুরা জেলায় কোন রেলপথ নাই। সড়ক পথে চুয়াডাঙ্গা যাওয়ার পর চুয়াডাঙ্গা থেকে রেলপথে ঢাকা, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ, সৈয়দপুর যাওয়া যায়।
নৌপথ
[সম্পাদনা]এখানে কোন আন্তঃজেলা নৌ যোগাযোগ নেই; কেবল অভ্যন্তরীণ দূরত্বে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নৌপথ ব্যবহৃত হয়।
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- রাজা সীতারাম রায়ের রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ
- সুলতানী আমলে প্রতিষ্ঠিত মাগুরা আঠারখাদা * * মঠবাড়ি সিদ্ধেশ্বরী মঠ
- ভাতের ভিটা পুরার্কীতি
- শ্রীপুর জমিদার বাড়ী
- হজরত পীর মোকাররম আলী শাহ (র:) এর দরগাহ
- শত্রুজিৎপুর মদনমোহন মন্দির
খাওয়া দাওয়া
[সম্পাদনা]রাত্রি যাপন
[সম্পাদনা]মাগুরার আবাসিক হোটেলের মধ্যে আছে হোটেল পদ্মা গার্ডেন, হোটেল মধুমতি, হোটেল আল সাদ, হোটেল আল মনসুর, হোটেল চৌরঙ্গী ইত্যাদি।
জরুরি নম্বরসমূহ
[সম্পাদনা]- জননিরাপত্তা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য
- ওসি, মাগুরা সদরঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ১৭৯।
- ওসি, মোহাম্মদপুরঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ১৮২।
- ওসি, শালিখাঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ১৮০।
- ওসি, শ্রীপুরঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ১৮১।