উইকিভ্রমণ থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন

ঢাকা নগর জাদুঘর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কার্যালয়ের নগর ভবনে অবস্থিত। ঢাকার ইতিহাসকে সংরক্ষণের জন্য এই ভবনের ষষ্ঠতলায় জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

আকাশপথ[সম্পাদনা]

পৃথিবীর যেকোন স্থান থেকে আকাশ পথে ঢাকাতে আসার পর বাস, সিএনজি, ট্যাক্সি ইত্যাদিতে মাধ্যমে এখানে আসা যাবে।

স্থলপথ[সম্পাদনা]

বাস বা ট্রেনে ঢাকাতে আসার পর বাস, সিএনজি, ট্যাক্সি ইত্যাদিতে মাধ্যমে এখানে আসা যাবে।

নৌপথ[সম্পাদনা]

নৌপথে ঢাকাতে আসার পর বাস, সিএনজি, ট্যাক্সি ইত্যাদিতে মাধ্যমে এখানে আসা যাবে।

কখন যাবেন[সম্পাদনা]

সকাল ৯টার দিকে জাদুঘর সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয় এবং খোলা থাকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। সারাদিনে তেমন কোনো দর্শনার্থী আসেন না এখানে। জাদুঘরটির প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২ টাকা। সপ্তাহের শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ থাকে।

কী দেখবেন[সম্পাদনা]

এখানে সংরক্ষিত আছে ঢাকা নগরীর স্মৃতি সংক্রান্ত জানা-অজানা নানা বিষয়। এখানে রয়েছে ১০০ বছর আগের ঢাকার মানচিত্র। এছাড়াও এখানে আছে প্রাক্‌-মোগল আমল থেকে বাংলাদেশ আমল পর্যন্ত ঢাকার সীমানার ধারাবাহিক বৃদ্ধির নকশা। ঢাকার ইতিহাস সংবলিত ১০১টি দুর্লভ আলোকচিত্র রয়েছে এই নগর জাদুঘরে। এছাড়াও এই জাদুঘরে ঢাকার প্রথম ছাপাখানা ও নবাবি আমলের হুক্কা, উনিশ শতকে ঢাকার নবাবদের ব্যবহূত পানের বাটা, সে আমলের মুদ্রা, পানদানি, তামার বালতি, জগ, ড্রেসিং টেবিল, শাঁখা ও শাঁখা তৈরির করাত, বদনাসহ নানা উপকরণ। দুর্লভ আলোকচিত্রের মধ্যে আছে- পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেন, রূপলাল হাউস, হোসেনি দালানের আদি রূপ, বড় কাটরা, ছোট কাটরা, সাতগম্বুজ মসজিদ, উনিশ শতকে নির্মিত বিভিন্ন বাড়ি, সেন্ট জেমস গির্জা (বর্তমান বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে), পুরনো হাইকোর্ট ভবন, ১৯০৪ সালে দিলকুশার নবাববাড়ি, ডানা দীঘি প্রভৃতি।

ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম ইংরেজি সংবাদপত্র সাপ্তাহিক ‘ঢাকা নিউজ’ মুদ্রণ কাজে ব্যবহূত মুদ্রণ যন্ত্রটি রয়েছে এই জাদুঘরে। এই মুদ্রণ যন্ত্রটি উনিশ শতকের (১৮৪৭-৪৮) মাঝামাঝি সময়ের। সেই সময় এই মুদ্রণ যন্ত্রটি স্থাপন করেছিলেন সুইজারল্যান্ডের স্যামুয়েল বোস্ট। পুরান ঢাকার একটি জীর্ণ বাড়ি থেকে ১৯৮৯ সালে ঢাকা নগর জাদুঘরের ট্রাস্টি হাশেম শফি এই মুদ্রণ যন্ত্রটি এখানে সংরক্ষণ করেছিলেন।

এখানে রয়েছে মোগল এবং ব্রিটিশ আমলের বিভিন্ন দলিল, ছবি এবং গ্রন্থসহ নানা জিনিস। ঢাকার ১৯৫২, ১৯৬৬, ১৯৬৯ ও ১৯৭১ সালসহ নানা আন্দোলনের বেশকিছু দুর্লভ আলোকচিত্র ও পোস্টার রয়েছে।

খাওয়া ও রাত্রি যাপন[সম্পাদনা]

ঢাকার যে কোন আবাসিক হোটেলে রাত কাটাতে পারেন। এছাড়া নগর ভবনের আশেপাশে এবং গুলিস্তানে অনেক গুলো রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেখানে খাওয়া দাওয়া সেরে নেয়া যাবে।

পরবর্তীতে যান[সম্পাদনা]

  • লালবাগ কেল্লা
  • বাহাদুর শাহ পার্ক