উইকিভ্রমণ থেকে

দশমিনা উপজেলা বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। ৩৫১.৭৪ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটি ২২°০৮´ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২২°২২´ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৯০°২৮´ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৯০°৩৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত, যার উত্তরে বাউফল উপজেলা; দক্ষিণে গলাচিপা উপজেলা; পূর্বে লালমোহনচরফ্যাশন উপজেলা এবং পশ্চিমে গলাচিপা উপজেলা

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

রাজধানী ঢাকা থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব ৩৪৫.০ কিলোমিটার। এই উপজেলাটি একটি উপকূলীয় ও নদীবহুল অঞ্চল হওয়ায় এখানকার যেকোনো স্থানে আসার জন্য নৌপথ সবচেয়ে সুবিধাজনক পরিবহন ব্যবস্থা। তবে, সড়ক পথেও এখানে আসা সম্ভব; সেক্ষেত্রে ফেরী পারাপার হতে হবে। দশমিনা উপজেলা আসতে রেল যোগাযোগ বা বিমান বন্দর নেই বলে এই দুটি মাধ্যমে এখানকার কোনো স্থানে আসা যায় না।

সড়কপথে[সম্পাদনা]

ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কোম্পানির হিনো চেয়ার কোচ ও নরমাল চেয়ার কোচ রয়েছে; হিনো চেয়ার কোচগুলো ফেরী পারাপার। এছাড়া স্থানীয় ভাবে পার্শ্ববর্তী জেলা ও বিভাগীয় শহর হতে এখানে যাওয়া যায়। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে এখানকার সাথে ঢাকার যোগাযোগ অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। ঢাকা থেকে দশমিনা আসতে শুধুমাত্র বগা ফেরী পার হতে হবে। বাকী পথ একনাগাড়ে চলতে পারবে কোনো প্রকার বিরতি ছাড়াই। গাড়িতে সাধারণত ঢাকা থেকে দশমিনা আসতে ৫-৭ ঘন্টা সময় লাগে।

নৌপথে[সম্পাদনা]

ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সরাসরি দশমিনায় আসার লঞ্চ আছে। এছাড়াও উলানিয়া উদ্দেশ্যে যেসব লঞ্চ ছেড়ে যায় সেগুলোতেও আসা যায়। আবার, বরিশালগামী লঞ্চে এসে সেখান থেকে স্থানীয় নৌযানে উপজেলা সদরে আসা যায়।

দর্শনীয় স্থানসমূহ[সম্পাদনা]

  1. মুন্সী আমিরুল্লাহ মসজিদ (আদমপুর-বহরমপুর),
  2. কবিরাজ বাড়ীর বড় দিঘী,
  3. বীজ বর্ধন খামার,
  4. সিকদার বাড়ি মসজিদ (বেতাগী, সানকিপুরা),
  5. তালুকদার বাড়ি মসজিদ (দশমিনা)।
  6. সেজান রিসোর্স (আলিপুর)

খাওয়া - দাওয়া[সম্পাদনা]

থাকা ও রাত্রি যাপনের স্থান[সম্পাদনা]

দশমিনায় থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়াও সরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জন্যে রয়েছে উন্নতমানের -

  • জেলা পরিষদ ডাকবাংলো - দশমিনা।

জরুরি নম্বরসমূহ[সম্পাদনা]

  • ওসি, দশমিনা: মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩২১।