উইকিভ্রমণ থেকে

ফটিকছড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।

জানুন[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরে ২২°৩৫´ থেকে ২২°৫৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৩৮´ থেকে ৯১°৫৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত ফটিকছড়ি উপজেলার আয়তন ৭৭৩.৫৫ বর্গ কিলোমিটার। ফটিকছড়ি থানা গঠিত হয় ১৯১৮ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। ফটিকছড়ি উপজেলায় বর্তমানে ২টি থানার অধীনে মোট ২টি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়ন রয়েছে।

নামকরণ[সম্পাদনা]

ফটিক অর্থ স্বচ্ছ ও ছড়ি অর্থ পাহাড়িয়া নদী, ক্ষুদ্র স্রোতস্বতী, ঝর্ণা বা খাল। উপজেলার পশ্চিমাংশে ফটিকছড়ি খাল নামক একটি স্বচ্ছ ঝর্ণা আছে। নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যে ভরা খালটি সীতাকুণ্ড পাহাড়ী রেঞ্জ থেকে উৎপন্ন হয়ে যোগিনী ঘাটা নামক স্থানে হালদা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। একসময় ফটিকছড়ি উপজেলার অবস্থান ছিল ভূজপুরের দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত এই ফটিকছড়ি খালের তীরে। ফটিকছড়ি খাল হতেই এই থানার নামকরণ হয়।

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফটিকছড়ি উপজেলার জনসংখ্যা ৪,৪১,৮৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২,২৬,৩১৬ জন এবং মহিলা ২,১৫,৫৪৭ জন। এ উপজেলার ৮৭% লোক মুসলিম, ১০% হিন্দু ও ৩% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

সড়কপথে[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম শহরের অক্সিজেন মোড় এলাকা থেকে বাস বা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে ফটিকছড়ি যাওয়া যায়।

রেলপথে[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম শহরের বটতলী অথবা ষোলশহর রেলস্টেশন থেকে নাজিরহাটগামী রেলযোগে নাজিরহাট গিয়ে সেখান থেকে বাস বা সিএনজি যোগে ফটিকছড়ি যাওয়া যায়।

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

  • মাইজভাণ্ডার শরীফ ফটিকছড়ি উপজেলা সদর বিবিরহাট থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার এবং নাজিরহাট বাস স্টেশন থেকে প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার পূর্বে নানুপুর ইউনিয়নের মাইজভাণ্ডার গ্রামে অবস্থিত। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়।
  • ভূজপুর জমিদার বাড়ি এবং ফাঁসির ঘর বিবিরহাট থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার এবং নাজিরহাট বাস স্টেশন থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভূজপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভূজপুর গ্রামে অবস্থিত।সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়।
  • মং রাজার দীঘি বিবিরহাট থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার এবং নাজিরহাট বাস স্টেশন থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভূজপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূজপুর গ্রামে অবস্থিত। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়।
  • আহসান উল্লাহ খাঁ গোমস্তার মসজিদ বিবিরহাট থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এবং নাজিরহাট বাস স্টেশন থেকে প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বখতপুর ইউনিয়নে অবস্থিত এ মসজিদটি আনুমানিক ৪০০ বছরের পুরনো। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়।
  • হারুয়ালছড়ি ফকিরপাড়া গায়েবী মসজিদ অপরূপ সৌন্দর্য্যের এ মসজিদটি বিবিরহাট থেকে প্রায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার এবং নাজিরহাট বাস স্টেশন থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নে অবস্থিত। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়।
  • হালদা রাবার ড্যাম বিবিরহাট থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার এবং নাজিরহাট বাস স্টেশন থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভূজপুর ইউনিয়নের কাজিরহাট গ্রামে অবস্থিত।
  • হালদা ভ্যালি চা বাগান বিবিরহাট থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এবং মীরসরাই থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পূর্বে নারায়ণহাট ইউনিয়নে অবস্থিত। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়।
  • রামগড় চা বাগান বিবিরহাট থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে বাগানবাজার ইউনিয়নে অবস্থিত। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়।
  • দাঁতমারা রাবার বাগান ও নিউ দাঁতমারা চা বাগান বিবিরহাট থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে দাঁতমারা ইউনিয়নে অবস্থিত। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়।
  • উদালিয়া চা বাগান বিবিরহাট থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং নাজিরহাট বাস স্টেশন থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে সুয়াবিল ইউনিয়ন ও হাটহাজারী উপজেলার কিছু অংশজুড়ে অবস্থিত। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়।
  • কাঞ্চননগর রক্তছড়ি চা বাগান বিবিরহাট থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ১৭নং লট রক্তছড়ি এলাকায় অবস্থিত। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়।
  • চৌধুরী মহল আবদুল বারি চৌধুরীর ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি ব্রিটিশ আমলে নির্মিত নয়নাভিরাম দৃষ্টিনন্দন এ বাড়ির ঐতিহ্য ও ব্রিটিশ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এ বাড়ি ও পরিবারের গুরুত্ব অপরিসীম নাজিরহাট ঝংকার সিনেমা হল থেকে মাত্র তিন তিন কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত..

কোথায় থাকবেন[সম্পাদনা]

ফটিকছড়িতে থাকার জন্য সরকারি পরিচালনাধীন উপজেলা পরিষদ ডাক বাংলো ছাড়াও ব্যক্তি মালিকানাধীন সুলভ মূল্যে থাকার মত হোটেল রয়েছে।

খাওয়া দাওয়া[সম্পাদনা]

ফটিকছড়ি পৌরসভা ও নাজিরহাট পৌরসভা এলাকায় যে কোন রেস্টুরেন্টে সুলভ মূল্যে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।