জুরাছড়ি বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
জানুন
[সম্পাদনা]রাঙ্গামাটি জেলা সদর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার পূর্বে ২২°৩০´ থেকে ২২°৪৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°০৪´ থেকে ৯২°২২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত জুরাছড়ি উপজেলার আয়তন ৫৪৬.৪৯ বর্গ কিলোমিটার। ১৯৭৬ সালে জুরাছড়ি থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। এ উপজেলায় বর্তমানে ৪টি ইউনিয়ন রয়েছে।
নামকরণ
[সম্পাদনা]পাহাড় পরিবেষ্টিত একটি দুর্গম অঞ্চলের নাম জুরাছড়ি। চাকমা ভাষায় জুর অর্থ ঠাণ্ডা, ছড়ি অর্থ ছড়া। উপজেলা সদরের দক্ষিণে সলক নদীর উজানে জুরাছড়ি নামক একটি ছড়া রয়েছে। এ ছড়ার পানি খুবই ঠান্ডা। এ জুরাছড়ি ছড়ার নামেই এ উপজেলার নামকরণ হয়েছে জুরাছড়ি।
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জুরাছড়ি উপজেলার জনসংখ্যা ২২,৩৬৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১১,৮৮১ জন এবং মহিলা ১০,৪৮৪ জন। এটি একটি উপজেলা অধ্যুষিত উপজেলা। উপজাতিদের মধ্যে চাকমাদের সংখ্যা বেশি। এছাড়া মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, পাংখোয়া উপজাতির বসবাস রয়েছে এ উপজেলায়। মোট জনসংখ্যার ৩.৩৫% মুসলিম, ০.৭৩% হিন্দু, ৯৫.৩৯% বৌদ্ধ এবং ০.৫৩% খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী রয়েছে। এ উপজেলায় চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, খুমি, চাক, লুসাই, পাংখোয়া প্রভৃতি উপজাতি নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
কীভাবে যাবেন
[সম্পাদনা]ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটিতে বাস যোগে যাওয়া যায়। রাঙ্গামাটি শহর থেকে জুরাছড়ি যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। শহরের বনরূপা, তবলছড়ি, রিজার্ভ বাজার ইত্যাদি এলাকা থেকে লঞ্চ বা ইঞ্জিন চালিত বোট যোগে জুরাছড়ি যাওয়া যায়।
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- কাপ্তাই হ্রদ। বাংলাদেশের বৃহত্তম কৃত্রিম এ হ্রদ রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সদর, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, বাঘাইছড়ি, লংগদু ও নানিয়ারচর উপজেলা জুড়ে বিস্তৃত।
- সুবলং শাখা বন বিহার। বিহার পাড়া নামক স্থানে অবস্থিত। সদর উপজেলা থেকে আটো রিক্সা এবং নৌযানের যানের মাধ্যমে এ বিহারে যাওয়া যায়। এখানে বিভিন্ন পর্যটক শীতকালীন সময়ে ভিড় জমায়।
- বানাতাইংগাচুগ পাহাড়।
- জুরাছড়ি রাজবন বিহার।
কোথায় থাকবেন
[সম্পাদনা]- রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ বিশ্রামাগার, জুরাছড়ি, রাঙ্গামাটি।, ☎ ০১৫৫৭২২৭৪০১ । রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন।
- মোহাম্মদ আলী হোটেল ও রেস্তোরাঁ, জুরাছড়ি, রাঙ্গামাটি।, ☎ ০১৫৫২৬৯৩৫২৬ । ব্যক্তি মালিকানাধীন।
খাওয়া দাওয়া
[সম্পাদনা]জুরাছড়ি উপজেলা সদর এলাকার মোহাম্মদ আলী হোটেল ও রেস্তোরাঁ খেতে পারেন।