উইকিভ্রমণ থেকে

ফরিদপুর জেলা বাংলাদেশের একটি জেলা যা ঢাকা বিভাগ এর অন্তর্গত। ফরিদপুর জেলার আয়তন ২০৭২.৭২ বর্গ কিলোমিটার। ফরিদপুর জেলার উত্তরে রাজবাড়ী জেলামানিকগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে গোপালগঞ্জ জেলা, পূর্বে ঢাকা জেলা, মাদারীপুর জেলামুন্সিগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে মাগুরা জেলানড়াইল জেলা

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

আকাশপথ[সম্পাদনা]

এখানে কোন বিমানবন্দর না থাকায় সরাসরি আকাশপথে ভ্রমণ সম্ভব নয়।

সড়কপথ[সম্পাদনা]

রাজধানী শহরের সঙ্গে সরাসরি বাস যোগাযোগ আছে। আন্তঃজেলা বাস যোগাযোগব্যবস্থা আছে। ঢাকা থেকে ফরিদপুরে সাধারনত সড়ক পথেই যাতায়াত করা হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে ফরিদপুরে সড়ক পথে যাতায়েত করতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা, তবে ফেরী পারাপারের সময় যানজট থাকলে সময় বেশি লাগে।

গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে বেশ কয়েকটি বাস ফরিদপুরের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। এ সব বাস গুলোর মধ্যে গোল্ডেন লাইন পরিবহন, সাউথ লাইন পরিবহন, সূর্যমুখী পরিবহন, বিকাশ পরিবহন, আজমিরী পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, নাবিল পরিবহন, দ্রুতি পরিবহন, শাপলা পরিবহন ও সোহাগ পরিবহন অন্যতম। গাবতলী থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত কিছু কিছু লোকাল বাস চলাচল করে। পাটুরিয়া থেকে লঞ্চে করে গোয়ালন্দ ঘাট যাওয়া যায়। সেখান থেকে অন্য লোকাল বাসে,মাহিন্দ্র তে উঠে ফরিদপুর যাওয়া যায়। তবে খুলনা ও যশোর রুটের অনেক গাড়ি লঞ্চে যাত্রী পারাপার করে থাকে। লঞ্চে যাতায়াত করলে সময় ও অর্থ দুটোই কম লাগে।

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

  • পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের বাড়ি ও কবর স্থান।
  • নদী গবেষণা ইনষ্টিটিউট।
  • হযরত শাহ্ ফরিদ মসজিদ।
  • জগদ্বন্ধু সুন্দর এর আশ্রম।
  • গৌর গোপাল আঙ্গিনা, গোয়ালচামট।
  • আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল, সদরপুর।
  • বাইশ রশি জমিদার বাড়ী, সদরপুর
  • সাতৈর মসজিদ, বোয়ালমারী।
  • মথুরাপুরের দেউল, মধুখালী।
  • পাতরাইল মসজিদ, ভাঙ্গা।
  • বীরশ্রেষ্ট মুন্সি আব্দুর রউফের গ্রামের রাড়ী।
  • ভাঙ্গা গোলচত্তর
  • টিটা ভাসমান সেতু, আলফাডাঙ্গা
  • 1 পল্লী কবি জসীম উদ্দীন সংগ্রহশালা (জসীমস্মৃতি সংগ্রহশালা)। একটি ব্যক্তিভিত্তিক জাদুঘর। বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলা শহরের অদূরে ২০১৫–তে এটি নির্মিত হয়েছে। উইকিপিডিয়ায় পল্লী কবি জসীম উদ্‌দীন সংগ্রহশালা, ফরিদপুর (Q31724458)

রাত্রি যাপন[সম্পাদনা]

ফরিদপুরে যাওয়ার পর ভ্রমণকারীর থাকার জন্য রয়েছে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল। ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে আবাসিক হোটেল গুলোর দূরত্ব মাত্র নেই বললেই চলে। চাইলেই হাতের কাছেই খুজে পেতে পারেন থাকার স্থান। আবাসিক হোটেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ৮০ টাকা সর্বোচ্চ ভাড়া ২০০০ টাকা। আবাসিক হোটেল গুলোতে সিঙ্গেল ও ডাবল উভয় বেড রয়েছে। সরকারি কর্মকতা ও কর্মচারীদের জন্য রয়েছে সার্কিট হাউজ।